কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) বৃষ্টির গতি কমে আসায় জেলার অনেক প্লাবিত স্থান থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এতে ভেসে উঠেছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন।
গত ৩ দিন ধরে অতি ভারি বর্ষণের ফলে এসব এলাকা পাহাড়ি ঢলে পানির নিচে নেমে যায়। এতে কক্সবাজারের ৫১টি ইউনিয়ন পানির নিচে পড়ে। এতে পানিবন্দি হয়ে আছে ৫৫ হাজার মানুষ। এখনও কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ এবং উখিয়াসহ বহু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ওই সব এলাকায় বৃষ্টি না হলেও এখনও জমে আছে পানি। পানিতে ডুবে আছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কয়েকটি স্থান। এতে বিকাল পর্যন্ত এই সড়কে অধিকাংশ যানবাহন চলাচল আটকে পড়ে।
এদিকে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষেরা। চলছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এতে সর্বত্র হাহাকার চলছে। এই দুর্যোগে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ চলছে। সর্বত্র ফুটে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। এদিকে বন্যার্ত মানুষদের সহযোগিতার জন্য ছুটে চলছে জেলা প্রশাসনের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা রান্না করা খাবার এবং শুকনো খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বন্যার শিকার মানুষের ঘরে ঘরে। একই সাথে ত্রাণ সামগ্রীও দেয়া হচ্ছে সমানতালে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ জানান, বন্যা কবলিত এসব মানুষের জন্য ২০০০ প্যাকেট শুকোনো খাবার এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা উপজেলা সমূহকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে পূর্ণ গতিতে ত্রাণ বিতরণ করছেন। পাশাপাশি কিছু বেসরকারি সংস্থাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আশা করছি নতুন করে বৃষ্টি না হলে খুব শীঘ্রই পানি নেমে যাবে। তার আগ পর্যন্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও জানান, লোকলজ্জার ভয়ে যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে চান না তারা জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ তে ফোন করলে গোপনীয়তা বজায় রেখে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, সরকারের পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। পানিবন্দি মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সেখানে তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পাহাড় ধসে ও বানের পানিতে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য কাজ করা হবে।
এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ জানতে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গেল ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯১ মি.মি। বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারে এখনও ৩ সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৈরি পরিবেশ স্বাভাবিক হতে পারে।
এছাড়া বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে স্বাস্থ্য সেবা, রাস্তা-ঘাট, কৃষি, মৎস্য, লবণ ও ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। ইতোমধ্যে গত ২ দিন কক্সবাজার সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সদর, ঈদগাঁও ও রামুতে সাংসদ সাইমুন সরওয়ার কমল এবং চকরিয়া-পেকুয়ায় সাংসদ জাফর আলমসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও নেতারা দুর্যোগ এলাকায় সহায়তা নিয়ে মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছে। এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ও বানের পানিতে ভেসে এই পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) বৃষ্টির গতি কমে আসায় জেলার অনেক প্লাবিত স্থান থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এতে ভেসে উঠেছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন।
গত ৩ দিন ধরে অতি ভারি বর্ষণের ফলে এসব এলাকা পাহাড়ি ঢলে পানির নিচে নেমে যায়। এতে কক্সবাজারের ৫১টি ইউনিয়ন পানির নিচে পড়ে। এতে পানিবন্দি হয়ে আছে ৫৫ হাজার মানুষ। এখনও কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ এবং উখিয়াসহ বহু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ওই সব এলাকায় বৃষ্টি না হলেও এখনও জমে আছে পানি। পানিতে ডুবে আছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কয়েকটি স্থান। এতে বিকাল পর্যন্ত এই সড়কে অধিকাংশ যানবাহন চলাচল আটকে পড়ে।
এদিকে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষেরা। চলছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এতে সর্বত্র হাহাকার চলছে। এই দুর্যোগে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ চলছে। সর্বত্র ফুটে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। এদিকে বন্যার্ত মানুষদের সহযোগিতার জন্য ছুটে চলছে জেলা প্রশাসনের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা রান্না করা খাবার এবং শুকনো খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বন্যার শিকার মানুষের ঘরে ঘরে। একই সাথে ত্রাণ সামগ্রীও দেয়া হচ্ছে সমানতালে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ জানান, বন্যা কবলিত এসব মানুষের জন্য ২০০০ প্যাকেট শুকোনো খাবার এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা উপজেলা সমূহকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে পূর্ণ গতিতে ত্রাণ বিতরণ করছেন। পাশাপাশি কিছু বেসরকারি সংস্থাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আশা করছি নতুন করে বৃষ্টি না হলে খুব শীঘ্রই পানি নেমে যাবে। তার আগ পর্যন্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও জানান, লোকলজ্জার ভয়ে যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে চান না তারা জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ তে ফোন করলে গোপনীয়তা বজায় রেখে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, সরকারের পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। পানিবন্দি মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সেখানে তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পাহাড় ধসে ও বানের পানিতে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য কাজ করা হবে।
এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ জানতে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গেল ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯১ মি.মি। বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারে এখনও ৩ সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৈরি পরিবেশ স্বাভাবিক হতে পারে।
এছাড়া বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে স্বাস্থ্য সেবা, রাস্তা-ঘাট, কৃষি, মৎস্য, লবণ ও ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। ইতোমধ্যে গত ২ দিন কক্সবাজার সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সদর, ঈদগাঁও ও রামুতে সাংসদ সাইমুন সরওয়ার কমল এবং চকরিয়া-পেকুয়ায় সাংসদ জাফর আলমসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও নেতারা দুর্যোগ এলাকায় সহায়তা নিয়ে মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছে। এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ও বানের পানিতে ভেসে এই পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।