করোনা সংক্রমনের কারনে লক ডাউন ঘোষনা করে ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ করে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করার সুযোগ দেবার প্রতিবাদে শনিবার রাতে নগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মটর শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের বাঁধার মুখে প্রাইভেট মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানার আখতারুজ্জামান প্রধান ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায় রংপুর মহানগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় এলাকা দিয়ে ঈদ করতে আসা রংপুর সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ আবারো ঢাকায় ফেরার জন্য মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কারে করে ঢাকায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। অর্ধশতাধিক গাড়ি সেখানে জড়ো হয়ে জনপ্রতি তিনগুন ভাড়া নিয়ে নিচ্ছে এমন খবর জানাজানি হলে শনিবার সন্ধা ৭ টার দিকে মটর শ্রমিকরা মর্ডান মোড়ে রংপুর ঢাকা মহাসড়কে এক জোট হয়ে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচলে বাঁধা দেয়।
তারা গাড়ি গুলোতে অবস্থান করা যাত্রীদের গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দেয়। এ নিয়ে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে মটর শ্রমিকদের বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ মটর শ্রমিকরা মর্ডান মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুরো মর্ডান মোড় এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মটর শ্রমিক নেতা মাহবুব অভিযোগ করে সরকার লক ডাউন ঘোষনা করে আন্তঃজেলা ও ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে। ফলে আমরা রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহিন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর ভাবে দিন কাটাচ্ছি। এমনি অবস্থায় মাইক্রেবাস আর প্রাইভেট কার প্রকাশ্যই তিনগুন ভাড়া নিয়ে যাত্রী তুলে রংপুর থেকে ঢাকায় যাতায়াত করছে। তিনি বলেন লক ডাউন সরকারী নির্দ্দেশ অনুযায়ী বাস বন্ধ থাকলে মাইক্রেবাস আর প্র্ইাভেট কারও চলবেনা। এ দাবিতে আমরা বিক্ষোভ করছি বলে জানান তিনি।
খবর পেয়ে মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স মর্ডান মোড়ে গিয়ে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকায় যাওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম থেকে আসা সোহরাব হোসেন জানান রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষকে ঢাকায় যেতে হলে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় দিয়েই যেতে হয় আর কোন বিকল্প পথ নেই। ফলে অটোতে রিকশায় বিভিন্ন ভাবে মর্ডান মোড়ে এসেছে। এখন কাল রোববার চাকুরীতে যোগদান করতে হব্ েকিন্তু মটর শ্রমিকরা যেতে দিচ্ছেনা। একই কথা জানান নীলফামারী থেকে আসা নাসরিন জাহান ও তার ছেলে রাজিব সহ অনেকেই।
এদিকে মাইক্রেবাস ও প্রইভেট কারের ড্রাইভার হেলপাররা বলছেন গাড়ি না চললে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চলবেন কিভাবে?। তা ছাড়া সকলকে ম্যানেজ করেই তারা ঢাকায় ঢাকায় যাতায়াত করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন মটর শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক লক ডাউন সরকারী নির্দ্দেশনা অনুযায়ী বাস না চললে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলবেনা। আর এ সব গাড়ি যাত্রী নিয়ে চলাচল করে সেকারনে আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সোয়া ৮টা মর্ডান মোড়ে মটর শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আছে। সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার, ১৫ মে ২০২১
করোনা সংক্রমনের কারনে লক ডাউন ঘোষনা করে ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ করে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করার সুযোগ দেবার প্রতিবাদে শনিবার রাতে নগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মটর শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের বাঁধার মুখে প্রাইভেট মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানার আখতারুজ্জামান প্রধান ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায় রংপুর মহানগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় এলাকা দিয়ে ঈদ করতে আসা রংপুর সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ আবারো ঢাকায় ফেরার জন্য মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কারে করে ঢাকায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। অর্ধশতাধিক গাড়ি সেখানে জড়ো হয়ে জনপ্রতি তিনগুন ভাড়া নিয়ে নিচ্ছে এমন খবর জানাজানি হলে শনিবার সন্ধা ৭ টার দিকে মটর শ্রমিকরা মর্ডান মোড়ে রংপুর ঢাকা মহাসড়কে এক জোট হয়ে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচলে বাঁধা দেয়।
তারা গাড়ি গুলোতে অবস্থান করা যাত্রীদের গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দেয়। এ নিয়ে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে মটর শ্রমিকদের বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ মটর শ্রমিকরা মর্ডান মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুরো মর্ডান মোড় এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মটর শ্রমিক নেতা মাহবুব অভিযোগ করে সরকার লক ডাউন ঘোষনা করে আন্তঃজেলা ও ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে। ফলে আমরা রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহিন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর ভাবে দিন কাটাচ্ছি। এমনি অবস্থায় মাইক্রেবাস আর প্রাইভেট কার প্রকাশ্যই তিনগুন ভাড়া নিয়ে যাত্রী তুলে রংপুর থেকে ঢাকায় যাতায়াত করছে। তিনি বলেন লক ডাউন সরকারী নির্দ্দেশ অনুযায়ী বাস বন্ধ থাকলে মাইক্রেবাস আর প্র্ইাভেট কারও চলবেনা। এ দাবিতে আমরা বিক্ষোভ করছি বলে জানান তিনি।
খবর পেয়ে মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স মর্ডান মোড়ে গিয়ে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকায় যাওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম থেকে আসা সোহরাব হোসেন জানান রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষকে ঢাকায় যেতে হলে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় দিয়েই যেতে হয় আর কোন বিকল্প পথ নেই। ফলে অটোতে রিকশায় বিভিন্ন ভাবে মর্ডান মোড়ে এসেছে। এখন কাল রোববার চাকুরীতে যোগদান করতে হব্ েকিন্তু মটর শ্রমিকরা যেতে দিচ্ছেনা। একই কথা জানান নীলফামারী থেকে আসা নাসরিন জাহান ও তার ছেলে রাজিব সহ অনেকেই।
এদিকে মাইক্রেবাস ও প্রইভেট কারের ড্রাইভার হেলপাররা বলছেন গাড়ি না চললে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চলবেন কিভাবে?। তা ছাড়া সকলকে ম্যানেজ করেই তারা ঢাকায় ঢাকায় যাতায়াত করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন মটর শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক লক ডাউন সরকারী নির্দ্দেশনা অনুযায়ী বাস না চললে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলবেনা। আর এ সব গাড়ি যাত্রী নিয়ে চলাচল করে সেকারনে আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সোয়া ৮টা মর্ডান মোড়ে মটর শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আছে। সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।