কক্সবাজারে পেকুয়ায় পাহাড় কেটে জায়গা জবর দখলে নেমেছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বনবিভাগ থেকে একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও থেমনি নেই পাহাড় কাটা। মুহুর্তেই কাটা পাহাড়ের সমতল ভূমিতে গড়ে উঠছে বসতঘর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ছৈয়দ নগর এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে মো. নুরুন্নবী ও তার ভাগিনা বেলাল উদ্দিন একটি পাহাড় কাটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে।
গত চার মাস আগে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া পূর্ব আধারী এলাকার একটি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁপড়ি ঘর বানিয়ে তা জবর দখল করে নেয় এ চক্র। জবর দখল করে বানানো ওই ঘরে বেলাল উদ্দিন তার পরিবার নিয়ে বসতি গড়ে আসলেও তা নজরে আসেনি বনবিভাগের।
সম্প্রতি মামা নুরুন্নবীর ইন্ধনে বেলাল উদ্দিন পাহাড় কাটা শুরু করলে বাঁধা দেয় বনবিভাগ। বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লা বলেন, বেলাল উদ্দিন ও নুরুন্নবী কয়েক মাস আগে থেকে বনবিভাগের জমি দখলে নিয়ে ঘর করেছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দেখছি পাহাড় কাটা শুরু করেছে। আমাদের সামাজিক বনায়নের গাছও কেটে ফেলছে তারা।
এ ব্যাপারে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
সরেজমিনে দেখা যায়, জারুলবুনিয়ার পূর্ব আধারীর সামাজিক বনায়ন সম্বলিত পাহাড়টির পূর্ব পাশের খাদে বেড়া আর পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে ঝুপড়ি ঘর। এর উপরে পাহাড়ের প্রায় ৩০-৪০ ফুট কেটে সমতল করা হয়েছে। পাহাড় কেটে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে ঘরের তলা। পাহাড় কাটতে গিয়ে সাবাড় করা হয়েছে সামাজিক বনায়নের প্রায় ২০-২৫ গাছ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হোছাইন বলেন, বেলাল উদ্দিন নয় বছর আগে রাজাখালী থেকে এই এলাকায় আসে। এরপর থেকে তার মামা নুরুন্নবীর ইন্ধনে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি নুরুন্নবী তার ভাগিনাকে দিয়ে বনবিভাগের দুই একর জমি দখলে নিয়েছে।
এদিকে দখল হওয়া জায়গা সরকারি হিসেবে ভূমিহীন ভাগিনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. নুরুন্নবী।
পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্ত বলেন, এর আগেও পেকুয়াতে বিভিন্ন সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে পরিবেশের ক্ষতি করেছিলো। আমরা তাদের আইনের আওতায় এনেছিলাম। এক্ষেত্রে তদন্ত করে সত্যতা পেলে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিন্নাত বলেন, পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা এবং তা দখলে নেওয়া গুরুতর অপরাধের কাজ। যেহেতু জায়গাটা বনবিভাগের সেহেতু তাঁরা আমাদের অবগত করলে অভিযানে যাবো।
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
কক্সবাজারে পেকুয়ায় পাহাড় কেটে জায়গা জবর দখলে নেমেছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বনবিভাগ থেকে একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও থেমনি নেই পাহাড় কাটা। মুহুর্তেই কাটা পাহাড়ের সমতল ভূমিতে গড়ে উঠছে বসতঘর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ছৈয়দ নগর এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে মো. নুরুন্নবী ও তার ভাগিনা বেলাল উদ্দিন একটি পাহাড় কাটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে।
গত চার মাস আগে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া পূর্ব আধারী এলাকার একটি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁপড়ি ঘর বানিয়ে তা জবর দখল করে নেয় এ চক্র। জবর দখল করে বানানো ওই ঘরে বেলাল উদ্দিন তার পরিবার নিয়ে বসতি গড়ে আসলেও তা নজরে আসেনি বনবিভাগের।
সম্প্রতি মামা নুরুন্নবীর ইন্ধনে বেলাল উদ্দিন পাহাড় কাটা শুরু করলে বাঁধা দেয় বনবিভাগ। বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লা বলেন, বেলাল উদ্দিন ও নুরুন্নবী কয়েক মাস আগে থেকে বনবিভাগের জমি দখলে নিয়ে ঘর করেছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দেখছি পাহাড় কাটা শুরু করেছে। আমাদের সামাজিক বনায়নের গাছও কেটে ফেলছে তারা।
এ ব্যাপারে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
সরেজমিনে দেখা যায়, জারুলবুনিয়ার পূর্ব আধারীর সামাজিক বনায়ন সম্বলিত পাহাড়টির পূর্ব পাশের খাদে বেড়া আর পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে ঝুপড়ি ঘর। এর উপরে পাহাড়ের প্রায় ৩০-৪০ ফুট কেটে সমতল করা হয়েছে। পাহাড় কেটে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে ঘরের তলা। পাহাড় কাটতে গিয়ে সাবাড় করা হয়েছে সামাজিক বনায়নের প্রায় ২০-২৫ গাছ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হোছাইন বলেন, বেলাল উদ্দিন নয় বছর আগে রাজাখালী থেকে এই এলাকায় আসে। এরপর থেকে তার মামা নুরুন্নবীর ইন্ধনে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি নুরুন্নবী তার ভাগিনাকে দিয়ে বনবিভাগের দুই একর জমি দখলে নিয়েছে।
এদিকে দখল হওয়া জায়গা সরকারি হিসেবে ভূমিহীন ভাগিনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. নুরুন্নবী।
পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্ত বলেন, এর আগেও পেকুয়াতে বিভিন্ন সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে পরিবেশের ক্ষতি করেছিলো। আমরা তাদের আইনের আওতায় এনেছিলাম। এক্ষেত্রে তদন্ত করে সত্যতা পেলে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিন্নাত বলেন, পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা এবং তা দখলে নেওয়া গুরুতর অপরাধের কাজ। যেহেতু জায়গাটা বনবিভাগের সেহেতু তাঁরা আমাদের অবগত করলে অভিযানে যাবো।