করোনা মহামারি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ বিধিনিষেধের ওময়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানান।
এ সময় সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্রনাথ উরাও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা সংক্রমণ কমলেও তা সন্তোষজনক পর্যায়ে আসেনি। তাই বিশেষ বিধিনিষেধ আরও সাত দিন বাড়িয়ে ২৩ জুন পর্যন্ত করা হলো।
বিশেষ বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপণিবিতানগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। একটি মোটরসাইকেলে একজন, রিকশায় একজন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দুজনের বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন না। সব ধরনের সাপ্তাহিক হাটবাজার বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম ক্রয়-বিক্রয় ও এসম্পর্কিত পরিবহন চালু থাকবে। বড় আমবাজারগুলো আশপাশের স্টেডিয়াম বা বড় মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবে।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে, তবে জেলার বাইরে যেতে পারবে না। জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে যুক্ত অফিসগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
চাপাই-নবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২।
এর আগে আজ সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মঙ্গলবার ৪৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
এর মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জন এবং জিন এক্সপার্ট পরীক্ষায় একজনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসা ও তথ্য কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার সেখানে শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ৭২ করা হয়েছে। সেদিনই সব কটি শয্যা রোগীতে ভর্তি হয়ে যায়। বুধবারও সব শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন। শয্যা ফাঁকা না থাকায় করোনা সন্দেহভাজন কয়েকজন রোগীকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
করোনা মহামারি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ বিধিনিষেধের ওময়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানান।
এ সময় সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্রনাথ উরাও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা সংক্রমণ কমলেও তা সন্তোষজনক পর্যায়ে আসেনি। তাই বিশেষ বিধিনিষেধ আরও সাত দিন বাড়িয়ে ২৩ জুন পর্যন্ত করা হলো।
বিশেষ বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপণিবিতানগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। একটি মোটরসাইকেলে একজন, রিকশায় একজন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দুজনের বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন না। সব ধরনের সাপ্তাহিক হাটবাজার বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম ক্রয়-বিক্রয় ও এসম্পর্কিত পরিবহন চালু থাকবে। বড় আমবাজারগুলো আশপাশের স্টেডিয়াম বা বড় মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবে।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে, তবে জেলার বাইরে যেতে পারবে না। জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে যুক্ত অফিসগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
চাপাই-নবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২।
এর আগে আজ সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মঙ্গলবার ৪৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
এর মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জন এবং জিন এক্সপার্ট পরীক্ষায় একজনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসা ও তথ্য কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার সেখানে শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ৭২ করা হয়েছে। সেদিনই সব কটি শয্যা রোগীতে ভর্তি হয়ে যায়। বুধবারও সব শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন। শয্যা ফাঁকা না থাকায় করোনা সন্দেহভাজন কয়েকজন রোগীকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।