বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে দুই বিচারকের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুই বিচারকের পৃথক পৃথক লিখিত ব্যাখ্যা বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে বিচারকদের লিখিত ব্যাখ্যা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জমা দেয়া হয়।
দুই বিচারক পৃথক ব্যাখ্যায় বলেছেন-রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকলে তা অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে হয়েছে। আর অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে করা ভুলত্রুটি মার্জনা করে পৃথক ব্যাখ্যা গ্রহণ করে অধিক ব্যাখ্যার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আরজি জানানো হয়।
আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও মো. মুজিবুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
শুনানিতে আদালত বলেছেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেটের একজন রিমান্ডের তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাদকের ভয়াবহতার কথা লিখেছেন। আর রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে যে ত্রুটি হয়েছে, অন্য ম্যাজিস্ট্রেট তা বিশ্বাসই করেন না। হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন করা হয়েছে।
একপর্যায়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম দুই ম্যাজিস্ট্রেটের দাখিল করা ব্যাখ্যার অংশবিশেষ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, রিমান্ড নিয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের যে গাইডলাইন এবং আমাদের প্রচলিত আইন আছে, তারা এগুলোর বিরুদ্ধে। যে কারণে আমরা তাদের জবাবে আমরা সন্তুষ্ট নই। এই মামলায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে আমরা সন্তুষ্ট নই, যে কারণে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ রাখলাম।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দিন আদালত রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নথিসহ (সিডি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন এবং সিডি উপস্থাপন করেছেন। পরে আদালত আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।
গত ২৯ আগস্ট পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)। ওইদিন আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব। গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। এরপর ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান চিত্রনায়িকা পরীমনি।
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে দুই বিচারকের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুই বিচারকের পৃথক পৃথক লিখিত ব্যাখ্যা বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে বিচারকদের লিখিত ব্যাখ্যা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জমা দেয়া হয়।
দুই বিচারক পৃথক ব্যাখ্যায় বলেছেন-রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকলে তা অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে হয়েছে। আর অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে করা ভুলত্রুটি মার্জনা করে পৃথক ব্যাখ্যা গ্রহণ করে অধিক ব্যাখ্যার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আরজি জানানো হয়।
আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও মো. মুজিবুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
শুনানিতে আদালত বলেছেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেটের একজন রিমান্ডের তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাদকের ভয়াবহতার কথা লিখেছেন। আর রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে যে ত্রুটি হয়েছে, অন্য ম্যাজিস্ট্রেট তা বিশ্বাসই করেন না। হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন করা হয়েছে।
একপর্যায়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম দুই ম্যাজিস্ট্রেটের দাখিল করা ব্যাখ্যার অংশবিশেষ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, রিমান্ড নিয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের যে গাইডলাইন এবং আমাদের প্রচলিত আইন আছে, তারা এগুলোর বিরুদ্ধে। যে কারণে আমরা তাদের জবাবে আমরা সন্তুষ্ট নই। এই মামলায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে আমরা সন্তুষ্ট নই, যে কারণে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ রাখলাম।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দিন আদালত রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নথিসহ (সিডি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন এবং সিডি উপস্থাপন করেছেন। পরে আদালত আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।
গত ২৯ আগস্ট পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)। ওইদিন আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব। গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। এরপর ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান চিত্রনায়িকা পরীমনি।