নওগাঁর রানীনগর উপজেলার নারায়নপাড়া উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিজেই রোগীতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে আশির দশকে স্থাপন করা হয় উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
জানা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব প্রায় ২৫কিলোমিটার। তাই এই পূর্বাঞ্চলের মানুষদের মাঝে জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যেই স্থাপন করা হয় এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। কিন্তু আশির দশকে স্থাপনের পর থেকে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে আর কোন সংস্কার কিংবা মেরামতের ছোঁয়া স্পর্শ না করাই বর্তমানে এটি নিজেই রোগীতে পরিণত হয়েছে। অনেক বছর আগেই দাপ্তরিক ভাবে এই কেন্দ্রের সকল ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির ব্যতীত প্রতিদিনই এই অঞ্চলের মানুষদের মাঝে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। চারিদিকের নিরাপত্তা বেষ্টনী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এটি বর্তমানে রাতের আঁধারে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রের চারপাশে বৃষ্টির পানি জমে পরিণত হয়েছে পুকুরে। স্থানীয়রা গবাদি পশুর খড় পালা দিয়ে রেখেছে। ভেঙে পড়েছে ভবনগুলোর দেয়াল ও দরজা-জানালা। প্রধান ভবনের পরিত্যক্ত অংশ কোনভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এখানে কোন প্রকারের চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখা যায় না। শুধু কিছু ওষুধ বিতরণ শেষে আবার সঙ্গে নিয়ে যেতে হয় সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবু, আব্দুল জলিলসহ অনেকেই বলেন, আমরা অনেক জরুরী চিকিৎসাসেবা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমানে এর যে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতেই ভয় লাগে যে কখন যেন আমাদের উপর ভেঙে পড়ে। চিকিৎসা নিতে আসা অনেক মানুষের মাথায় ছাদের পলেস্তার ভেঙে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মামুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। কখন যে উপরের পলেস্তার কিংবা ছাদের ঢালাই মাথার ওপর ভেঙে পড়বে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খান বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু কোন উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টরা শুধু জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। আমি অনেকবার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল কথা লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। জনগুরুত্বপূর্ণ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির দিকে সরকার বাহাদুরের দ্রুত সুদৃষ্টি কামনা করছি।
শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
নওগাঁর রানীনগর উপজেলার নারায়নপাড়া উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিজেই রোগীতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে আশির দশকে স্থাপন করা হয় উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
জানা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব প্রায় ২৫কিলোমিটার। তাই এই পূর্বাঞ্চলের মানুষদের মাঝে জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যেই স্থাপন করা হয় এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। কিন্তু আশির দশকে স্থাপনের পর থেকে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে আর কোন সংস্কার কিংবা মেরামতের ছোঁয়া স্পর্শ না করাই বর্তমানে এটি নিজেই রোগীতে পরিণত হয়েছে। অনেক বছর আগেই দাপ্তরিক ভাবে এই কেন্দ্রের সকল ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির ব্যতীত প্রতিদিনই এই অঞ্চলের মানুষদের মাঝে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। চারিদিকের নিরাপত্তা বেষ্টনী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এটি বর্তমানে রাতের আঁধারে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রের চারপাশে বৃষ্টির পানি জমে পরিণত হয়েছে পুকুরে। স্থানীয়রা গবাদি পশুর খড় পালা দিয়ে রেখেছে। ভেঙে পড়েছে ভবনগুলোর দেয়াল ও দরজা-জানালা। প্রধান ভবনের পরিত্যক্ত অংশ কোনভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এখানে কোন প্রকারের চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখা যায় না। শুধু কিছু ওষুধ বিতরণ শেষে আবার সঙ্গে নিয়ে যেতে হয় সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবু, আব্দুল জলিলসহ অনেকেই বলেন, আমরা অনেক জরুরী চিকিৎসাসেবা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমানে এর যে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতেই ভয় লাগে যে কখন যেন আমাদের উপর ভেঙে পড়ে। চিকিৎসা নিতে আসা অনেক মানুষের মাথায় ছাদের পলেস্তার ভেঙে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মামুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। কখন যে উপরের পলেস্তার কিংবা ছাদের ঢালাই মাথার ওপর ভেঙে পড়বে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খান বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু কোন উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টরা শুধু জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। আমি অনেকবার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল কথা লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। জনগুরুত্বপূর্ণ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির দিকে সরকার বাহাদুরের দ্রুত সুদৃষ্টি কামনা করছি।