অনুভব
হাতে হাত রেখে
চলেছি যখন,
কোমরে কোমর ধরে,
চোখে চোখ অদলবদল করে
দেখেছি কেমন
তোমার মিঠেল
মুখ।
গাছের হৃদয়ে কোনো
এমন গভীর ফুল নেই
যেমন তোমাকে পাই
ডালে ডালে
পাতায় পাতায়
আমার সত্তায়।
যে সকাল
যে সকাল
তোমাকে পায় না
আমাকে যে দিয়ে যায়
নোংরা একটা দিন।
কোনোকিছুই আর ঠিক তো থাকে না
হয়ে যায় অগোছালো,
অশ্লীল,
মলিন,
বানানবিহীন।
শান্তি, শান্তি ওম
কে যাচ্ছে উড়ে
এক টুকরো মিষ্টি ভাষা
ঠোঁটে নিয়ে?
নীলিমার গভীরতা মেপে?
যেতে যেতে ওপরে তাকায়,
আরো কত স্বর্গবাণী
ধরতে চায় নিথর নিঃশ্বাসে।
এত যে মিষ্টান্নভর্তি এ নীলিমা
কে জানত আগে?
শান্তি, শান্তি
ওম শান্তি।
জগৎসিন্ধুতীরে দাঁড়িয়ে
এই সে বুদ্বুদ যা সমুদ্রের পুরোভাগে বিচ্ছুরিত হয়
ভাসে ফুলের মতোন
বুদ্বুদের ভেতরে বুদ্বুদ,
কলি থেকে বের হয়ে ফোটে
তারপর ঝরে মুছে যায়।
পুনরায় মুখ তোলে জলের গভীর নিচ থেকে
যেন কত বিয়ানো বাছুর
বংশবৃদ্ধি করে চলে নিরন্তর,
হাস্যোস্ফার প্রজনন হয় সময়ের যাদুতীর ঘেঁষে,
এই খেলা চিরদিন এইভাবে চলে।
সমুদ্র তো সমুদ্রই থাকে
বুঝিবা সে রতিমাসা বিচলিত নয়,
পুরনো রাগিনি থেকে নতুন পৃথিবী উঠে আসে।
প্রার্থী
জগৎ যদিবা কোনো স্বপ্নমাত্র
তবে তার স্বপ্নদর্শী কে?
আমারে কি সহ-স্বাপ্নিকের মর্যাদায়
এতটুকু স্বীকৃতি সে দেবে?
এইটুকু আকুলতা নিয়ে জেগে আছি
চরাচরে
কতকাল ধরে, কতভাবে
এই ভুল বাতাসে।
দৃষ্টির উৎসবে
আমি যদি
প্রাণিম-লীর কেউ হয়ে
এইখানে না-ও আসতাম,
তাহলে পথের বাঁকে ঘাসফুল হয়ে
হয়ত ফুটতাম
কোনো সকাল আলোয়।
টলমল করতাম
কোনো অনাবিল পথিকের পায়ের তলায়
দৃষ্টির উৎসবে।
অধিকার
অন্য কারো হৃদয়ের মাঠ দিয়ে,
যদি হেঁটে যেতে পারো কোনোদিন
তাহলে আর কী লাগে?
তবে এই ভ্রমণই তো ঈশ্বরের ভ্রমণের সহপাঠী
তাকেই সেলাম করে
যুগ যুগ এ পৃথিবী
নিঃশ্বাস আর প্রশ্বাসের
সুবিধা পোহাবে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
অনুভব
হাতে হাত রেখে
চলেছি যখন,
কোমরে কোমর ধরে,
চোখে চোখ অদলবদল করে
দেখেছি কেমন
তোমার মিঠেল
মুখ।
গাছের হৃদয়ে কোনো
এমন গভীর ফুল নেই
যেমন তোমাকে পাই
ডালে ডালে
পাতায় পাতায়
আমার সত্তায়।
যে সকাল
যে সকাল
তোমাকে পায় না
আমাকে যে দিয়ে যায়
নোংরা একটা দিন।
কোনোকিছুই আর ঠিক তো থাকে না
হয়ে যায় অগোছালো,
অশ্লীল,
মলিন,
বানানবিহীন।
শান্তি, শান্তি ওম
কে যাচ্ছে উড়ে
এক টুকরো মিষ্টি ভাষা
ঠোঁটে নিয়ে?
নীলিমার গভীরতা মেপে?
যেতে যেতে ওপরে তাকায়,
আরো কত স্বর্গবাণী
ধরতে চায় নিথর নিঃশ্বাসে।
এত যে মিষ্টান্নভর্তি এ নীলিমা
কে জানত আগে?
শান্তি, শান্তি
ওম শান্তি।
জগৎসিন্ধুতীরে দাঁড়িয়ে
এই সে বুদ্বুদ যা সমুদ্রের পুরোভাগে বিচ্ছুরিত হয়
ভাসে ফুলের মতোন
বুদ্বুদের ভেতরে বুদ্বুদ,
কলি থেকে বের হয়ে ফোটে
তারপর ঝরে মুছে যায়।
পুনরায় মুখ তোলে জলের গভীর নিচ থেকে
যেন কত বিয়ানো বাছুর
বংশবৃদ্ধি করে চলে নিরন্তর,
হাস্যোস্ফার প্রজনন হয় সময়ের যাদুতীর ঘেঁষে,
এই খেলা চিরদিন এইভাবে চলে।
সমুদ্র তো সমুদ্রই থাকে
বুঝিবা সে রতিমাসা বিচলিত নয়,
পুরনো রাগিনি থেকে নতুন পৃথিবী উঠে আসে।
প্রার্থী
জগৎ যদিবা কোনো স্বপ্নমাত্র
তবে তার স্বপ্নদর্শী কে?
আমারে কি সহ-স্বাপ্নিকের মর্যাদায়
এতটুকু স্বীকৃতি সে দেবে?
এইটুকু আকুলতা নিয়ে জেগে আছি
চরাচরে
কতকাল ধরে, কতভাবে
এই ভুল বাতাসে।
দৃষ্টির উৎসবে
আমি যদি
প্রাণিম-লীর কেউ হয়ে
এইখানে না-ও আসতাম,
তাহলে পথের বাঁকে ঘাসফুল হয়ে
হয়ত ফুটতাম
কোনো সকাল আলোয়।
টলমল করতাম
কোনো অনাবিল পথিকের পায়ের তলায়
দৃষ্টির উৎসবে।
অধিকার
অন্য কারো হৃদয়ের মাঠ দিয়ে,
যদি হেঁটে যেতে পারো কোনোদিন
তাহলে আর কী লাগে?
তবে এই ভ্রমণই তো ঈশ্বরের ভ্রমণের সহপাঠী
তাকেই সেলাম করে
যুগ যুগ এ পৃথিবী
নিঃশ্বাস আর প্রশ্বাসের
সুবিধা পোহাবে।