ঢাকাগামি যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ
করোনা সংক্রমনের কারনে লক ডাউন ঘোষনা করে ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ করে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করার সুযোগ দেবার ঘটনা প্রতিহত করতে মটর শ্রমিকরা নগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। তারা ঘোষনা দিয়েছে লক ডাউনের মধ্যে আন্তঃ জেলা ও ঢাকাগামি বাস চলাচল না করলে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেয়া হবেনা। ফলে শ্রমিকদের বাঁধার মুখে প্রাইভেট মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে শত শত যাত্রী সকাল থেকে বাস বন্ধ থাকার কারনে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কারে যাতায়াত করতে না পেরে চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছে।
রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ জানান আমি নিজে সকাল থেকে মর্ডান মোড়ে অবস্থান নিয়েছি আমার নেতৃত্বে মটর শ্রমিকরা অবরোধে অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন আমরা করোনা কালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঢাকা গামি বাস চলাচল করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানালেও কোন কাজ হয়নি। অথচ মাইক্রেবাসে ১০সীটের মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ জন যাত্রী গাদাগাদি ও ঠাসা ঠাসা করে তিনগুন ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করছে। একই অবস্থা প্রাইভেট কার গুলোতে। এ ছাড়াও কিছু অখ্যাত বাস গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। এরা কোন স্বাস্থ্য বিধি মানছেনা মুখে মাস্ক নেই। সে কারনে আমরা অখ্যাত বাস ও মাইক্রো ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন হয় আমাদের বাস চলাচলের অনুমতি দিতে হবে অন্যথায় কোন অবৈধ প্রাইভেট গাড়ি চলবেনা।
এদিকে সকাল থেকে মটর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এদিকে ঢাকাগামি যাত্রীরা যান বাহনের অভাবে চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। নীলফামারী থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মর্ডান মোড়ে এসেছেন মমতাজ আলী তিনি ৩০ টাকার জায়গায় আড়াইশ টাকা খরচ করে এখোনে আসলাম। প্রাইবৈট কার আর মাইক্রেবাস গুলো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া চাচ্ছে। এমনিতে ঢাকা গামি বাসে যেতে ৫শ টাকা ভাড়া লাগতো। ঈদ করতে আগের দিন বাসায় এসেছিলাম জানিয়ে বললেন ঢাকায় কাল সকালে পৌছাতে হবে না হলে চাকুরী থাকবেনা। এখন একদিকে তিন গুন ভাড়া চাচ্ছে অন্যদিকে মটর শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল করতে দিচ্ছেনা। একই কথা জানালেন কুড়িগ্রাম থেকে আসা রহমান মোস্তাফিজ ও তার সহকর্মী সালাম তারা জানালো সোমবার ছুটি শেষ কাল কাজে যোগদান করতে হবে এখন আমরা গাড়ি পাচ্ছিনা কিভাবে যাবো বুঝতে পারছিনা। তাদের মতো শক শত মানুষ ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে মর্ডান মোড়ে অবস্থান করছে কিন্তু গাড়ি পাচ্ছেনা।
তবে অনেক যাত্রীকে অটো রিকশা সহ বিভিন্ন ভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মর্ডান মোড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
লালমনিরহাট থেকে আসা আলআমিন জানালেন ঢাকায় যেতে হলে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় এলাকা দিয়ে যেতেই হয়। সকাল থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেও গাড়ি পাচ্ছিনা। সরকার অভ্যান্তরীন রুটে বাস চলাচল করার অনুমতি দিয়েছে। মাইক্রোবাস প্রাইভেট কারে দ্বিগুন যাত্রী ঠাসাঠাসি করে যাচ্ছে নঅথচ ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারের এটা হঠকারি সিদ্ধান্ত এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
এ ব্যাপারে মর্ডান মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফরহাদ হোসেন জানান স্বাস্থ্য বিধি না মানলে সেই গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছেনা। মটর শ্রমিকরা তাদের সহায়তা করছে বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ঢাকাগামি যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ
সোমবার, ১৭ মে ২০২১
করোনা সংক্রমনের কারনে লক ডাউন ঘোষনা করে ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ করে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করার সুযোগ দেবার ঘটনা প্রতিহত করতে মটর শ্রমিকরা নগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। তারা ঘোষনা দিয়েছে লক ডাউনের মধ্যে আন্তঃ জেলা ও ঢাকাগামি বাস চলাচল না করলে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেয়া হবেনা। ফলে শ্রমিকদের বাঁধার মুখে প্রাইভেট মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে শত শত যাত্রী সকাল থেকে বাস বন্ধ থাকার কারনে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কারে যাতায়াত করতে না পেরে চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছে।
রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ জানান আমি নিজে সকাল থেকে মর্ডান মোড়ে অবস্থান নিয়েছি আমার নেতৃত্বে মটর শ্রমিকরা অবরোধে অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন আমরা করোনা কালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঢাকা গামি বাস চলাচল করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানালেও কোন কাজ হয়নি। অথচ মাইক্রেবাসে ১০সীটের মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ জন যাত্রী গাদাগাদি ও ঠাসা ঠাসা করে তিনগুন ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করছে। একই অবস্থা প্রাইভেট কার গুলোতে। এ ছাড়াও কিছু অখ্যাত বাস গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। এরা কোন স্বাস্থ্য বিধি মানছেনা মুখে মাস্ক নেই। সে কারনে আমরা অখ্যাত বাস ও মাইক্রো ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন হয় আমাদের বাস চলাচলের অনুমতি দিতে হবে অন্যথায় কোন অবৈধ প্রাইভেট গাড়ি চলবেনা।
এদিকে সকাল থেকে মটর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এদিকে ঢাকাগামি যাত্রীরা যান বাহনের অভাবে চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। নীলফামারী থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মর্ডান মোড়ে এসেছেন মমতাজ আলী তিনি ৩০ টাকার জায়গায় আড়াইশ টাকা খরচ করে এখোনে আসলাম। প্রাইবৈট কার আর মাইক্রেবাস গুলো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া চাচ্ছে। এমনিতে ঢাকা গামি বাসে যেতে ৫শ টাকা ভাড়া লাগতো। ঈদ করতে আগের দিন বাসায় এসেছিলাম জানিয়ে বললেন ঢাকায় কাল সকালে পৌছাতে হবে না হলে চাকুরী থাকবেনা। এখন একদিকে তিন গুন ভাড়া চাচ্ছে অন্যদিকে মটর শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল করতে দিচ্ছেনা। একই কথা জানালেন কুড়িগ্রাম থেকে আসা রহমান মোস্তাফিজ ও তার সহকর্মী সালাম তারা জানালো সোমবার ছুটি শেষ কাল কাজে যোগদান করতে হবে এখন আমরা গাড়ি পাচ্ছিনা কিভাবে যাবো বুঝতে পারছিনা। তাদের মতো শক শত মানুষ ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে মর্ডান মোড়ে অবস্থান করছে কিন্তু গাড়ি পাচ্ছেনা।
তবে অনেক যাত্রীকে অটো রিকশা সহ বিভিন্ন ভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মর্ডান মোড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
লালমনিরহাট থেকে আসা আলআমিন জানালেন ঢাকায় যেতে হলে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় এলাকা দিয়ে যেতেই হয়। সকাল থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেও গাড়ি পাচ্ছিনা। সরকার অভ্যান্তরীন রুটে বাস চলাচল করার অনুমতি দিয়েছে। মাইক্রোবাস প্রাইভেট কারে দ্বিগুন যাত্রী ঠাসাঠাসি করে যাচ্ছে নঅথচ ঢাকাগামি বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারের এটা হঠকারি সিদ্ধান্ত এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
এ ব্যাপারে মর্ডান মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফরহাদ হোসেন জানান স্বাস্থ্য বিধি না মানলে সেই গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছেনা। মটর শ্রমিকরা তাদের সহায়তা করছে বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের এ কর্মকর্তা।