প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল (মৌলভৗবাজার)

মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য অভিযান থেমে গেলে নদীছড়ার অস্তিত্বই হারাবে

image
শ্রীমঙ্গল (মৌলভৗবাজার) : উত্তোলিত বালু (গোল বৃত্তে) -সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য অভিযান থেমে গেলে নদীছড়ার অস্তিত্বই হারাবে

মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল (মৌলভৗবাজার)

পর্যটননগরী ও চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত শ্রীমঙ্গল আজ এক ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। উপজেলার বিভিন্ন নদীছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দৌরাত্ম্য যেন কোনোভাবেই থামছে না। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে কৃষিজমি, স্থানীয় বসতি, জীববৈচিত্র ও পরিবেশের সূক্ষ্ম ভারসাম্য ক্রমেই ঝুঁকির মুখে পড়ছে। গত ৭ ডিসেম্বর সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জাগছড়া ছড়া থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘবদ্ধ একটি চক্র ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে পাশের ভূমিতে ষ্ট্যাক করে রেখে পরে ট্রাকযোগে অন্যত্র পাঠাচ্ছে। হেলদি চয়েজ অ্যাড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পাশের ওই ছড়ায় উত্তোলনকৃত বালু শিল্পপতি সিরাজুল ইসলাম হারুন মিয়া, সুখু নমঃশূদ্র, অঞ্জূ বর্মন ও শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাসেন্দ্র দত্ত চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির মালিকানাধীন ভূমির উপর দিয়ে স্থানান্তর করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা নিরাপত্তা-ঝুঁকির কথা বলে মুখ খুলতে অনাগ্রহ দেখান। দূর থেকে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দফতরে পাঠানো হয়। এর আগের দিন ৬ ডিসেম্বর, বিষয়টি ফোনেও অবহিত করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। উপজেলা প্রশাসন অতীতে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে বালুবাহী ট্রাক আটক ও জরিমানার ব্যবস্থা করলেও, বালুবাণিজ্যের পেছনের মূল শক্তিগুলোকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের উদ্যোগ প্রায় অনুপস্থিত। ফলে সিন্ডিকেট আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে।

অবৈধ বালুবাণিজ্যের কারণেটা ইতোমধ্যেই ঘটেছে একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। গত বছর ভূনবীর ইউনিয়নে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় দুই নারী এবং সিন্দুরখান ইউনিয়নে এক ছাত্র নিহত হয়। এসব ঘটনায় স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ ছড়ালেও কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় বালু সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু প্রভাবশালী নেতার যৌথ সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই এই অবৈধ কার্যক্রম চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শুধু ট্রাক আটক বা ছোটখাটো জরিমানায় কিছু হবে না। আসল গডফাদারদের ধরতে হবে। না হলে ছড়ানদী ধ্বংসের পাশাপাশি মানুষের জীবনও হুমকিতে পড়ে যাবে।

অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীছড়ার তলদেশ দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে, ধসে পড়ছে পাড়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিজমি। জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে, আর ভারী যানবাহনের চলাচলে বসতি এলাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» সিলেটে আসামি ধরতে গিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা আহত

» ডিমলায় বেগম রোকেয়া দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

» দামুড়হুদায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যাস্ত গাছি

» সিরাজগঞ্জে বিদেশি ফল প্যাশন (আনারকলি) চাষে কৃষক জহুরুলের সাফল্য

» ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সিংড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

» রাণীশংকৈলের মোশাররফ এখন বিদেশি পাখির সফল খামারি,

» শেরপুরে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

» প্রসূতীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর

» কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস পালিত

» দশমিনায় সুগন্ধি কালোজিরা ধান বিলুপ্তির পথে

» চুয়াডাঙ্গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর ও মানহীন ডাল রাখায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

» ঝালকাঠিতে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

» বেগমগঞ্জে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে হামলা, ভাঙচুর, আহত ৫

» বুড়ি তিস্তা পাড়ের কৃষকেরা সেচের পানির দাবিতে মানববন্ধন

» পল্লী চিকিৎসক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা

» মাগুরায় ২ সার ডিলারকে জরিমানা

» এনসিপি রাজশাহীতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারী

» শেরপুরে গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

» শিবচরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আটক

» রংপুর মেডিকেল কলেজে নির্মাণ-সংস্কারের নামে টাকা লোপাটের অভিযোগ