চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতভাগ। অবশ্য এই ৪১ জনেরই নমুনা স্থানীয়ভাবে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। রামেকের করোনা ইউনিটে রেকর্ড ১৮ জন মারা গেছেন। সাতক্ষীরা, যশোর, দিনাজপুর, পিরোজপুরের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। সাতক্ষীরায় সংক্রমণের হার আজকের দিনের তুলনায় বেড়েছে। যশোরে ১৮৭, দিনাজপুরে ৪৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পিরোজপুরে ৪ পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রমেকের আরটি পিসিআর মেশিনটি ৫ দিন ধরে বিকল রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তের হার শতভাগ
চুয়াডাঙ্গা : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য এই ৪১ জনেরই নমুনা স্থানীয়ভাবে র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া আরটি পিসিআর ল্যাব থেকে প্রেরিত নমুনার কোন রিপোর্ট আসেনি। ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জন মৃত্যুবরণ করেছেন। চুয়াডাঙ্গার ৪টি উপজেলার মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলা ব্যতীত চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও আলুকদিয়া ইউনিয়ন, দামুড়হুদা এবং জীবননগর উপজেলায় কঠোর লকডাউন দেয়ার পরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার ৪৩ শতাংশ
সাতক্ষীরা : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯ জন মারা গেছেন। সংক্রমণের হার আজকের দিনের তুলনায় বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২২ জন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। শতকরা হারে যা ৪৩ ভাগ। এর আগের দিন করোনা শনাক্তের হার ছিল ২৭ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৭২ জন। সীমান্ত এলাকায় নজরদারির অভাব, ঢিলেঢালা লকডাউন আর জনগণের অসচেতনতাকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সচেতন মহল।
এদিকে লকডাউনের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ না কমার কারণ হিসেবে সিভিল সার্জন ডা. হুসেইন শাফায়াত বলেন, জনগণ আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না বলেই মনে হচ্ছে। শুধুমাত্র মাস্ক পরার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ অর্ধেকে নামিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি এটাও বলা যায়, কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে। যে কারণে সংক্রমণ কমছে না। লকডাউনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে অচিরেই আমরা এর ফল পাব।
সামেক হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মানস মন্ডল জানান, সামেক হাসপাতালে এখন রোগী ভর্তি আছেন ২৮০ জন। সিট ক্যাপাসিটি ২শ’। ফলে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন অথবা ফ্লোরে থাকছেন। শয্যা বাড়াতে হলে চিকিৎসক বাড়াতে হবে। ওয়ার্ড বয়, ক্লিনারসহ আনুসঙ্গিক সরঞ্জামাদিও বাড়াতে হবে।
যশোরে ১৮৭ জন শনাক্ত
যশোর : জেলায় মোট ৫০২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পিসিআর ল্যাবে ২৭৭ জনের মধ্যে ১১৬ জন এবং র্যাপিড এন্টিজেন টেটেস্ট ২২৫ জনের মধ্যে ৭১ জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৩৭ ভাগ। এই সময়ের মধ্যে যশোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রামেকে রেকর্ড ১৮ মৃত্যু,
ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি
রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত এটাই এই হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ফের বেড়েছে শনাক্তের হার। দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৮০ নমুনা পরীক্ষা করে ১২৯ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের দিন ছিল ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। এর আগে সোমবার (২১ জুন) ছিল ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
জেলায় ঘরে ঘরে যেন ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর-সর্দি। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। এদিকে অতিরিক্ত হারে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী আসছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতে চরমভাবে সংকটে রয়েছে খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ। তবে এই পরিস্থিতিতে যারা খাদ্যসংকটে রয়েছেন তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাবার বা নগদ টাকা পৌঁছে দিবে স্থানীয় প্রশাসন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪০৪ জন। বাকিদের মেঝে ও বারান্দায় অতিরিক্ত বেড তৈরি করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৮ জন। দিনাজপুরে শনাক্ত আরও ৪৮৩ জন
দিনাজপুর : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ৩ জন। ১ হাজার ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ হাজার ৮শ’ জনে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ। জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৫ হাজার ৮৭১ জনের।
জেলায় বর্তমান করোনা রোগী আছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১৪ জন।
সদরে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনে মানুষজন ও হালকা যানবাহন চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। তবে লকডাউন বাড়ায় এবং শহরে ব্যাপক হরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মানুষকে ঘরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবসহ অনেক স্বেচ্ছসেবী সংগঠন কিন্তু লকডাউনের ১০ম দিনেও শহরের মানুষজনকে বের হতে দেখা গেছে।
পিরোজপুরে ৪ পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা
পিরোজপুর : জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) থেকে পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও স্বরূপকাঠি পৌর এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
রামেকের আরটি পিসিআর মেশিনটি ৫ দিন ধরে বিকল
রংপুর : জেলায় ৫৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৮৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে যা করোনা শুরু হওয়ার পর এটাই সর্বোচ সংক্রমণ। ৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭৪ জনে। রংপুর মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ৫ দিন ধরে ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকায় রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকাসহ চার জেলায় নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। আজ থেকে আবারও পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
খুলনায় করোনা শনাক্ত বেড়েছে, কমেছে মৃত্যু
খুলনা : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২৬০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছেন ৯১৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের প্রথম ২৪ দিনে ১৪ হাজার ৫০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৭১ জন। এর আগের ২৪ দিনে (৮-৩১ মে) শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৫৫১ জন। মারা যায় ৬০ জন।
অর্থাৎ এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর প্রায় ৩০ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে চলতি মাসের ২৪ দিনে। আর মোট মৃত্যুরও প্রায় ৩০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতভাগ। অবশ্য এই ৪১ জনেরই নমুনা স্থানীয়ভাবে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। রামেকের করোনা ইউনিটে রেকর্ড ১৮ জন মারা গেছেন। সাতক্ষীরা, যশোর, দিনাজপুর, পিরোজপুরের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। সাতক্ষীরায় সংক্রমণের হার আজকের দিনের তুলনায় বেড়েছে। যশোরে ১৮৭, দিনাজপুরে ৪৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পিরোজপুরে ৪ পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রমেকের আরটি পিসিআর মেশিনটি ৫ দিন ধরে বিকল রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তের হার শতভাগ
চুয়াডাঙ্গা : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য এই ৪১ জনেরই নমুনা স্থানীয়ভাবে র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া আরটি পিসিআর ল্যাব থেকে প্রেরিত নমুনার কোন রিপোর্ট আসেনি। ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জন মৃত্যুবরণ করেছেন। চুয়াডাঙ্গার ৪টি উপজেলার মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলা ব্যতীত চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও আলুকদিয়া ইউনিয়ন, দামুড়হুদা এবং জীবননগর উপজেলায় কঠোর লকডাউন দেয়ার পরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার ৪৩ শতাংশ
সাতক্ষীরা : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯ জন মারা গেছেন। সংক্রমণের হার আজকের দিনের তুলনায় বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২২ জন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। শতকরা হারে যা ৪৩ ভাগ। এর আগের দিন করোনা শনাক্তের হার ছিল ২৭ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৭২ জন। সীমান্ত এলাকায় নজরদারির অভাব, ঢিলেঢালা লকডাউন আর জনগণের অসচেতনতাকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সচেতন মহল।
এদিকে লকডাউনের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ না কমার কারণ হিসেবে সিভিল সার্জন ডা. হুসেইন শাফায়াত বলেন, জনগণ আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না বলেই মনে হচ্ছে। শুধুমাত্র মাস্ক পরার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ অর্ধেকে নামিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি এটাও বলা যায়, কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে। যে কারণে সংক্রমণ কমছে না। লকডাউনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে অচিরেই আমরা এর ফল পাব।
সামেক হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মানস মন্ডল জানান, সামেক হাসপাতালে এখন রোগী ভর্তি আছেন ২৮০ জন। সিট ক্যাপাসিটি ২শ’। ফলে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন অথবা ফ্লোরে থাকছেন। শয্যা বাড়াতে হলে চিকিৎসক বাড়াতে হবে। ওয়ার্ড বয়, ক্লিনারসহ আনুসঙ্গিক সরঞ্জামাদিও বাড়াতে হবে।
যশোরে ১৮৭ জন শনাক্ত
যশোর : জেলায় মোট ৫০২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পিসিআর ল্যাবে ২৭৭ জনের মধ্যে ১১৬ জন এবং র্যাপিড এন্টিজেন টেটেস্ট ২২৫ জনের মধ্যে ৭১ জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৩৭ ভাগ। এই সময়ের মধ্যে যশোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রামেকে রেকর্ড ১৮ মৃত্যু,
ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি
রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত এটাই এই হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ফের বেড়েছে শনাক্তের হার। দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৮০ নমুনা পরীক্ষা করে ১২৯ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের দিন ছিল ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। এর আগে সোমবার (২১ জুন) ছিল ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
জেলায় ঘরে ঘরে যেন ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর-সর্দি। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। এদিকে অতিরিক্ত হারে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী আসছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতে চরমভাবে সংকটে রয়েছে খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ। তবে এই পরিস্থিতিতে যারা খাদ্যসংকটে রয়েছেন তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাবার বা নগদ টাকা পৌঁছে দিবে স্থানীয় প্রশাসন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪০৪ জন। বাকিদের মেঝে ও বারান্দায় অতিরিক্ত বেড তৈরি করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৮ জন। দিনাজপুরে শনাক্ত আরও ৪৮৩ জন
দিনাজপুর : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ৩ জন। ১ হাজার ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ হাজার ৮শ’ জনে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ। জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৫ হাজার ৮৭১ জনের।
জেলায় বর্তমান করোনা রোগী আছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১৪ জন।
সদরে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনে মানুষজন ও হালকা যানবাহন চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। তবে লকডাউন বাড়ায় এবং শহরে ব্যাপক হরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মানুষকে ঘরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবসহ অনেক স্বেচ্ছসেবী সংগঠন কিন্তু লকডাউনের ১০ম দিনেও শহরের মানুষজনকে বের হতে দেখা গেছে।
পিরোজপুরে ৪ পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা
পিরোজপুর : জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) থেকে পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও স্বরূপকাঠি পৌর এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
রামেকের আরটি পিসিআর মেশিনটি ৫ দিন ধরে বিকল
রংপুর : জেলায় ৫৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৮৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে যা করোনা শুরু হওয়ার পর এটাই সর্বোচ সংক্রমণ। ৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭৪ জনে। রংপুর মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ৫ দিন ধরে ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকায় রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকাসহ চার জেলায় নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। আজ থেকে আবারও পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
খুলনায় করোনা শনাক্ত বেড়েছে, কমেছে মৃত্যু
খুলনা : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২৬০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছেন ৯১৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের প্রথম ২৪ দিনে ১৪ হাজার ৫০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৭১ জন। এর আগের ২৪ দিনে (৮-৩১ মে) শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৫৫১ জন। মারা যায় ৬০ জন।
অর্থাৎ এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর প্রায় ৩০ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে চলতি মাসের ২৪ দিনে। আর মোট মৃত্যুরও প্রায় ৩০ শতাংশ।