ময়মনসিংহে মৃত্যু ২ শনাক্ত ৯
করোনা পজিটিভ হয়ে ময়মনসিংহে ২৪ ঘণ্টায় দুইজন মারা গেছে। এছাড়াও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ১৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ০২ জন সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার বাসিন্দা বাকিরা অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দা। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১২ জন। জেলাপ্রশাসন জানিয়েছে ২৪ ঘন্টায় করোনা পজেঠিভ হযে জেলার মুক্তাগাছায় ও ফুলপুর উপজেলায় একজন করে মোট দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী জেলায় এ পর্যন্ত করোনা পজেটিভ হয়ে মারা গেছে ৭৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ১১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
কক্সবাজারে শনাক্ত : ১১০
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টার নমুনা পরীক্ষায় ১১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১০২ জন। ফলোআপ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৮ জনের।
এছাড়াও ২৩ জন বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে মঙ্গলবার ৬৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৫৪৭ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সংক্রামক ব্যাধি ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির। তিনি জানান, নতুন শনাক্ত হওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা ৩০ জন, রামুর বাসিন্দা ৮ জন, উখিয়ার বাসিন্দা ২৬ জন, টেকনাফের বাসিন্দা ৬ জন, চকরিয়ার বাসিন্দা ৬ জন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা ২ জন ও বান্দরবানের বাসিন্দা একজন।
ঝিনাইদহে শনাক্ত : ৪
ঝিনাইদহে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পরেও ভারতফেরত চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের জেলার সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে তাঁদের বাড়িতে পাঠানোর কথা ছিল।
গত ৩ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তারা। সেই থেকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রকিবুল হাসান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ঝিনাইদহ পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা ১১৯ জনের মধ্যে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮১ জনের রিপিল টেস্ট কারানো হয়েছে।
এ সময় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে আইইডিসিআরসহ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষার পরে সিদ্ধান্ত হবে আক্রান্তরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শরীরে বহন করছেন কি না? অন্যদের মধ্যে করোনামুক্ত সনদ দিয়ে ২৩ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে বাংলাদেশে আসা ২৭ জনের মধ্যে যে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল তাদের এখন নেগেটিভ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব টেস্টে ওই ব্যক্তিদের শরীরে করোনার কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। এর আগে কুচ্ছিা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ছিল তাদের। এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না। আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠানো নমুনার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় সদর হাসপাতালেই রাখা হয়েছে তাদের। তবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন করে ভাবনায় পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
ময়মনসিংহে মৃত্যু ২ শনাক্ত ৯
করোনা পজিটিভ হয়ে ময়মনসিংহে ২৪ ঘণ্টায় দুইজন মারা গেছে। এছাড়াও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ১৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ০২ জন সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার বাসিন্দা বাকিরা অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দা। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১২ জন। জেলাপ্রশাসন জানিয়েছে ২৪ ঘন্টায় করোনা পজেঠিভ হযে জেলার মুক্তাগাছায় ও ফুলপুর উপজেলায় একজন করে মোট দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী জেলায় এ পর্যন্ত করোনা পজেটিভ হয়ে মারা গেছে ৭৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ১১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
কক্সবাজারে শনাক্ত : ১১০
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টার নমুনা পরীক্ষায় ১১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১০২ জন। ফলোআপ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৮ জনের।
এছাড়াও ২৩ জন বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে মঙ্গলবার ৬৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৫৪৭ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সংক্রামক ব্যাধি ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির। তিনি জানান, নতুন শনাক্ত হওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা ৩০ জন, রামুর বাসিন্দা ৮ জন, উখিয়ার বাসিন্দা ২৬ জন, টেকনাফের বাসিন্দা ৬ জন, চকরিয়ার বাসিন্দা ৬ জন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা ২ জন ও বান্দরবানের বাসিন্দা একজন।
ঝিনাইদহে শনাক্ত : ৪
ঝিনাইদহে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পরেও ভারতফেরত চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের জেলার সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে তাঁদের বাড়িতে পাঠানোর কথা ছিল।
গত ৩ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তারা। সেই থেকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রকিবুল হাসান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ঝিনাইদহ পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা ১১৯ জনের মধ্যে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮১ জনের রিপিল টেস্ট কারানো হয়েছে।
এ সময় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে আইইডিসিআরসহ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষার পরে সিদ্ধান্ত হবে আক্রান্তরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শরীরে বহন করছেন কি না? অন্যদের মধ্যে করোনামুক্ত সনদ দিয়ে ২৩ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে বাংলাদেশে আসা ২৭ জনের মধ্যে যে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল তাদের এখন নেগেটিভ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব টেস্টে ওই ব্যক্তিদের শরীরে করোনার কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। এর আগে কুচ্ছিা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ছিল তাদের। এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না। আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠানো নমুনার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় সদর হাসপাতালেই রাখা হয়েছে তাদের। তবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন করে ভাবনায় পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।