দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের পরিবেশেরও রেহাই মিলছে না। সম্প্রতি দ্বীপের পরিবেশ অফিসের বিশাল একটি কেয়াবন রহস্যজনক আগুনে পুড়ে গেছে। একই সাথে পুড়ে গেছে ওই দ্বীপে কর্মরত কোষ্ট গার্ড বাহিনীর অফিস সংলগ্ন কেয়াবনও।
কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে দ্বীপের সরকারি দু’টি অফিস সংলগ্ন কেয়াবন আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত সপ্তাহের ৩ দিনের ছুটির সময় বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগমের সময়টিতেই এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে, দ্বীপের দক্ষিণে গলাচিপা নামক এলাকায় রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব অফিস। মেরিন পার্ক নামের এ অফিসের সীমানা গড়ে তোলা হয়েছে কেয়াবন। অফিসের পূর্বদিকের সে কেয়াবনে এক রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাও একদম প্রকাশ্য দিবালোকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) সোলাইমান হায়দার এ বিষয়ে বলেন, দ্বীপে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যতই আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি ততই সেখানে পরিবেশ বিষয়ক অপরাধের ঘটনা ঘটছে।
গত ১৮ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ৩ দিনের ছুটিতে সেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছিল। তখনই ঘটেছে এমন ধ্বংসযজ্ঞ। তিনি বলেন, যতই দ্বীপে ভ্রমণকারির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে ততই বেড়ে যাচ্ছে। এমনকি গত সপ্তাহের ৩ দিনের বন্ধের সময় দৈনিক ২৫/৩০ হাজার পর্যটক দ্বীপ ভ্রমণে গেছে। পর্যটক আগমনে এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
পরিচালক সোলাইমান হায়দার বলেন, প্রতিদিন ভ্রমণে যাওয়া লোকজনের কারনে দ্বীপটির পরিবেশ বলতে আর কিছুই অক্ষত থাকছে না। দ্বীপের গাছগাছালি থেকে শুরু করে জীব বৈচিত্র মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একটি প্রবাল এক ইঞ্চি পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে ২০ বছর। সেই মূল্যবান প্রবাল পর্যন্ত ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, দ্বীপটিতে পরিবেশ নিয়ে কাজ করার কারনে এক শ্রেণীর পর্যটন ব্যবসায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তুষ্ট। এ কারনে কেউ না কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে কেয়াবন পুড়িয়ে দিতে পারে।
অপরদিকে দ্বীপের কোষ্ট গার্ড অফিস সংলগ্ন কেয়াবনেও একই সাথে আগুন লাগে। এতেও বেশ কিছু কেয়াবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ বিষয়ে কোষ্ট গার্ডের টেকনাফ ষ্টেশনের লে. কমান্ডার আরিফ জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কাজ চলছে। কারও সিগারেটের ফেলে দেয়া অংশের আগুন কিনা নাকি পরিকল্পিত তা তদন্ত অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, দিনের বেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও কেউ শনাক্ত হয়নি এ পর্যন্ত। তিনিও খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান।
ইউপি চেয়ারম্যানের প্রশ্ন দ্বীপের পরিবেশ অফিসে প্রায় ৮ জন লোক প্রতিনিয়ত থাকেন। দিনের বেলায় সংঘটিত এ অগ্নিকান্ডের ঘটনার বিষয়ে তারা কোনো লোক শনাক্ত করতে পারলেন না কেন?
শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের পরিবেশেরও রেহাই মিলছে না। সম্প্রতি দ্বীপের পরিবেশ অফিসের বিশাল একটি কেয়াবন রহস্যজনক আগুনে পুড়ে গেছে। একই সাথে পুড়ে গেছে ওই দ্বীপে কর্মরত কোষ্ট গার্ড বাহিনীর অফিস সংলগ্ন কেয়াবনও।
কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে দ্বীপের সরকারি দু’টি অফিস সংলগ্ন কেয়াবন আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত সপ্তাহের ৩ দিনের ছুটির সময় বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগমের সময়টিতেই এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে, দ্বীপের দক্ষিণে গলাচিপা নামক এলাকায় রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব অফিস। মেরিন পার্ক নামের এ অফিসের সীমানা গড়ে তোলা হয়েছে কেয়াবন। অফিসের পূর্বদিকের সে কেয়াবনে এক রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাও একদম প্রকাশ্য দিবালোকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) সোলাইমান হায়দার এ বিষয়ে বলেন, দ্বীপে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যতই আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি ততই সেখানে পরিবেশ বিষয়ক অপরাধের ঘটনা ঘটছে।
গত ১৮ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ৩ দিনের ছুটিতে সেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছিল। তখনই ঘটেছে এমন ধ্বংসযজ্ঞ। তিনি বলেন, যতই দ্বীপে ভ্রমণকারির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে ততই বেড়ে যাচ্ছে। এমনকি গত সপ্তাহের ৩ দিনের বন্ধের সময় দৈনিক ২৫/৩০ হাজার পর্যটক দ্বীপ ভ্রমণে গেছে। পর্যটক আগমনে এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
পরিচালক সোলাইমান হায়দার বলেন, প্রতিদিন ভ্রমণে যাওয়া লোকজনের কারনে দ্বীপটির পরিবেশ বলতে আর কিছুই অক্ষত থাকছে না। দ্বীপের গাছগাছালি থেকে শুরু করে জীব বৈচিত্র মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একটি প্রবাল এক ইঞ্চি পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে ২০ বছর। সেই মূল্যবান প্রবাল পর্যন্ত ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, দ্বীপটিতে পরিবেশ নিয়ে কাজ করার কারনে এক শ্রেণীর পর্যটন ব্যবসায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তুষ্ট। এ কারনে কেউ না কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে কেয়াবন পুড়িয়ে দিতে পারে।
অপরদিকে দ্বীপের কোষ্ট গার্ড অফিস সংলগ্ন কেয়াবনেও একই সাথে আগুন লাগে। এতেও বেশ কিছু কেয়াবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ বিষয়ে কোষ্ট গার্ডের টেকনাফ ষ্টেশনের লে. কমান্ডার আরিফ জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কাজ চলছে। কারও সিগারেটের ফেলে দেয়া অংশের আগুন কিনা নাকি পরিকল্পিত তা তদন্ত অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, দিনের বেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও কেউ শনাক্ত হয়নি এ পর্যন্ত। তিনিও খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান।
ইউপি চেয়ারম্যানের প্রশ্ন দ্বীপের পরিবেশ অফিসে প্রায় ৮ জন লোক প্রতিনিয়ত থাকেন। দিনের বেলায় সংঘটিত এ অগ্নিকান্ডের ঘটনার বিষয়ে তারা কোনো লোক শনাক্ত করতে পারলেন না কেন?