স্বামীর কাছ থেকে মায়ের পাওনা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে কাপাসিয়াায় ফাঁসিতে ঝুলে নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার টোক ইউনিয়নের উজুলি দিঘিরপাড় গুচ্ছগ্রামে নাজমার মায়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। নাজমা বেগম নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি গ্রামের প্রয়াত মজিবর রহমানের মেয়ে। দেড়-দুই বছর বয়সে পিতা মজিবুর রহমানের মৃত্যু হলে কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের উজুলি দিঘিরপাড় গ্রামের আ. শহীদের সাথে তার মা সাজেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
নাজমার মা সাজেদা বেগম জানান, তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করে গত মাসে দেশে এসেছেন। নাজমার কাছে পাঠানো প্রায় আড়াই লাখ টাকা তার স্বামী সাইফুল কৌশলে বাগিয়ে নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। মা দেশে ফিরার পর সম্প্রতি মায়ের টাকা ফেরত চাইলে সাইফুলের সাথে তার চরম বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সোমবার রাতে সাইফুলের সঙ্গে নাজমার মোবাইল ফোনে ঝগড়া হলে এক পর্যায়ে সে রাত ১০টার দিকে ঘরের দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মায়ের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে নাজমার ঝুলস্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সাইফুলের কাছে নাজমার মায়ের পাওনা টাকার বিষয়ে তিনি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্বামীর কাছ থেকে মায়ের পাওনা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে কাপাসিয়াায় ফাঁসিতে ঝুলে নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার টোক ইউনিয়নের উজুলি দিঘিরপাড় গুচ্ছগ্রামে নাজমার মায়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। নাজমা বেগম নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি গ্রামের প্রয়াত মজিবর রহমানের মেয়ে। দেড়-দুই বছর বয়সে পিতা মজিবুর রহমানের মৃত্যু হলে কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের উজুলি দিঘিরপাড় গ্রামের আ. শহীদের সাথে তার মা সাজেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
নাজমার মা সাজেদা বেগম জানান, তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করে গত মাসে দেশে এসেছেন। নাজমার কাছে পাঠানো প্রায় আড়াই লাখ টাকা তার স্বামী সাইফুল কৌশলে বাগিয়ে নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। মা দেশে ফিরার পর সম্প্রতি মায়ের টাকা ফেরত চাইলে সাইফুলের সাথে তার চরম বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সোমবার রাতে সাইফুলের সঙ্গে নাজমার মোবাইল ফোনে ঝগড়া হলে এক পর্যায়ে সে রাত ১০টার দিকে ঘরের দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মায়ের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে নাজমার ঝুলস্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সাইফুলের কাছে নাজমার মায়ের পাওনা টাকার বিষয়ে তিনি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।