কুষ্টিয়ায় মৃত্যু ৭, শনাক্ত ১১২
কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে পৌর এলাকায় দ্বিতীয় সপ্তাহে কঠোর বিধিনিষেধ আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রণের ফলে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৮ জুন রাত ১২ টা থেকে আগামী ২৫ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত কুচ্ছিা পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। বিধিনিষেধে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহ চলাচল , সকল বিনোদন কেন্দ্র, জন্মদিন, বিবাহোত্তর, পিকনিক পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার জনসমাবেশ বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
এর আগে প্রথম দফায় গত ১১ জুন থেকে ৭ দিনের জন্য পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। শনিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে শহরের ৭টি প্রবেশ মুখে পুলিশের কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কর্মকর্তা ও পুলিশ ফোর্স শহরের বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার শহরে চলমান বিধিনিষেধ মান্য করতে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে কুচ্ছিায় শুক্রবারও আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মুত্যু হয়েছে। নতুন করে আরো ১১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার কুচ্ছিা জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে মোট ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১২টি নমুনা পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫ জন, কুমারখালী উপজেলায় ১৬ জন, মিরপুর উপজেলায় ৪ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৫ জন, খোকসা উপজেলায় ৪ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
জয়পুরহাটে মৃত্যু ১
জয়পুরহাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় চলমান বিধিনিষেধ আরও কড়া করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জেলা করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটি এ বিধিনিষেধ আরোপ করে। ঘোষণা অনুযায়ী জয়পুরহাট, কালাই ও পাঁচবিবি পৌর এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষধের দোকান ব্যতীত সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পাশাপাশি চলাফেরায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাটে ৮৪৭ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১জন। এনিয়ে জেলায় প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ জন।
আক্কেলপুরে করোনায় মৃত্যু ২
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ নামে দুইবৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোরে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা মারা যান। জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখি ইউনিয়নের চকরঘুনাথ গ্রামের আবুল হোসেন ও রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের মাতাপুর গ্রামেরও আবুল কালাম আজাদ কিছুদিন আগে শ্বাসকষ্ট-সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন। এমন সময় তিনি করোনা পরিক্ষা করলে তা পজেটিভ আসে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা যান।
কিশোরগঞ্জে মৃত্যু ১, শনাক্ত ৩০ জন
শুক্রবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী করোনায় মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮৬ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। শুক্রবার জেলায় নতুন ৩০ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে সদরেই ২৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২৭টি আর পুরনো রোগিদের ৯টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবের পরীক্ষায় ৬৯টি নমুনাই নেগেটিভ হয়েছে। অন্যদিকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল, কুলিয়ারচর, ভৈরব ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৪টি নমুনার র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ৩টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ২৮ জন, আর করিমগঞ্জ ও ভৈরবে একজন করে। শুক্রবার জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন মোট ২৯২ জন।
নিয়ামতপুরে মৃত্যু ২
নওগাঁর নিয়ামতপুরে আবারও করোনায় এক জন এবং উপসর্গ নিয়ে এক জন মারা গেছেন। করোনায় মৃত ব্যক্তি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর বালুকাপাড়ার শ্রী সুরেশ্বর দাসের ছেলে শ্রী অজিত দাস ডাবলু (৩৫) এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মৃত আসকর আলীর ছেলে ক্বারী নুরুদ্দিন (৭০)। রবিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা সংক্রমিত হয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জুন ভর্তি হয়েছিল ৫দিন হাসপাতালে থাকার পর অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় গত ১১ জুন অজিত দাসকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ১৮ জুন সকাল ৭টায় তিনি মারা যান। অপর দিকে উপজেলার একই ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মৃত আসকর আলীর ছেলে কারী নুরুদ্দিন করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃস্পতিবার রাতে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার ১৮ জুন বেলা ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে পৌঁছেই তিনি মারা যান। এ নিয়ে গত ৭দিনে উপজেলায় করোনা সংক্রমিত হয়ে ৬জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৫জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১১৯ জন।
মহেশপুরে শনাক্ত ১০
মহেশপুর সীমান্তে আরও ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ২দিনে আক্রান্তের সংখা দাঁড়ালো ২১জনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. হাসিবুস সাত্তার জানান, সোমবার ঝিনাইদ জেলায় মোট ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ২৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে। এরমধ্যে মহেশপুর উপজেলায় ১০জন, ঝিনাইদহ সদরে ৫জন এবং কালীগঞ্জে ৭জন, কোটচাঁদপুরে ৩ জন, হরিনাকুন্ডে ৩। তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় মোট ১৬৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এরমধ্যে ১২৪ জন সুস্থ হয়েছেন এবং চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ৪৪জন আকান্ত আছে। তিনি বলেন, সীমান্তে অবৈধ পারাপারের কারণে করোনভাইরাস আক্রান্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তরা নিজ বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। জানা গেছে আক্রান্তদের বাড়ি সীমান্তবর্তী কাজীরবেড়, বাঁশবাড়িয়া, বাউলী গ্রামে।
নওগাঁয় আক্রান্ত ৭৯
নওগাঁয় করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু দিন দিন বেড়েই চলেছে। কঠোর লক ডাউন দিয়েও এ সংক্রমনের ও মৃত্যুর হার কমাতে পারছে না প্রশাসন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩২ জন। সুস্থ হয়েছেন, ২ হাজার ৩০৩ জন। মৃতের সংখ্যা ৬০ জন। শনিবার সকালে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মনজুর এ মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে এ্যান্টিজেন ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে মোট ২২৪ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে এই ৭৯ ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। শনিবার শুক্রবার শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সোনারগাঁয়ে শনাক্ত ৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে করোনা-ভাইরাসে নতুন করে আরো ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দুইদিনে ২৮ জনের পরীক্ষা করা হয়। শনিবার সোনারগাঁ উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পলাশ কুমার সাহা জানান, নতুন আক্রান্তরা পিরোজপুর, সাদীপুর, শম্ভুপূরা, কাঁচপুর ইউপি ও পৌরসভাধীন আমিনপুরের প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩৯ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থতা লাভ করেছেন ১১৭৫ জন।
শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
কুষ্টিয়ায় মৃত্যু ৭, শনাক্ত ১১২
কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে পৌর এলাকায় দ্বিতীয় সপ্তাহে কঠোর বিধিনিষেধ আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রণের ফলে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৮ জুন রাত ১২ টা থেকে আগামী ২৫ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত কুচ্ছিা পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। বিধিনিষেধে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহ চলাচল , সকল বিনোদন কেন্দ্র, জন্মদিন, বিবাহোত্তর, পিকনিক পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার জনসমাবেশ বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
এর আগে প্রথম দফায় গত ১১ জুন থেকে ৭ দিনের জন্য পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। শনিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে শহরের ৭টি প্রবেশ মুখে পুলিশের কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কর্মকর্তা ও পুলিশ ফোর্স শহরের বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার শহরে চলমান বিধিনিষেধ মান্য করতে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে কুচ্ছিায় শুক্রবারও আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মুত্যু হয়েছে। নতুন করে আরো ১১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার কুচ্ছিা জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে মোট ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১২টি নমুনা পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫ জন, কুমারখালী উপজেলায় ১৬ জন, মিরপুর উপজেলায় ৪ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৫ জন, খোকসা উপজেলায় ৪ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
জয়পুরহাটে মৃত্যু ১
জয়পুরহাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় চলমান বিধিনিষেধ আরও কড়া করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জেলা করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটি এ বিধিনিষেধ আরোপ করে। ঘোষণা অনুযায়ী জয়পুরহাট, কালাই ও পাঁচবিবি পৌর এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষধের দোকান ব্যতীত সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পাশাপাশি চলাফেরায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাটে ৮৪৭ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১জন। এনিয়ে জেলায় প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ জন।
আক্কেলপুরে করোনায় মৃত্যু ২
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ নামে দুইবৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোরে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা মারা যান। জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখি ইউনিয়নের চকরঘুনাথ গ্রামের আবুল হোসেন ও রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের মাতাপুর গ্রামেরও আবুল কালাম আজাদ কিছুদিন আগে শ্বাসকষ্ট-সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন। এমন সময় তিনি করোনা পরিক্ষা করলে তা পজেটিভ আসে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা যান।
কিশোরগঞ্জে মৃত্যু ১, শনাক্ত ৩০ জন
শুক্রবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী করোনায় মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮৬ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। শুক্রবার জেলায় নতুন ৩০ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে সদরেই ২৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২৭টি আর পুরনো রোগিদের ৯টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবের পরীক্ষায় ৬৯টি নমুনাই নেগেটিভ হয়েছে। অন্যদিকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল, কুলিয়ারচর, ভৈরব ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৪টি নমুনার র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ৩টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ২৮ জন, আর করিমগঞ্জ ও ভৈরবে একজন করে। শুক্রবার জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন মোট ২৯২ জন।
নিয়ামতপুরে মৃত্যু ২
নওগাঁর নিয়ামতপুরে আবারও করোনায় এক জন এবং উপসর্গ নিয়ে এক জন মারা গেছেন। করোনায় মৃত ব্যক্তি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর বালুকাপাড়ার শ্রী সুরেশ্বর দাসের ছেলে শ্রী অজিত দাস ডাবলু (৩৫) এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মৃত আসকর আলীর ছেলে ক্বারী নুরুদ্দিন (৭০)। রবিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা সংক্রমিত হয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জুন ভর্তি হয়েছিল ৫দিন হাসপাতালে থাকার পর অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় গত ১১ জুন অজিত দাসকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ১৮ জুন সকাল ৭টায় তিনি মারা যান। অপর দিকে উপজেলার একই ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মৃত আসকর আলীর ছেলে কারী নুরুদ্দিন করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃস্পতিবার রাতে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার ১৮ জুন বেলা ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে পৌঁছেই তিনি মারা যান। এ নিয়ে গত ৭দিনে উপজেলায় করোনা সংক্রমিত হয়ে ৬জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৫জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১১৯ জন।
মহেশপুরে শনাক্ত ১০
মহেশপুর সীমান্তে আরও ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ২দিনে আক্রান্তের সংখা দাঁড়ালো ২১জনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. হাসিবুস সাত্তার জানান, সোমবার ঝিনাইদ জেলায় মোট ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ২৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে। এরমধ্যে মহেশপুর উপজেলায় ১০জন, ঝিনাইদহ সদরে ৫জন এবং কালীগঞ্জে ৭জন, কোটচাঁদপুরে ৩ জন, হরিনাকুন্ডে ৩। তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় মোট ১৬৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এরমধ্যে ১২৪ জন সুস্থ হয়েছেন এবং চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ৪৪জন আকান্ত আছে। তিনি বলেন, সীমান্তে অবৈধ পারাপারের কারণে করোনভাইরাস আক্রান্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তরা নিজ বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। জানা গেছে আক্রান্তদের বাড়ি সীমান্তবর্তী কাজীরবেড়, বাঁশবাড়িয়া, বাউলী গ্রামে।
নওগাঁয় আক্রান্ত ৭৯
নওগাঁয় করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু দিন দিন বেড়েই চলেছে। কঠোর লক ডাউন দিয়েও এ সংক্রমনের ও মৃত্যুর হার কমাতে পারছে না প্রশাসন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩২ জন। সুস্থ হয়েছেন, ২ হাজার ৩০৩ জন। মৃতের সংখ্যা ৬০ জন। শনিবার সকালে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মনজুর এ মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে এ্যান্টিজেন ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে মোট ২২৪ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে এই ৭৯ ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। শনিবার শুক্রবার শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সোনারগাঁয়ে শনাক্ত ৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে করোনা-ভাইরাসে নতুন করে আরো ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দুইদিনে ২৮ জনের পরীক্ষা করা হয়। শনিবার সোনারগাঁ উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পলাশ কুমার সাহা জানান, নতুন আক্রান্তরা পিরোজপুর, সাদীপুর, শম্ভুপূরা, কাঁচপুর ইউপি ও পৌরসভাধীন আমিনপুরের প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩৯ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থতা লাভ করেছেন ১১৭৫ জন।