৫ লক্ষ টাকা লাভের আশা
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ইসাপুর মাঠে গোল্ডেন ক্রাউন হলুদ তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন মিজানুর রহমান নামের এক কৃষক। রসালো এ তরমুজের উপরে হলুদ ভেতরে লাল, সুস্বাদু আর পুষ্টি গুনে ভরপুর। সুস্বাদু এই তরমুজ বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন এলাকার অন্য চাষিরাও। প্রতিদিন এই তরমুজ দেখার জন্য ভীড় করছেন আশপাশের এলাকার লোকজন। উপজেলায় জেসমিন ২, ব্ল্যাক জাকো, রক মেলন, হারভেস্ট সহ দেশীয় অন্যান্য জাতের তরমুজের চাষ হলেও এই প্রথম গোল্ডেন ক্রাউন চায়না জাতের তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে। মিজানুর রহমানের বাড়ী নওগাঁ জেলার আত্রায় উপজেলায় তিনি এখানে একটি কীটনাশক কোম্পানিতে চাকুরী করার সুবাধে দীর্ঘ দিন এ উপজেলায় বসবাস করছেন।
সরেজমিনে ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। মিজানুর রহমান জানান, অনলাইনে ইউটিউব থেকে উৎসাহিত হয়ে এই তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হন তিনি। অনলাইল থেকে ঠিকানা নিয়ে বগুড়া থেকে চারা সংগ্রহ করেন। পরে জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণ করেন তিনি। অবশ্য এ কাজে তিনি এক দিনের প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন। এ কাজে তাকে সহযোগীতা করছেন স্থানীয় কৃষক উজ্জ্বল। তিনি সবসময় ঐ ক্ষেতে দেখভাল করেছেন।
মিজানুর আরো জানান, রোপণ থেকে ফল পাকা পর্যন্ত সময় লাগে ৬০ দিন। বীজ, সার, মাচা আর সুতোর জাল বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। ধারণা করা হচ্ছে বিঘা প্রতি অন্তত দুই লাখ টাকার ফল বিক্রয় হবে।
তিনি আড়াই বিঘা জমি ৪০ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে সেখানে ৩৫ শ চারা রোপণ করেন কিছু চারা নষ্ট হয়ে যায়। এখনো ৩ হাজার গাছ টিকিয়ে রেখেছেন প্রতিটি গাছে দুটি করে তরমুজ রেখেছেন যাতে কওে তরমুজটি পরিপক্ক ও বড় হয় ৬ হাজার ফল আছে তার ঐ ক্ষেতে প্রতিটি ফল গড়ে ১ শ টাক দামে বিক্রয় হলে ঐ জমিতে ৬ লক্ষ টাকা তরমুজ বিক্রয় হবে। গাছের বয়স হয়েছে ৫৫ দিন, আর ৫ দিন পরেই উঠতে শুরু করবে এই ফল।
তার মোট খরচ হবে ফল উঠা পর্যন্ত দেড় লাখের মতো। মাত্র দুই মাসে মধ্যে তার প্রুায় ৫ লাখ টাকার মতো লাভ হবে। তবে পরের বার আরও লাভ বেশী হবে কারন জমির দাম এক বছেরের দেওয়া আছে। আর মালচিংও করতে হবে না ও পলিথিন কিনতে হবে না।
পরামর্শ নিতে আসা কৃষক টুটুল জানান, হলুদ তরমুজ চাষের খবর শুনে তিনি পরামর্শ নিতে এসেছেন। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে এই তরমুজ চাষে বেশ লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। একই কথা জানালেন চাষি আব্বাস ইসলাম ও লতিফর ।
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শ্রী প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। নতুন জাতের এই তরমুজ সারা বছর হওয়াই কৃষক অধিক লাভবান হবে। তার দেখে এখন অনেক কৃষক এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। মিজানুর রহমান এই উপজেলায় প্রথম এ হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের এই তরমুজ চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
৫ লক্ষ টাকা লাভের আশা
রোববার, ০৯ মে ২০২১
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ইসাপুর মাঠে গোল্ডেন ক্রাউন হলুদ তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন মিজানুর রহমান নামের এক কৃষক। রসালো এ তরমুজের উপরে হলুদ ভেতরে লাল, সুস্বাদু আর পুষ্টি গুনে ভরপুর। সুস্বাদু এই তরমুজ বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন এলাকার অন্য চাষিরাও। প্রতিদিন এই তরমুজ দেখার জন্য ভীড় করছেন আশপাশের এলাকার লোকজন। উপজেলায় জেসমিন ২, ব্ল্যাক জাকো, রক মেলন, হারভেস্ট সহ দেশীয় অন্যান্য জাতের তরমুজের চাষ হলেও এই প্রথম গোল্ডেন ক্রাউন চায়না জাতের তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে। মিজানুর রহমানের বাড়ী নওগাঁ জেলার আত্রায় উপজেলায় তিনি এখানে একটি কীটনাশক কোম্পানিতে চাকুরী করার সুবাধে দীর্ঘ দিন এ উপজেলায় বসবাস করছেন।
সরেজমিনে ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। মিজানুর রহমান জানান, অনলাইনে ইউটিউব থেকে উৎসাহিত হয়ে এই তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হন তিনি। অনলাইল থেকে ঠিকানা নিয়ে বগুড়া থেকে চারা সংগ্রহ করেন। পরে জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণ করেন তিনি। অবশ্য এ কাজে তিনি এক দিনের প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন। এ কাজে তাকে সহযোগীতা করছেন স্থানীয় কৃষক উজ্জ্বল। তিনি সবসময় ঐ ক্ষেতে দেখভাল করেছেন।
মিজানুর আরো জানান, রোপণ থেকে ফল পাকা পর্যন্ত সময় লাগে ৬০ দিন। বীজ, সার, মাচা আর সুতোর জাল বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। ধারণা করা হচ্ছে বিঘা প্রতি অন্তত দুই লাখ টাকার ফল বিক্রয় হবে।
তিনি আড়াই বিঘা জমি ৪০ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে সেখানে ৩৫ শ চারা রোপণ করেন কিছু চারা নষ্ট হয়ে যায়। এখনো ৩ হাজার গাছ টিকিয়ে রেখেছেন প্রতিটি গাছে দুটি করে তরমুজ রেখেছেন যাতে কওে তরমুজটি পরিপক্ক ও বড় হয় ৬ হাজার ফল আছে তার ঐ ক্ষেতে প্রতিটি ফল গড়ে ১ শ টাক দামে বিক্রয় হলে ঐ জমিতে ৬ লক্ষ টাকা তরমুজ বিক্রয় হবে। গাছের বয়স হয়েছে ৫৫ দিন, আর ৫ দিন পরেই উঠতে শুরু করবে এই ফল।
তার মোট খরচ হবে ফল উঠা পর্যন্ত দেড় লাখের মতো। মাত্র দুই মাসে মধ্যে তার প্রুায় ৫ লাখ টাকার মতো লাভ হবে। তবে পরের বার আরও লাভ বেশী হবে কারন জমির দাম এক বছেরের দেওয়া আছে। আর মালচিংও করতে হবে না ও পলিথিন কিনতে হবে না।
পরামর্শ নিতে আসা কৃষক টুটুল জানান, হলুদ তরমুজ চাষের খবর শুনে তিনি পরামর্শ নিতে এসেছেন। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে এই তরমুজ চাষে বেশ লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। একই কথা জানালেন চাষি আব্বাস ইসলাম ও লতিফর ।
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শ্রী প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। নতুন জাতের এই তরমুজ সারা বছর হওয়াই কৃষক অধিক লাভবান হবে। তার দেখে এখন অনেক কৃষক এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। মিজানুর রহমান এই উপজেলায় প্রথম এ হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের এই তরমুজ চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।