আশুগঞ্জ উপজেলা
ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৮টি মামলা হয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে এসব মামলার তদন্ত বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঘটনার শিকার পরিবারের সদস্যরা। তিন শতাধিক ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে সর্বশান্ত করা হয়েছে কয়েক’শ পরিবারকে। চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের অত্যাচার নির্যাতনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কয়েক হাজার নারী পুরুষ। এমনি অবস্থায় রবিবার নির্যাতিত পরিবারগুলোর অর্ধশত নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। অত্যাচার নির্যাতনে দিশেহারা উপজেলার চরচারতলা গ্রামের চারটি বংশের ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে এ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নার্গিস বেগম বলেন, গত ২২ জানুয়ারী রাতে চরচারতলা গ্রামের লতিফ বাড়ি ও মুন্সি বাড়ি গোষ্ঠির মধ্যে ঝগড়া হয়। অন্ধকারে সংগঠিত ওই ঝগড়ায় কে বা কার টেঁটার আঘাতে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি নিহত হন। পরবর্তীতে জামাল মুন্সির বড়ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়। এলাকার চাঞ্চল্যকর ফাইভ মার্ডার মামলার অন্যতম আসামী হানিফ মুন্সির নেতৃত্বে কয়েক’শ লোক লতিফ বাড়ি, খাঁ বাড়ি, খন্দকার বাড়ি ও নাগর বাড়ি বংশের তিন শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায়। এথেকে বাদ যায়নি ৬০-৬৫টি প্রবাসী পরিবারও। লুটতরাজে কোন ঘরে ভাত খাবার থালা-বাটিও রাখা হয়নি। শতাধিক গরু-মহিষ,৬০টি মোটর সাইকেল,দেড়শো একর জমির ফসল এবং কয়েক’শ গাছ কেটে নেয়া হয়। হানিফ মুন্সি আওয়ামী লীগের পদের অপব্যাবহার করে তাদেরকে সর্বশান্ত করে পথে বসিয়েছেন উল্লেখ করে বলা হয় এঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নিতেও অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে আদালতে ৮টি মামলা করা হয়। আদালত মামলাগুলো পিবিআই ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু হানিফ মুন্সি প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে আসা নারীরা বলেন এই রোজার মাসেও তারা নিজ বাড়িতে থাকতে পারছেননা। রোহিঙ্গাদের মতো অন্যদের বাড়ি গিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। নার্গিসসহ অনেক নারী হানিফ ও তার লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।
হানিফ মুন্সির অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহানুভূতি কামনা করেন এবং হানিফ মুন্সিসহ যারা লাটুপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে তাদের পথে বসিয়েছেন, তাঁদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখিন করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে চার বংশের ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে সুমি আক্তার, পুতুল বেগম, মনোয়ারা বেগম, জান্নাত, লিলুফা ইয়াছমিন, রুজি বেগম বকুল বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা
রোববার, ০৯ মে ২০২১
ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৮টি মামলা হয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে এসব মামলার তদন্ত বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঘটনার শিকার পরিবারের সদস্যরা। তিন শতাধিক ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে সর্বশান্ত করা হয়েছে কয়েক’শ পরিবারকে। চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের অত্যাচার নির্যাতনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কয়েক হাজার নারী পুরুষ। এমনি অবস্থায় রবিবার নির্যাতিত পরিবারগুলোর অর্ধশত নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। অত্যাচার নির্যাতনে দিশেহারা উপজেলার চরচারতলা গ্রামের চারটি বংশের ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে এ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নার্গিস বেগম বলেন, গত ২২ জানুয়ারী রাতে চরচারতলা গ্রামের লতিফ বাড়ি ও মুন্সি বাড়ি গোষ্ঠির মধ্যে ঝগড়া হয়। অন্ধকারে সংগঠিত ওই ঝগড়ায় কে বা কার টেঁটার আঘাতে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি নিহত হন। পরবর্তীতে জামাল মুন্সির বড়ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়। এলাকার চাঞ্চল্যকর ফাইভ মার্ডার মামলার অন্যতম আসামী হানিফ মুন্সির নেতৃত্বে কয়েক’শ লোক লতিফ বাড়ি, খাঁ বাড়ি, খন্দকার বাড়ি ও নাগর বাড়ি বংশের তিন শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায়। এথেকে বাদ যায়নি ৬০-৬৫টি প্রবাসী পরিবারও। লুটতরাজে কোন ঘরে ভাত খাবার থালা-বাটিও রাখা হয়নি। শতাধিক গরু-মহিষ,৬০টি মোটর সাইকেল,দেড়শো একর জমির ফসল এবং কয়েক’শ গাছ কেটে নেয়া হয়। হানিফ মুন্সি আওয়ামী লীগের পদের অপব্যাবহার করে তাদেরকে সর্বশান্ত করে পথে বসিয়েছেন উল্লেখ করে বলা হয় এঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নিতেও অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে আদালতে ৮টি মামলা করা হয়। আদালত মামলাগুলো পিবিআই ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু হানিফ মুন্সি প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে আসা নারীরা বলেন এই রোজার মাসেও তারা নিজ বাড়িতে থাকতে পারছেননা। রোহিঙ্গাদের মতো অন্যদের বাড়ি গিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। নার্গিসসহ অনেক নারী হানিফ ও তার লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।
হানিফ মুন্সির অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহানুভূতি কামনা করেন এবং হানিফ মুন্সিসহ যারা লাটুপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে তাদের পথে বসিয়েছেন, তাঁদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখিন করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে চার বংশের ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে সুমি আক্তার, পুতুল বেগম, মনোয়ারা বেগম, জান্নাত, লিলুফা ইয়াছমিন, রুজি বেগম বকুল বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।