‘করোনাকালে সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মানতে হেইলে তো সরকার লকডাউন দেতে না। সরকার মোগো ভালর জন্যই সব করে মোরাতো বুঝি না,করোনাও মোগো পিছ ছাড়ে না। এহোন লকডাউনে লগডাউনে জীবনডাই লক ডাউন অইয়া গ্যাছে।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা শহরের ফুটপাতে ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ী নির্মল চন্দ্র সিকদার।
বরগুনা শহীদ স্মৃতি সড়কের নিজের ভাড়া বাড়িতে একদিকে লকডাউন অন্যদিকে ক’দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে ঘরে বেকার নির্মল চন্দ্র সিকদার সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, ২ মেয়ে মাসহ ৬ জনের সংসার তার। মূল বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মৃঝাগঞ্জের কুদবারচর এলাকায়। এটি বরগুনা জেলা সংলগ্ন। তারা গ্রামের বাড়িতে বেঁচে থাকার মতো কাজ না থাকায় প্রায় ২০ বছর আগে বরগুনা শহরে চলে আসেন পরিবার নিয়ে। থাকেন ছোট একটি ভাড়া করা বাসায়। বরগুনা শহরের নজরুল ইসলাম সড়কের মাথায় ফুটপাতে খোলা বিক্রি করেন। লকডাউনের আগে তিনি দিনে ৪/৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করতেন। লকডাউনের কবলে পড়ে তার বেচা-বিক্রি প্রায় বন্ধ। তিনি বলেন, তার মতো অনেকেই বেকারত্ব নিয়ে দিশেহারা। এখন মাঝে মাঝে দোকান খোলা গেলেও শহরে তেমন কোন মানুষ থাকে না, বেচা-বিক্রি তেমন হয় না। দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাত্র ৫/৭শ’ টাকা বিক্রি হয়। ক’দিন ধরে প্রচ- বৃষ্টি, কেউ বাইরে নামতেই পারে না বলে দোকানপাট বন্ধ। পান বিক্রি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বেড়াতেন তিনি। ৬ জনের সংসার তাদের এখন আয় না হওয়ায় কোন কোন সময় না খেয়ে থাকতে হয়। তিনি বলেন, বরগুনার নাগরিক না হওয়ায় তিনি কোন ত্রাণও পান না। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য সব খরচই প্রয়োজন। ঘরে চাল হাতে টাকা পয়সা থাক না। তারপরও নির্মল সিকদার বলেন, সরকার সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর জন্যই লকডাউন ঘোষণা করেছে। একসঙ্গে সবাই যদি লকডাউন মানতে তাহলে এতদিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যেত। কিন্তু কেউইতো স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। আর স্বাস্থ্যবিধি অবহেলার কারণেই সরকার বার বার লকডাউন দেয়। নিজে করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সব সময় মাস্ক ব্যবহার করেন জানিয়ে বলেন, সরকার যথেষ্ট ত্রাণ দিচ্ছেন কিন্তু যারা ত্রাণ নেয় তারাও অনেকে মাক্স পরেন না। তিনি বলেন, করোনাকালে কেউতো না খেয়ে মারা যায়নি কিন্তু প্রতিদিন করোনায় বহু লোক মারা যাচ্ছে। প্রতিদিন শহরে মাইকে মৃত্যু খবর প্রচার হয়। মানুষ তা শুনেও সতর্ক হয় না স্বাস্থ্যবিধি মানে না। তিনি বলেন, মানুষের জীবন আগে।
রোববার, ০১ আগস্ট ২০২১
‘করোনাকালে সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মানতে হেইলে তো সরকার লকডাউন দেতে না। সরকার মোগো ভালর জন্যই সব করে মোরাতো বুঝি না,করোনাও মোগো পিছ ছাড়ে না। এহোন লকডাউনে লগডাউনে জীবনডাই লক ডাউন অইয়া গ্যাছে।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা শহরের ফুটপাতে ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ী নির্মল চন্দ্র সিকদার।
বরগুনা শহীদ স্মৃতি সড়কের নিজের ভাড়া বাড়িতে একদিকে লকডাউন অন্যদিকে ক’দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে ঘরে বেকার নির্মল চন্দ্র সিকদার সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, ২ মেয়ে মাসহ ৬ জনের সংসার তার। মূল বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মৃঝাগঞ্জের কুদবারচর এলাকায়। এটি বরগুনা জেলা সংলগ্ন। তারা গ্রামের বাড়িতে বেঁচে থাকার মতো কাজ না থাকায় প্রায় ২০ বছর আগে বরগুনা শহরে চলে আসেন পরিবার নিয়ে। থাকেন ছোট একটি ভাড়া করা বাসায়। বরগুনা শহরের নজরুল ইসলাম সড়কের মাথায় ফুটপাতে খোলা বিক্রি করেন। লকডাউনের আগে তিনি দিনে ৪/৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করতেন। লকডাউনের কবলে পড়ে তার বেচা-বিক্রি প্রায় বন্ধ। তিনি বলেন, তার মতো অনেকেই বেকারত্ব নিয়ে দিশেহারা। এখন মাঝে মাঝে দোকান খোলা গেলেও শহরে তেমন কোন মানুষ থাকে না, বেচা-বিক্রি তেমন হয় না। দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাত্র ৫/৭শ’ টাকা বিক্রি হয়। ক’দিন ধরে প্রচ- বৃষ্টি, কেউ বাইরে নামতেই পারে না বলে দোকানপাট বন্ধ। পান বিক্রি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বেড়াতেন তিনি। ৬ জনের সংসার তাদের এখন আয় না হওয়ায় কোন কোন সময় না খেয়ে থাকতে হয়। তিনি বলেন, বরগুনার নাগরিক না হওয়ায় তিনি কোন ত্রাণও পান না। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য সব খরচই প্রয়োজন। ঘরে চাল হাতে টাকা পয়সা থাক না। তারপরও নির্মল সিকদার বলেন, সরকার সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর জন্যই লকডাউন ঘোষণা করেছে। একসঙ্গে সবাই যদি লকডাউন মানতে তাহলে এতদিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যেত। কিন্তু কেউইতো স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। আর স্বাস্থ্যবিধি অবহেলার কারণেই সরকার বার বার লকডাউন দেয়। নিজে করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সব সময় মাস্ক ব্যবহার করেন জানিয়ে বলেন, সরকার যথেষ্ট ত্রাণ দিচ্ছেন কিন্তু যারা ত্রাণ নেয় তারাও অনেকে মাক্স পরেন না। তিনি বলেন, করোনাকালে কেউতো না খেয়ে মারা যায়নি কিন্তু প্রতিদিন করোনায় বহু লোক মারা যাচ্ছে। প্রতিদিন শহরে মাইকে মৃত্যু খবর প্রচার হয়। মানুষ তা শুনেও সতর্ক হয় না স্বাস্থ্যবিধি মানে না। তিনি বলেন, মানুষের জীবন আগে।