মুসলমানদের দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। আর ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ছেড়ে নিজ ঠিকানায় ফিরছে হাজারো মানুষ। নানা শ্রেণীপেশার এসব মানুষ বাড়ির পথে ছুটে চলেছেন বিভিন্ন যানবাহনে। এমন সুযোগও কাজে লাগাচ্ছেন যানবাহন চালকরা। ঢাকায় নয় বাড়িতে গিয়েই ঈদ করতে হবে তাদের। পরিবার পরিজনও রয়েছে অপেক্ষায়। আর তাই দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মাওয়া-শিমুলিয়া এখন জনসমুদ্র। অপেক্ষা ফেরির। যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছে অনেকটা গাদাগাদি করে। এ অবস্থায় বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির।
অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, করোনার কারণে গত বছর বাড়িতে যেতে পারেনি। তাই এ বছর যেভাবেই হোক বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে হবে। দুই ঈদ আর বড় ছুটি ছাড়া বাড়ি যাওয়া হয় না। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা আর ভাই-ভাতিজারা আছেন। সবার জন্যই কিনেছেন নতুন জামা-কাপড়। বাড়ির সবাই তাদের পথ চেয়ে বসে আছেন। তাই তো সরকারি বিধিনিষেধ বা সড়কের চেকপোস্ট কোনো কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না এসকল যাত্রীকে। রাতে সাহরি খেয়েই বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন তারা।
নুরুজ্জামান গলাচিপার বাসিন্দা, দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকা মিরপুরে বসবাস করেন।
পরিবারের দুই সন্তান স্ত্রীসহ চরজন। নিজস্ব প্রাইভেটকার নিয়ে ছুটছেন বাড়িতে। অনেক চেকপোস্ট পাড়ি দিয়ে মাওয়া ঘাট দিয়ে ফেরিতে উঠতে পেরে খুবই খুশি তিনি। চোখে মুখে হাসির আভা। মনে হচ্ছে ফেরিতে প্রাইভেটকার নিয়ে উঠতে পেরে বিশাল যুদ্ধ জয় করে এসেছেন।
নুরুজ্জমানের মতো হাজারো মানুষ করোনা সংক্রমণ ভয়কে তুচ্ছ করে মাওয়া-শিমুলিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে ছুটছেন বাড়ির পথে। এই বাড়ি যাওয়ার সাথে তাদের যেন আবেগ জড়িত।
ফরিদপুরগামী রফিকুজ্জামান বলেন, ‘করোনার ভয় আছে। তারপরও উপায় নেই, বাড়ি যেতে হবে। মা-বাবা বসে আছেন। তাদের একমাত্র সন্তান আমি। তাদের ছাড়া কীভাবে ঈদ করব? তবে সরকার দূরপাল্লার বাস চালু করলে এই দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’
বুধবার সকাল থেকে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়ে আসা মানুষের চাপ রয়েছে। তবে বিনা বাধায় পারাপার হতে পারছেন ফেরিতে। চাপ রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়িরও।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মাওয়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে একের পর এক ফেরি। একইভাবে বাংলাবাজার ঘাট থেকেও ফেরি আসছে। ঘাটে পৌঁছে ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পেরে স্বস্তি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলছে। তবে ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী চার শতাধিক গাড়ি। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না।’ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে যথেষ্ট ফেরি চলাচল করছে। এ কারণে ঘাটে জরুরি যানের সাথে যাত্রীরা সহজেই পারাপার হতে পারছেন।
বুধবার, ১২ মে ২০২১
মুসলমানদের দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। আর ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ছেড়ে নিজ ঠিকানায় ফিরছে হাজারো মানুষ। নানা শ্রেণীপেশার এসব মানুষ বাড়ির পথে ছুটে চলেছেন বিভিন্ন যানবাহনে। এমন সুযোগও কাজে লাগাচ্ছেন যানবাহন চালকরা। ঢাকায় নয় বাড়িতে গিয়েই ঈদ করতে হবে তাদের। পরিবার পরিজনও রয়েছে অপেক্ষায়। আর তাই দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মাওয়া-শিমুলিয়া এখন জনসমুদ্র। অপেক্ষা ফেরির। যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছে অনেকটা গাদাগাদি করে। এ অবস্থায় বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির।
অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, করোনার কারণে গত বছর বাড়িতে যেতে পারেনি। তাই এ বছর যেভাবেই হোক বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে হবে। দুই ঈদ আর বড় ছুটি ছাড়া বাড়ি যাওয়া হয় না। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা আর ভাই-ভাতিজারা আছেন। সবার জন্যই কিনেছেন নতুন জামা-কাপড়। বাড়ির সবাই তাদের পথ চেয়ে বসে আছেন। তাই তো সরকারি বিধিনিষেধ বা সড়কের চেকপোস্ট কোনো কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না এসকল যাত্রীকে। রাতে সাহরি খেয়েই বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন তারা।
নুরুজ্জামান গলাচিপার বাসিন্দা, দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকা মিরপুরে বসবাস করেন।
পরিবারের দুই সন্তান স্ত্রীসহ চরজন। নিজস্ব প্রাইভেটকার নিয়ে ছুটছেন বাড়িতে। অনেক চেকপোস্ট পাড়ি দিয়ে মাওয়া ঘাট দিয়ে ফেরিতে উঠতে পেরে খুবই খুশি তিনি। চোখে মুখে হাসির আভা। মনে হচ্ছে ফেরিতে প্রাইভেটকার নিয়ে উঠতে পেরে বিশাল যুদ্ধ জয় করে এসেছেন।
নুরুজ্জমানের মতো হাজারো মানুষ করোনা সংক্রমণ ভয়কে তুচ্ছ করে মাওয়া-শিমুলিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে ছুটছেন বাড়ির পথে। এই বাড়ি যাওয়ার সাথে তাদের যেন আবেগ জড়িত।
ফরিদপুরগামী রফিকুজ্জামান বলেন, ‘করোনার ভয় আছে। তারপরও উপায় নেই, বাড়ি যেতে হবে। মা-বাবা বসে আছেন। তাদের একমাত্র সন্তান আমি। তাদের ছাড়া কীভাবে ঈদ করব? তবে সরকার দূরপাল্লার বাস চালু করলে এই দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’
বুধবার সকাল থেকে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়ে আসা মানুষের চাপ রয়েছে। তবে বিনা বাধায় পারাপার হতে পারছেন ফেরিতে। চাপ রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়িরও।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মাওয়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে একের পর এক ফেরি। একইভাবে বাংলাবাজার ঘাট থেকেও ফেরি আসছে। ঘাটে পৌঁছে ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পেরে স্বস্তি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলছে। তবে ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী চার শতাধিক গাড়ি। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না।’ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে যথেষ্ট ফেরি চলাচল করছে। এ কারণে ঘাটে জরুরি যানের সাথে যাত্রীরা সহজেই পারাপার হতে পারছেন।