চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে অবৈধভাবে স্থাপিত সেলু মেশিন বন্ধের জন্য একই আমের মৃত নুরুল আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি এ আবেদন দায়ের করেন।
আবেদনে জানা যায়, গত ২৫ বছর ধরে আলেয়া বেগম হিরাপুর গ্রামে তার নিজের বাড়ির আশেপাশের নিজ কৃষি জমিসহ অন্যান্য কৃষকদের কৃষি জমিতে সেলু মেশিনের সাহায্যে সেচ ব্যবস্থা দিয়ে আসছেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে হিরাপুর গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সরাফাত করিম পলাশ সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিজ ঘরের বিদ্যুৎ মিটার ব্যবহার করে সেলু মেশিন স্থাপন করে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে আশেপাশের কৃষি জমিতে সেচ দিয়ে আসছে, এতে প্রকৃত সেলু মেশিন চালক আলেয়া বেগম বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে সেলু মেশিন স্থাপনের নির্দিষ্ট নিয়ম কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শারাফাত করিম পলাশ গায়ের জোরে অবৈধভাবে এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তার এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের জন্য আলেয়া বেগম প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। হিরাপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মাস্টারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সেলু মেশিন স্থাপনের নিয়মানুযায়ী একটি সেলু মেশিনের ৫০০ ফুটের মধ্যে আরেকটি সেলু মেশিন স্থাপনের কোন নিয়ম নেই, এতে পরিবেশের পাশাপাশি অন্য সেলু মেশিন স্থাপনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ বিষয়ে শারাফাত করিম পলাশের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু সেলু মেশিন বসানোর দূরত্ব ও অন্যান্য নিয়ম সম্বন্ধে আমি কিছুই জানি না। অভিযোগের বিষয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।