খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের জন্য তৈরি বাসভবন দু’টি হস্তান্তরের প্রায় দেড়বছর পরও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠাণ গণপূর্ত বিভাগ বলছে, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের জন্য নির্দিষ্ট দু’টি বাসভবন ছাড়াও ডাক্তার ও নার্স ডরমেটরী এবং হাসপাতালের মূল ভবনের সম্প্রসারিত অংশ অনেক আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাসপাতালের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ডা, কামরুল হক বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে ওই দু’টি বাসভবনসহ হাসপাতালের ৫ম তলার সম্প্রসারিত অংশ বুঝে নেন। এরপর তিনি প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও সেই থেকে এখন পর্যন্ত কোন পরিচালক-উপপরিচালক ভবন দু’টি ব্যবহার করেননি। তবে ডাক্তার ও নার্স ডরমেটরীতে অনেকেই বসবাস করছেন।
হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভবন দু’টি হস্তান্তরের পর শুরুতেই পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা, বিধান চন্দ্র গোস্বামী। তিনি আগে থেকেই বাইরে অবস্থান করছিলেন তাই চাকরী জীবনের শেষে এসে আর ওই ভবনে ওঠেননি। এরপর তিনি অবসরে গেলে সেখানে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান উপ-পরিচালক ডা. এসএম মোর্শেদ। পরে সেখানে যোগ দেন বর্তমান পরিচালক মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার। কিন্তু রেজা সেকেন্দারও ওই ভবনে না উঠে পাশের ডাক্তার ডরমেটরীতে ওঠেন।
এ ব্যাপারে পরিচালক ডা. মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে উপ-পরিচালক ডা. এসএম মোর্শেদ বলেন, তিনি যেহেতু আগে থেকেই নিজ বাড়িতে থাকছেন যে কারণে তার জন্য নির্দিষ্ট ভবনে উঠবেন কি না সে সিদ্ধান্ত এখনও নেননি।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, কোন কর্মকর্তার জন্য আবাসিক ভবন নির্দিষ্ট থাকলে তিনি সেখানে থাকেন বা না থাকেন তার বাসা ভাড়া কর্তন করতে হবে। কিন্তু আবু নাসের হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবন দু’টি হস্তান্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন পরিচালক ও উপ-পরিচালকের বাসা ভাড়াই কর্তন করা হয়নি।
সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক) খুলনার সভাপতি এড. শামীমা সুলতানা শীলু বলেন, শুধু আবু নাসের হাসপাতাল নয়, সকল প্রতিষ্ঠানেই স্বচ্ছতা থাকা উচিত। যারজন্য আবাসিক ভবন নির্দিষ্ট তাকে সেখানে থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।
রোববার, ০৯ মে ২০২১
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের জন্য তৈরি বাসভবন দু’টি হস্তান্তরের প্রায় দেড়বছর পরও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠাণ গণপূর্ত বিভাগ বলছে, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের জন্য নির্দিষ্ট দু’টি বাসভবন ছাড়াও ডাক্তার ও নার্স ডরমেটরী এবং হাসপাতালের মূল ভবনের সম্প্রসারিত অংশ অনেক আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাসপাতালের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ডা, কামরুল হক বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে ওই দু’টি বাসভবনসহ হাসপাতালের ৫ম তলার সম্প্রসারিত অংশ বুঝে নেন। এরপর তিনি প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও সেই থেকে এখন পর্যন্ত কোন পরিচালক-উপপরিচালক ভবন দু’টি ব্যবহার করেননি। তবে ডাক্তার ও নার্স ডরমেটরীতে অনেকেই বসবাস করছেন।
হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভবন দু’টি হস্তান্তরের পর শুরুতেই পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা, বিধান চন্দ্র গোস্বামী। তিনি আগে থেকেই বাইরে অবস্থান করছিলেন তাই চাকরী জীবনের শেষে এসে আর ওই ভবনে ওঠেননি। এরপর তিনি অবসরে গেলে সেখানে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান উপ-পরিচালক ডা. এসএম মোর্শেদ। পরে সেখানে যোগ দেন বর্তমান পরিচালক মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার। কিন্তু রেজা সেকেন্দারও ওই ভবনে না উঠে পাশের ডাক্তার ডরমেটরীতে ওঠেন।
এ ব্যাপারে পরিচালক ডা. মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে উপ-পরিচালক ডা. এসএম মোর্শেদ বলেন, তিনি যেহেতু আগে থেকেই নিজ বাড়িতে থাকছেন যে কারণে তার জন্য নির্দিষ্ট ভবনে উঠবেন কি না সে সিদ্ধান্ত এখনও নেননি।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, কোন কর্মকর্তার জন্য আবাসিক ভবন নির্দিষ্ট থাকলে তিনি সেখানে থাকেন বা না থাকেন তার বাসা ভাড়া কর্তন করতে হবে। কিন্তু আবু নাসের হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবন দু’টি হস্তান্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন পরিচালক ও উপ-পরিচালকের বাসা ভাড়াই কর্তন করা হয়নি।
সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক) খুলনার সভাপতি এড. শামীমা সুলতানা শীলু বলেন, শুধু আবু নাসের হাসপাতাল নয়, সকল প্রতিষ্ঠানেই স্বচ্ছতা থাকা উচিত। যারজন্য আবাসিক ভবন নির্দিষ্ট তাকে সেখানে থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।