alt

সারাদেশ

বন্যা আসার আগেই ধসে গেল বালুর বাঁধটি

মনিরুজ্জামান সরকার, লালমনিরহাট : রোববার, ২০ জুন ২০২১

প্রতি বছর বর্ষা আসলে বাধ ভেঙ্গে পানিতে প্লাবিত হয় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন। তাই এলাকাবাসী এবার সে পানি থেকে রক্ষা পেতে বর্ষার আগেই নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছিলেন ৪০০ মিটারের বালুর বাঁধটি। আশা ছিল, বাঁধের কল্যাণে এ বছর বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবেন। কিন্তু বন্যা আসার আগেই তাদের স্বপ্ন তলিয়ে গেল তিস্তা নদীর পানিতে। এযেন খরার উপর মরার ঘা। পরিবারের লোকজন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছেন এখানকার মানুষ।

উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, গত এক সপ্তাহে তিস্তা নদীর পাড়ের এ বালুর বাঁধটির প্রায় ২৫০ মিটার ধসে গিয়ে তিস্তার বুকে বিলীন হয়েছে। শুধু তাই নয় বাঁধের বাকি ১৫০ মিটার অংশেও দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতে করে আতঙ্কে ৪৫টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বসতভিটা বিলীন হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে আরও শতাধিক পরিবার।

কুটিরপাড় গ্রামের জামাল মিয়া জানান, আমরা নিজ উদ্যোগে নিজেদের টাকা দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করেছি। ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এক মাস ধরে কাজ করে বাঁধটি নির্মাণ কাজ চলে বর্ষার আগে সব শেষ হয়ে গেল।

একই গ্রামের গোলাম কিবরিয়া,জানান, বাঁধের যে অংশটি এখনো নদীগর্ভে চলে যায়নি, সেটি রক্ষা করা গেলে গ্রামবাসীর ভাঙন আতঙ্ক কিছুটা কমবে। কিন্তু, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে পানি উন্নয়ন র্বোডের কর্মকতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, জিও-ব্যাগ ফেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে কয়েকবার অনুরোধ করেও কোনো লাভ হয়নি। তারা যথা সময়ে ব্যবস্থা নিলে এই পরিবারগুলি এমন দশা হতনা। বালুর বাঁধটি ধসে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে এখনো রয়েছে শতাধিক পরিবার।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দায় না নিয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন, বালুর বাঁধটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করেছিলেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড এটির পক্ষে ছিল না। বন্যা শুরুর আগেই বাঁধটি ধসে যাচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বালুর বাঁধটির অবশিষ্ট অংশ রক্ষায় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি। বরাদ্দ পেলে শিগগিরই জিও-ব্যাগ ফেলে বাঁধের বাকি অংশ রক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।

ছবি

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ১১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকের মৃত্যু

গজারিয়ায় ভুট্টা ক্ষেতে নারীর লাশ

ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ১৬, আহত ২৭

৫৪ জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ, ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

ছবি

নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে গুলি ও জবাই করে হত্যা

ছবি

লাঙ্গলবন্দে পূণ্যার্থীদের অষ্টমী স্নানোৎসব শুরু

গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেল ধাক্কা, চাচা ভাজিতার মৃত্যু, আহত একজন

ছবি

প্রকাশ্য দিবালোকে নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা

ছবি

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৮৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা

ছবি

অতিরিক্ত টোল আদায় ৯৯৯-এ ফোন,আটক ২

ছবি

ভুট্টাক্ষেতে তরুণীর লাশ উদ্ধার

ছবি

চট্টগ্রামের বস্তিতে ২০০ ঘর আগুনে পুড়ল

ছবি

গাজীপুরে বাস চাপায় দম্পতির মৃত্যু

ছবি

গাজীপুরে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ছবি

উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন, সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত

ছবি

নওগাঁয় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম

ছবি

আরও ৫ মায়ানমার সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে

ছবি

হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী

ছবি

মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকে ইয়াবা, পাচারকারি গ্রেপ্তার

ছবি

বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও ৯ সদস্য

ছবি

শরীয়তপুরে অপহরণের পর স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

ঈদের ছুটিতে ঐতিহাসিক বৌদ্ধ বিহার পাহাড়পুরে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

ছবি

মোটরসাইকেলের সাথে রিকশার ধাক্কা চালককে পিটিয়ে হত্যা, রাতে অটোচালকদের বিক্ষোভ

ছবি

নাবিকদের মুক্তিতে মুক্তিপণের তথ্য সরকারের কাছে নেই: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ছবি

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার

ছবি

বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও ৯ সদস্য

ছবি

হোটেলে বাড়তি ভাড়া আদায়, তবুও তিল ধারণের ঠাঁই নেই সাগরপাড়ে

ছবি

বরিশালে নদীতে গোসলে নেমে তরুণী নিখোঁজ

ছবি

চট্টগ্রামে এক নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি

ঈশ্বরগঞ্জে একই স্থানে দুপক্ষের বৈশাখী মেলা, সংঘাতের আশঙ্কা

ছবি

আশ্রয় শিবিরের বাইরে আসা ৭১ রোহিঙ্গা আটক

ছবি

নাটোরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

নানীর সাথে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ছবি

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা

ছবি

সিলেটের জাফলংয়ে নারী পর্যটকদের যৌন হয়রানি, যুবককে দুই বছরের কারাদণ্ড

tab

সারাদেশ

বন্যা আসার আগেই ধসে গেল বালুর বাঁধটি

মনিরুজ্জামান সরকার, লালমনিরহাট

রোববার, ২০ জুন ২০২১

প্রতি বছর বর্ষা আসলে বাধ ভেঙ্গে পানিতে প্লাবিত হয় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন। তাই এলাকাবাসী এবার সে পানি থেকে রক্ষা পেতে বর্ষার আগেই নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছিলেন ৪০০ মিটারের বালুর বাঁধটি। আশা ছিল, বাঁধের কল্যাণে এ বছর বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবেন। কিন্তু বন্যা আসার আগেই তাদের স্বপ্ন তলিয়ে গেল তিস্তা নদীর পানিতে। এযেন খরার উপর মরার ঘা। পরিবারের লোকজন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছেন এখানকার মানুষ।

উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, গত এক সপ্তাহে তিস্তা নদীর পাড়ের এ বালুর বাঁধটির প্রায় ২৫০ মিটার ধসে গিয়ে তিস্তার বুকে বিলীন হয়েছে। শুধু তাই নয় বাঁধের বাকি ১৫০ মিটার অংশেও দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতে করে আতঙ্কে ৪৫টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বসতভিটা বিলীন হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে আরও শতাধিক পরিবার।

কুটিরপাড় গ্রামের জামাল মিয়া জানান, আমরা নিজ উদ্যোগে নিজেদের টাকা দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করেছি। ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এক মাস ধরে কাজ করে বাঁধটি নির্মাণ কাজ চলে বর্ষার আগে সব শেষ হয়ে গেল।

একই গ্রামের গোলাম কিবরিয়া,জানান, বাঁধের যে অংশটি এখনো নদীগর্ভে চলে যায়নি, সেটি রক্ষা করা গেলে গ্রামবাসীর ভাঙন আতঙ্ক কিছুটা কমবে। কিন্তু, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে পানি উন্নয়ন র্বোডের কর্মকতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, জিও-ব্যাগ ফেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে কয়েকবার অনুরোধ করেও কোনো লাভ হয়নি। তারা যথা সময়ে ব্যবস্থা নিলে এই পরিবারগুলি এমন দশা হতনা। বালুর বাঁধটি ধসে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে এখনো রয়েছে শতাধিক পরিবার।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দায় না নিয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন, বালুর বাঁধটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করেছিলেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড এটির পক্ষে ছিল না। বন্যা শুরুর আগেই বাঁধটি ধসে যাচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বালুর বাঁধটির অবশিষ্ট অংশ রক্ষায় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি। বরাদ্দ পেলে শিগগিরই জিও-ব্যাগ ফেলে বাঁধের বাকি অংশ রক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।

back to top