ঝড়-বন্যায় নির্ঘুম রাত কাটে স্থানীয়দের
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান দুটি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর ভাঙনে উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহাজাদা জাতীয় সংসদে- আর কোন দাবি নাই-ত্রাণ চাই না বেড়িবাঁধ চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে বাজেট বক্তব্য প্রদান করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। উপজেলার নদীভাঙন কবলিত এলাকায় ৫০ বছরেও কোন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি।
বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা (দশমিনা- গলাচিপা) উপজেলায় ফি বছর নদীভাঙনে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হলেও ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় সেই দুরদশার চিত্র উপস্থাপন করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দশমিনা উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরবোরহান ইউনিয়ন, চরশাহজালাল, চরহাদী, চর বাশবাড়ীয়া, চর ফাতেমা, চর লালচর ও চর আজমাইনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসতী থাকলেও এখনো সেখানে কোন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এই কারণে স্থানীয় কৃষকের প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ফসলহানি ঘটে।
বাংলাদেশ কৃষাণী সভার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী ও দশমিনা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শামসুন্নাহার খান ডলি জানান, জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা যেভাবে চরাঞ্চলের লাখ লাখ কৃষকের প্রাণের দাবি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এটা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ এর আগে কেউ কৃষকের প্রাণের দাবিকে এভাবে উপস্থাপন করেছে বলে জানান নেই।
দশমিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী আনোয়ার জানান, বেড়িবাঁধের দাবিতে জাতীয় সংসদে এসএম শাহজাদার ব্যতিক্রমী উপাস্থপনার ঘটনাটি শুধু দশমিনা গলাচিপা নয় পুরো বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষের মনের দাবিটি প্রকাশ পেয়েছে।
দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, বেড়িবাঁধের দাবিতে চরের মানুষকে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করতে দেখেছি।
উপজেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের মানুষ সামান্য ঝড়-বন্যার টেরপেলে নিরঘুম রাত কাটায় কখনো জোয়ারের পানিতে পশু কিংবা ফসলি ক্ষেত পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, মরহুম কৃষক নেতা আব্দুস সাত্তার খান কৃষকের এ দাবি নিয়ে অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। জাতীয় সংসদে বিষয়টি উপস্থাপন করে কৃষকের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবিটিকে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ জুন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু দশমিনার হাজিরহাট এলাকায় নদীভাঙন প্রতিরোধে বালুর বস্তা ফেলে ৫০ মিটার এলাকার ভাঙন প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোন কাজ হয়নি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে ৭১৪টি পুকুর ও ১০০টি জলাশয়ের মাছ ৬৪০ মিটার বেড়িবাঁধ, ৪ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন, ৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি গভীর নলকূপ, ২৭৮ হেক্টর জমির রবিশস্যসহ চরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়-বন্যায় নির্ঘুম রাত কাটে স্থানীয়দের
শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান দুটি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর ভাঙনে উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহাজাদা জাতীয় সংসদে- আর কোন দাবি নাই-ত্রাণ চাই না বেড়িবাঁধ চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে বাজেট বক্তব্য প্রদান করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। উপজেলার নদীভাঙন কবলিত এলাকায় ৫০ বছরেও কোন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি।
বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা (দশমিনা- গলাচিপা) উপজেলায় ফি বছর নদীভাঙনে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হলেও ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় সেই দুরদশার চিত্র উপস্থাপন করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দশমিনা উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরবোরহান ইউনিয়ন, চরশাহজালাল, চরহাদী, চর বাশবাড়ীয়া, চর ফাতেমা, চর লালচর ও চর আজমাইনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসতী থাকলেও এখনো সেখানে কোন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এই কারণে স্থানীয় কৃষকের প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ফসলহানি ঘটে।
বাংলাদেশ কৃষাণী সভার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী ও দশমিনা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শামসুন্নাহার খান ডলি জানান, জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা যেভাবে চরাঞ্চলের লাখ লাখ কৃষকের প্রাণের দাবি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এটা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ এর আগে কেউ কৃষকের প্রাণের দাবিকে এভাবে উপস্থাপন করেছে বলে জানান নেই।
দশমিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী আনোয়ার জানান, বেড়িবাঁধের দাবিতে জাতীয় সংসদে এসএম শাহজাদার ব্যতিক্রমী উপাস্থপনার ঘটনাটি শুধু দশমিনা গলাচিপা নয় পুরো বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষের মনের দাবিটি প্রকাশ পেয়েছে।
দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, বেড়িবাঁধের দাবিতে চরের মানুষকে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করতে দেখেছি।
উপজেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের মানুষ সামান্য ঝড়-বন্যার টেরপেলে নিরঘুম রাত কাটায় কখনো জোয়ারের পানিতে পশু কিংবা ফসলি ক্ষেত পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, মরহুম কৃষক নেতা আব্দুস সাত্তার খান কৃষকের এ দাবি নিয়ে অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। জাতীয় সংসদে বিষয়টি উপস্থাপন করে কৃষকের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবিটিকে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ জুন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু দশমিনার হাজিরহাট এলাকায় নদীভাঙন প্রতিরোধে বালুর বস্তা ফেলে ৫০ মিটার এলাকার ভাঙন প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোন কাজ হয়নি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে ৭১৪টি পুকুর ও ১০০টি জলাশয়ের মাছ ৬৪০ মিটার বেড়িবাঁধ, ৪ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন, ৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি গভীর নলকূপ, ২৭৮ হেক্টর জমির রবিশস্যসহ চরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।