প্রকৃতির অকৃপণ রূপ লাবণ্যে ঘেরা সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। বর্ষায় পাহাড়-টিলা, নদী, ঝর্ণা আর চা-বাগানে সবুজের সমারোহ। নয়নাভিরাম এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ঈদ পরবর্তী সময় কিংবা বিশেষ কোন দিবসে ভ্রমণপিয়সী মানুষ ছুটে আসতেন এখানে। যেখানে পর্যটকরা মুগ্ধ হন, প্রেমে পড়েন শীতল প্রকৃতির এই লীলাভূমির।
সারা বছরই এখানে পর্যটকদের আনাগোনা থাকতো চোখে পড়ার মতো। ঈদ মৌসুম থেকে শুরু করে বিশেষ কোন দিনে এখানে লাখ লাখ পর্যটকে মুখর হয়ে উঠতো। এখানকার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক শোভা অতি সহজে মুগ্ধ করে যে কাউকে। আর পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাতো পর্যকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, ফটোগ্রাফার, ট্যুরিস্ট গাইড, নৌকার মাঝিরা। কিন্তু চলমান করোনার কারণে সব বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য হয়ে হাহাকার করছে এই পর্যটন কেন্দ্র। এতে ব্যবসায়ীরা রয়েছেন বিপাকে।
প্রতি বছর ঈদকে ঘিরে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা তাদের দোকানে নতুন নতুন পণ্য তুললেও এবার তা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে এ পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন পর্যটন শিল্পে জড়িত মানুষ।
জানা যায়, প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পর্যটক দেখা যেত জাফলংয়ে। বন্ধু-বান্ধব পরিবার ও পরিজন নিয়ে নানা জায়গা থেকে ভ্রমন পিপাসুরা আসতেন এখানে। ঈদের পরদিন সকাল থেকে হাজারো মানুষের কোলাহলে উৎসবমুখর হয়ে উঠতো এই এলাকা। পর্যটকে পরিপূরণ থাকত জাফলংয়ের জিরোপয়েন্ট, চা বাগান, খাশিয়া পল্লী, মায়াবী ঝর্ণায়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে জাফলংয়ে এখন পর্যটক শূন্য। অন্যান্য বছর ঈদের সময় পর্যটকে মুখর থাকতো জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট। কিন্তু করোনার কারণে সব যেন বদলে গেছে। জানিনা এবার ঈদে পর্যটন স্পট খুলবে কি না।
ব্যবসায়ী নুর নবী মিয়া জানান, প্রতি বছর ঈদকে ঘিরে দোকানে আমরা নতুন নতুন পণ্য তুলে থাকি। তবে, এবার কোন মালামাল তুলা হয়নি। পর্যটন এলাকা বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা চরম হতাশার মধ্যে রয়েছি।
জাফলং ফটোগ্রাফার সমিতির সভাপতি সোহেল আহমেদ বলেন, আমাদের সংগঠনে ২-৩ শ’ জন ফটোগ্রাফার রয়েছে। তারা পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু করোনার কারণে স্পট বন্ধ থাকায় সব বেকার হয়ে পড়েছেন। জানি না এভাবে আর কত দিন চলবে।
এ বিষয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যটক আসছেন না। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পর্যটন স্পট বন্ধ থাকবে। আশা করা যাচ্ছে করোনার প্রকোপ কমে গেলে আবারও পর্যটন এলাকায় কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে।
মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
প্রকৃতির অকৃপণ রূপ লাবণ্যে ঘেরা সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। বর্ষায় পাহাড়-টিলা, নদী, ঝর্ণা আর চা-বাগানে সবুজের সমারোহ। নয়নাভিরাম এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ঈদ পরবর্তী সময় কিংবা বিশেষ কোন দিবসে ভ্রমণপিয়সী মানুষ ছুটে আসতেন এখানে। যেখানে পর্যটকরা মুগ্ধ হন, প্রেমে পড়েন শীতল প্রকৃতির এই লীলাভূমির।
সারা বছরই এখানে পর্যটকদের আনাগোনা থাকতো চোখে পড়ার মতো। ঈদ মৌসুম থেকে শুরু করে বিশেষ কোন দিনে এখানে লাখ লাখ পর্যটকে মুখর হয়ে উঠতো। এখানকার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক শোভা অতি সহজে মুগ্ধ করে যে কাউকে। আর পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাতো পর্যকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, ফটোগ্রাফার, ট্যুরিস্ট গাইড, নৌকার মাঝিরা। কিন্তু চলমান করোনার কারণে সব বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য হয়ে হাহাকার করছে এই পর্যটন কেন্দ্র। এতে ব্যবসায়ীরা রয়েছেন বিপাকে।
প্রতি বছর ঈদকে ঘিরে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা তাদের দোকানে নতুন নতুন পণ্য তুললেও এবার তা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে এ পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন পর্যটন শিল্পে জড়িত মানুষ।
জানা যায়, প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পর্যটক দেখা যেত জাফলংয়ে। বন্ধু-বান্ধব পরিবার ও পরিজন নিয়ে নানা জায়গা থেকে ভ্রমন পিপাসুরা আসতেন এখানে। ঈদের পরদিন সকাল থেকে হাজারো মানুষের কোলাহলে উৎসবমুখর হয়ে উঠতো এই এলাকা। পর্যটকে পরিপূরণ থাকত জাফলংয়ের জিরোপয়েন্ট, চা বাগান, খাশিয়া পল্লী, মায়াবী ঝর্ণায়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে জাফলংয়ে এখন পর্যটক শূন্য। অন্যান্য বছর ঈদের সময় পর্যটকে মুখর থাকতো জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট। কিন্তু করোনার কারণে সব যেন বদলে গেছে। জানিনা এবার ঈদে পর্যটন স্পট খুলবে কি না।
ব্যবসায়ী নুর নবী মিয়া জানান, প্রতি বছর ঈদকে ঘিরে দোকানে আমরা নতুন নতুন পণ্য তুলে থাকি। তবে, এবার কোন মালামাল তুলা হয়নি। পর্যটন এলাকা বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা চরম হতাশার মধ্যে রয়েছি।
জাফলং ফটোগ্রাফার সমিতির সভাপতি সোহেল আহমেদ বলেন, আমাদের সংগঠনে ২-৩ শ’ জন ফটোগ্রাফার রয়েছে। তারা পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু করোনার কারণে স্পট বন্ধ থাকায় সব বেকার হয়ে পড়েছেন। জানি না এভাবে আর কত দিন চলবে।
এ বিষয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যটক আসছেন না। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পর্যটন স্পট বন্ধ থাকবে। আশা করা যাচ্ছে করোনার প্রকোপ কমে গেলে আবারও পর্যটন এলাকায় কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে।