খুলনায় সরকারিভাবে নির্মিত হচ্ছে বিভাগীয় ২শ’ শয্যার শিশু হাসপাতাল। প্রাথমিকপর্যায়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরে দেড়বছর সময় নিয়ে শুরু হওয়া হাসপাতালটির নির্মাণকাজ গত একবছরে ৪০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালিশপুরের জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে খুলনায় একটি বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। সেঅনুযায়ী ২০১২ সালে হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য জায়গা খোঁজা শুরু করে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ।
প্রথমে নগরীর বয়রার মন্নুজান স্কুলের সামনে জায়গা দেখা হলেও সর্বশেষ ডুমুরিয়ার চকমথুরাবাদ ও বটিয়াঘাটার কৃষ্ণনগর মৌজার সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের পাশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেডিএ’র ময়ুরী আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে চার একর ৮২ শতক জমি নির্ধারণ করা হয়।
জমি অধিগ্রহণ শেষে তা গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন। এরপর টেন্ডারসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ।
গণপূর্ত বিভাগ-১, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রকল্প হিসেবে খুলনা শিশু হাসপাতাল নির্মাণে ইতোমধ্যেই ২৩ কোটি ৯৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয় ধরে ১০ তলা ফাউন্ডেশন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমপ্যাকেজে বেজমেন্টসহ একতলার কাজ এ বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের সামনের রাস্তা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে কয়েকমাস দেরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্যাকেজের দ্বিতীয়পর্যায়ে দোতলা থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণে আরও ২২ কোটি টাকার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আসলেই পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
গণপূর্ত বিভাগ-১, খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিঠুন মিস্ত্রী বলেন, প্রথমধাপে ৪ তলা পর্যন্ত হাসপাতালটি একশ’ বেডের হবে। এরপর বাকী ৬ তলা নির্মাণ শেষ হলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ২শ’ বেডের শিশু হাসপাতাল হবে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেডিএ’র নির্মিতব্য ময়ুরী আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের পাশে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ করছে তমা কনষ্ট্রাকশন এবং রইতি এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে ৫৬৫টি পাইল বসানো এবং লোড টেস্ট শেষ হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত কটি প্রতিষ্ঠান। এ হাসপাতালটি নির্মাণ হলে খুলনার একমাত্র বেসরকারি শিশু হাসপাতালটির ওপর চাপ কমবে। সেইসাথে এ অঞ্চলের শিশুস্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ঘটবে।
বর্তমানে এ হাসপাতাল নির্মাণকাজ তিনি তদারকি করলেও ভবন নির্মাণ শেষ হলে এরজন্য পৃথক পরিচালক নিয়োগসহ স্বতন্ত্রভাবেই অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে সিভিল সার্জন জানান।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ের শিশু হাসপাতাল নির্মাণ খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দীর্ঘ ১০ বছর পরে হলেও এর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ আশান্বিত। এ হাসপাতাল নির্মাণের মধ্যদিয়ে খুলনাঞ্চলের শিশুস্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি আশা করেন।
শনিবার, ০৮ মে ২০২১
খুলনায় সরকারিভাবে নির্মিত হচ্ছে বিভাগীয় ২শ’ শয্যার শিশু হাসপাতাল। প্রাথমিকপর্যায়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরে দেড়বছর সময় নিয়ে শুরু হওয়া হাসপাতালটির নির্মাণকাজ গত একবছরে ৪০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালিশপুরের জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে খুলনায় একটি বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। সেঅনুযায়ী ২০১২ সালে হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য জায়গা খোঁজা শুরু করে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ।
প্রথমে নগরীর বয়রার মন্নুজান স্কুলের সামনে জায়গা দেখা হলেও সর্বশেষ ডুমুরিয়ার চকমথুরাবাদ ও বটিয়াঘাটার কৃষ্ণনগর মৌজার সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের পাশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেডিএ’র ময়ুরী আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে চার একর ৮২ শতক জমি নির্ধারণ করা হয়।
জমি অধিগ্রহণ শেষে তা গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন। এরপর টেন্ডারসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ।
গণপূর্ত বিভাগ-১, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রকল্প হিসেবে খুলনা শিশু হাসপাতাল নির্মাণে ইতোমধ্যেই ২৩ কোটি ৯৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয় ধরে ১০ তলা ফাউন্ডেশন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমপ্যাকেজে বেজমেন্টসহ একতলার কাজ এ বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের সামনের রাস্তা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে কয়েকমাস দেরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্যাকেজের দ্বিতীয়পর্যায়ে দোতলা থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণে আরও ২২ কোটি টাকার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আসলেই পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
গণপূর্ত বিভাগ-১, খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিঠুন মিস্ত্রী বলেন, প্রথমধাপে ৪ তলা পর্যন্ত হাসপাতালটি একশ’ বেডের হবে। এরপর বাকী ৬ তলা নির্মাণ শেষ হলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ২শ’ বেডের শিশু হাসপাতাল হবে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেডিএ’র নির্মিতব্য ময়ুরী আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের পাশে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ করছে তমা কনষ্ট্রাকশন এবং রইতি এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে ৫৬৫টি পাইল বসানো এবং লোড টেস্ট শেষ হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত কটি প্রতিষ্ঠান। এ হাসপাতালটি নির্মাণ হলে খুলনার একমাত্র বেসরকারি শিশু হাসপাতালটির ওপর চাপ কমবে। সেইসাথে এ অঞ্চলের শিশুস্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ঘটবে।
বর্তমানে এ হাসপাতাল নির্মাণকাজ তিনি তদারকি করলেও ভবন নির্মাণ শেষ হলে এরজন্য পৃথক পরিচালক নিয়োগসহ স্বতন্ত্রভাবেই অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে সিভিল সার্জন জানান।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ের শিশু হাসপাতাল নির্মাণ খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দীর্ঘ ১০ বছর পরে হলেও এর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ আশান্বিত। এ হাসপাতাল নির্মাণের মধ্যদিয়ে খুলনাঞ্চলের শিশুস্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি আশা করেন।