গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা বনভোজনে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়েছেন। শনিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার ‘মাটির মায়া’ রিসোর্টে যাওয়ার সময় বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় এবং ছয়জন আহত হন।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন মীর মোজাম্মেল নাঈম (২৩), জোবায়ের আলম সাকিব (২২) ও মুবতাছিন রহমান মাহীন (২২)। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রভাষক মোহতাসিম মাশফি জানান, দুর্ঘটনার সময় শিক্ষার্থীরা বাসের হ্যান্ডেল ধরে ছিলেন এবং বাসটি বিদ্যুতায়িত হয়ে গেলে তাদের মধ্যে যারা দরজার কাছে ছিলেন তারা বেশি আহত হন। বিশেষ করে, মাহীন আহত হলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে সাকিবও আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান বলেন, "এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাস্তায় বের হলে এমন বিপদ ঘটতে পারে, যা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। বিদ্যুতের তার যথেষ্ট উচ্চতায় না থাকায় এবং রাস্তার নিরাপত্তা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো সতর্ক হতে হবে।”
দ্বিতল বাস সরু রাস্তায় চলার অনুমতি ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপাচার্য বলেন, “পিকনিকের জন্য কেন দ্বিতল বাস নেওয়া হয়েছিল এবং তা সড়কে চলাচলের অনুমতি ছিল কি না, তা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের বিষয়। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”
নিহত তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ তাদের পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতরা ছিলেন ফেনী, রাজশাহী এবং রংপুরের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকার আহসানিয়া মিশন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবহনের বিষয়টি নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা বনভোজনে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়েছেন। শনিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার ‘মাটির মায়া’ রিসোর্টে যাওয়ার সময় বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় এবং ছয়জন আহত হন।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন মীর মোজাম্মেল নাঈম (২৩), জোবায়ের আলম সাকিব (২২) ও মুবতাছিন রহমান মাহীন (২২)। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রভাষক মোহতাসিম মাশফি জানান, দুর্ঘটনার সময় শিক্ষার্থীরা বাসের হ্যান্ডেল ধরে ছিলেন এবং বাসটি বিদ্যুতায়িত হয়ে গেলে তাদের মধ্যে যারা দরজার কাছে ছিলেন তারা বেশি আহত হন। বিশেষ করে, মাহীন আহত হলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে সাকিবও আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান বলেন, "এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাস্তায় বের হলে এমন বিপদ ঘটতে পারে, যা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। বিদ্যুতের তার যথেষ্ট উচ্চতায় না থাকায় এবং রাস্তার নিরাপত্তা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো সতর্ক হতে হবে।”
দ্বিতল বাস সরু রাস্তায় চলার অনুমতি ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপাচার্য বলেন, “পিকনিকের জন্য কেন দ্বিতল বাস নেওয়া হয়েছিল এবং তা সড়কে চলাচলের অনুমতি ছিল কি না, তা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের বিষয়। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”
নিহত তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ তাদের পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতরা ছিলেন ফেনী, রাজশাহী এবং রংপুরের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকার আহসানিয়া মিশন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবহনের বিষয়টি নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।