নওগাঁর নিয়ামতপুরে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডসহ মাদক ব্যবসা।
জানা যায়, উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাধইল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান ও হবিবুর রহমানের ছেলে হানিফসহ ২-৩ জন উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাধইল মহাপাড়া, শিকদারপাড়া, দাদরইল সড়কপাড়া, খড়িকাডাংগার সিংড়াপাড়া এলাকায় আদিবাসীদের মাদক ব্যবসা করার জন্য বা পুলিশের কাজ করে দেয়া বা পুলিশ হয়রানি থেকে মুক্তরাখার নামে এলাকায় নিজেদের পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার সাধারণ মানুষসহ এলাকার আদিবাসীদের কাছ থেকে পুলিশের নামে টাকা আদায় করছে।
কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে এসব নামধারী সোর্স বা মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মনোনীত পুলিশের এসআই ও এএসআইদের দিয়ে প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে ধরে টাকা আদায় শেষে ছেড়ে দেয়াসহ পুলিশী হয়রানি করে থাকে। ওইসব সোর্সরা কৌশলে মাদক দিয়ে পুলিশে দিয়ে ধরিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। অনেক সময় এসব সোর্সরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে কিংবা যেসব আদিবাসীরা নিজেদের জন্য বাংলা মদ চুয়ানী বা হাড়িয়া তৈরি করে তাদের কাছ থেকে তারা নিয়মিত বখড়া আদায় করে থাকে। তাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকে নগদ টাকা, মোবাইল ছিনতাই করে নেয়। কখনও কখনও পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মূল অপরাধীদের রক্ষা করে থাকে।
এছাড়াও ওইসব এলাকায় পুলিশ সোর্স নামধারীরা নিজস্ব লোক দিয়ে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি এমনকি মাদকদ্রব্য বিক্রয়ে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার মাধইল মহাপাড়ার প্রয়াত শিব মারান্ডির স্ত্রী সেফালী বলেন, আমার কাছ থেকে তারা নগদ ২ হাজার ৫শ টাকা ভয় দেখিয়ে নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় চুলার ওপর রান্না করা ভাতের হাড়ি ফেলে দিয়েছে। সেদিন আমরা অনাহারে ছিলাম।
হোপনা হাসদার স্ত্রী ফুলমনি কিসকু বলেন, আমার ১১ হাজার টাকা দামের মোবাইল জোর করে ঘরে ঢুকে নিয়ে গেছে। মোবাইলের কথা বললে পুলিশের ভয় দেখায়।
বাবলু চঁড়ের ছেলে সুমন চঁড়ে বলেন, গত ১২ মে আমার কাছ থেকে নগদ ৪ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছ থেকে জোর করে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে যায়। সেদিন আমারসহ আরও ৫-৬ জনের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়।
রবিন কিসকুর স্ত্রী বিউটি মুর্মু বলেন, হাবিবুর ও হানিফসহ আরও কয়েকজন প্রতি মাসে কখনও কখনও মাসে দু’বার আমাদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে যায়। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য চুয়ানি, হাড়িয়া করে থাকি। কিন্তু তারা আবার বলে আমাদের টাকা দিলে পুলিশ কিছু বলবে না।
আফাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম বলে, গত ২৮ মে বরেন্দ্র মাদ্রাসা হাটে আমি বাজার করছিলাম। হঠাৎ হাবিবুর, হানিফসহ আরও ৫-৬ জন আকস্মিক আমার ওপর হামলা করে আমার ধান বিক্রি করা ৪০ হাজার ২শ ৫০ টাকা ছিনতাই করে নেয়। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পাইনি। আমরা হাবিবুর বাহিনীর আতঙ্কে আছি।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি কখনও কারও কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আর বরেন্দ্র মাদ্রাসা হাটে যে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আব্দুর করিমের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। সেই বিষেয়ে সেদিন হাটে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা ছিনতাই এর কোন ঘটনাই ঘটেনি।
এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, পুলিশ সোর্স মাদক ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত থাকলে এবং সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি পারিবারিক কলহের কারণে স্থানীয়ভাবে কোন বিচার না পাওয়ায় বরেন্দ্র হাটে হাবিবুর ও আব্দুল করিমের মধ্যে মারামারি হয়ে এক পর্যায়ে পকেটে থাকা টাকা নিয়েছে এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার, ১৩ জুন ২০২১
নওগাঁর নিয়ামতপুরে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডসহ মাদক ব্যবসা।
জানা যায়, উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাধইল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান ও হবিবুর রহমানের ছেলে হানিফসহ ২-৩ জন উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাধইল মহাপাড়া, শিকদারপাড়া, দাদরইল সড়কপাড়া, খড়িকাডাংগার সিংড়াপাড়া এলাকায় আদিবাসীদের মাদক ব্যবসা করার জন্য বা পুলিশের কাজ করে দেয়া বা পুলিশ হয়রানি থেকে মুক্তরাখার নামে এলাকায় নিজেদের পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার সাধারণ মানুষসহ এলাকার আদিবাসীদের কাছ থেকে পুলিশের নামে টাকা আদায় করছে।
কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে এসব নামধারী সোর্স বা মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মনোনীত পুলিশের এসআই ও এএসআইদের দিয়ে প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে ধরে টাকা আদায় শেষে ছেড়ে দেয়াসহ পুলিশী হয়রানি করে থাকে। ওইসব সোর্সরা কৌশলে মাদক দিয়ে পুলিশে দিয়ে ধরিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। অনেক সময় এসব সোর্সরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে কিংবা যেসব আদিবাসীরা নিজেদের জন্য বাংলা মদ চুয়ানী বা হাড়িয়া তৈরি করে তাদের কাছ থেকে তারা নিয়মিত বখড়া আদায় করে থাকে। তাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকে নগদ টাকা, মোবাইল ছিনতাই করে নেয়। কখনও কখনও পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মূল অপরাধীদের রক্ষা করে থাকে।
এছাড়াও ওইসব এলাকায় পুলিশ সোর্স নামধারীরা নিজস্ব লোক দিয়ে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি এমনকি মাদকদ্রব্য বিক্রয়ে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার মাধইল মহাপাড়ার প্রয়াত শিব মারান্ডির স্ত্রী সেফালী বলেন, আমার কাছ থেকে তারা নগদ ২ হাজার ৫শ টাকা ভয় দেখিয়ে নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় চুলার ওপর রান্না করা ভাতের হাড়ি ফেলে দিয়েছে। সেদিন আমরা অনাহারে ছিলাম।
হোপনা হাসদার স্ত্রী ফুলমনি কিসকু বলেন, আমার ১১ হাজার টাকা দামের মোবাইল জোর করে ঘরে ঢুকে নিয়ে গেছে। মোবাইলের কথা বললে পুলিশের ভয় দেখায়।
বাবলু চঁড়ের ছেলে সুমন চঁড়ে বলেন, গত ১২ মে আমার কাছ থেকে নগদ ৪ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছ থেকে জোর করে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে যায়। সেদিন আমারসহ আরও ৫-৬ জনের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়।
রবিন কিসকুর স্ত্রী বিউটি মুর্মু বলেন, হাবিবুর ও হানিফসহ আরও কয়েকজন প্রতি মাসে কখনও কখনও মাসে দু’বার আমাদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে যায়। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য চুয়ানি, হাড়িয়া করে থাকি। কিন্তু তারা আবার বলে আমাদের টাকা দিলে পুলিশ কিছু বলবে না।
আফাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম বলে, গত ২৮ মে বরেন্দ্র মাদ্রাসা হাটে আমি বাজার করছিলাম। হঠাৎ হাবিবুর, হানিফসহ আরও ৫-৬ জন আকস্মিক আমার ওপর হামলা করে আমার ধান বিক্রি করা ৪০ হাজার ২শ ৫০ টাকা ছিনতাই করে নেয়। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পাইনি। আমরা হাবিবুর বাহিনীর আতঙ্কে আছি।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি কখনও কারও কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আর বরেন্দ্র মাদ্রাসা হাটে যে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আব্দুর করিমের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। সেই বিষেয়ে সেদিন হাটে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা ছিনতাই এর কোন ঘটনাই ঘটেনি।
এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, পুলিশ সোর্স মাদক ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত থাকলে এবং সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি পারিবারিক কলহের কারণে স্থানীয়ভাবে কোন বিচার না পাওয়ায় বরেন্দ্র হাটে হাবিবুর ও আব্দুল করিমের মধ্যে মারামারি হয়ে এক পর্যায়ে পকেটে থাকা টাকা নিয়েছে এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।