লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিএনএফ ব্যবসায়ী ও ভারতীয় ট্রাক চালকরা কাজ বন্ধ রাখে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা বন্দরে তিন ঘন্টাব্যাপি কর্মবিরতি পালন করেন। এতে স্থল বন্দরে ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন আমদানিকারক,রপ্তানিকারক ও সাধান শ্রমিকরা।
ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে বাংলাদেশে প্রবেশের পর বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দর বিক্ষোভ করেন । এসময় সিএনএফ ব্যবসায়ীরাও বিক্ষোভে যোগ দেন। পরে যৌথভাবে কর্মবিরতি পালন করা হয় ।
বুড়িমারী কাস্টমস্ সহকারী কমিশনার (এসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দ্রুত রাস্তা নির্মানের আশ্বাসে বিকেল ৪টা থেকে আবারও আমদানি রপ্তানি কার্যাক্রম শুরু হয়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সময়মতো না করাসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে এ বন্দরে শ্রমিক ও গাড়িচালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, পণ্য রাখার শেডগুলোতে দুর্গন্ধ, ঢাকনা ছাড়া ম্যানহোল, ধুলোবালি রোধে পানি না দেয়া, সড়কে গর্ত, ওয়ে ব্রিজে যানজট, শৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগীসহ নানা কারণে গাড়িচালক, বন্দর ব্যবহারকারি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
তারকা ট্রেডিংয়ের আমদানিকারক সাদিকুর রহমান মানিক বলেন,স্থলবন্দরে প্রবেশের গেটের সামনে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই গর্তে প্রতি দিনেই বিকল হচ্ছে ভারতীয় মালবাহী ট্রাক। এসব বিষয়ে আমদানি- রপ্তানিকারক, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট, শ্রমিকরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ভারত থেকে ট্রাক নিয়ে আসা চালক শাহ আলম জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের গেট থেকে শেডে প্রবেশের সড়কের বেহাল অবস্থা, খানা-খন্দে ভরা। প্রায়ই ট্রাকের চাকা নষ্ট হয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এতে আমাদের ব্যাপক সমস্যা হয়।
বুড়িমারী শ্রমিক কল্যাণ ফেরডারেশনের সভাপতি সফর উদ্দিন বলেন, বন্দরের শেডগুলো থেকে পণ্য লোড- আনলোড করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূষি, ভুট্টা, সয়াবিন ও মাছের খাদ্য পচে-গলে বিকট গন্ধে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্রমিকরা কী মানুষ না ! বন্দরের পরিচালককে বললেও তিনি কর্ণপাত করেন না। এ ব্যাপারে বুড়িমারী বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, বিষয় গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানান হয়েছে। দ্রুত বুড়িমারী স্থলবন্দরের ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়,বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা,রাস্তা সংস্কার করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিএনএফ ব্যবসায়ী ও ভারতীয় ট্রাক চালকরা কাজ বন্ধ রাখে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা বন্দরে তিন ঘন্টাব্যাপি কর্মবিরতি পালন করেন। এতে স্থল বন্দরে ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন আমদানিকারক,রপ্তানিকারক ও সাধান শ্রমিকরা।
ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে বাংলাদেশে প্রবেশের পর বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দর বিক্ষোভ করেন । এসময় সিএনএফ ব্যবসায়ীরাও বিক্ষোভে যোগ দেন। পরে যৌথভাবে কর্মবিরতি পালন করা হয় ।
বুড়িমারী কাস্টমস্ সহকারী কমিশনার (এসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দ্রুত রাস্তা নির্মানের আশ্বাসে বিকেল ৪টা থেকে আবারও আমদানি রপ্তানি কার্যাক্রম শুরু হয়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সময়মতো না করাসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে এ বন্দরে শ্রমিক ও গাড়িচালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, পণ্য রাখার শেডগুলোতে দুর্গন্ধ, ঢাকনা ছাড়া ম্যানহোল, ধুলোবালি রোধে পানি না দেয়া, সড়কে গর্ত, ওয়ে ব্রিজে যানজট, শৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগীসহ নানা কারণে গাড়িচালক, বন্দর ব্যবহারকারি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
তারকা ট্রেডিংয়ের আমদানিকারক সাদিকুর রহমান মানিক বলেন,স্থলবন্দরে প্রবেশের গেটের সামনে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই গর্তে প্রতি দিনেই বিকল হচ্ছে ভারতীয় মালবাহী ট্রাক। এসব বিষয়ে আমদানি- রপ্তানিকারক, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট, শ্রমিকরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ভারত থেকে ট্রাক নিয়ে আসা চালক শাহ আলম জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের গেট থেকে শেডে প্রবেশের সড়কের বেহাল অবস্থা, খানা-খন্দে ভরা। প্রায়ই ট্রাকের চাকা নষ্ট হয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এতে আমাদের ব্যাপক সমস্যা হয়।
বুড়িমারী শ্রমিক কল্যাণ ফেরডারেশনের সভাপতি সফর উদ্দিন বলেন, বন্দরের শেডগুলো থেকে পণ্য লোড- আনলোড করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূষি, ভুট্টা, সয়াবিন ও মাছের খাদ্য পচে-গলে বিকট গন্ধে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্রমিকরা কী মানুষ না ! বন্দরের পরিচালককে বললেও তিনি কর্ণপাত করেন না। এ ব্যাপারে বুড়িমারী বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, বিষয় গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানান হয়েছে। দ্রুত বুড়িমারী স্থলবন্দরের ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়,বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা,রাস্তা সংস্কার করা হবে।