বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী থেকে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি গ্রামের দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কটি কীর্তনখোলা নদী আর আড়িয়াল খাঁ নদের জোয়ারের সময় প্রায় দুই কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে সেখান দিয়ে নৌকাও চলে। এছাড়া সড়কের এই অংশের পুরোটাই খানাখন্দ।
স্থানীয় লোকজন ইট ও পাথর ফেলে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও সরকারিভাবে নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার। তাদের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেবার পথে দেরি হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘শীঘ্রই সড়কটিতে সংস্কার কাজ শুরু হবে।’ লামছড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীর তীরবর্তী সড়কটি জোয়ার হলেই পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া দুই কিলোমিটার অংশে চলাচলের উপায় নেই বললেই চলে। পুরোটাই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। স্থানীয় লোকজন জানান, সব মৌসুমেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। কেউ অসুস্থ হলে এই সড়ক দিয়ে সময়মতো হাসপাতালে নেয়াও যায় না। আবার সড়ক ভাঙা থাকায় যানবাহন চালকরাও বেশি ভাড়া ছাড়া চলাচল করে না। স্থানীয় বেল্লাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভ্যান অথবা এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে নিতে পথেই মারা যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। জোয়ার আর বৃষ্টির সময় এই সড়কে নৌকা চলে। একজন মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কোলে করে আধাঘণ্টা হেঁটে সড়কের ভাঙা অংশ পার হতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি।’
রাসেল হোসেন নামক আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘জোয়ার হলে এমনিতেই তো যাতায়াতে সমস্যা। এর মধ্যে রাস্তা খানাখন্দে ভরা থাকায় সমস্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যারা শহরে চাকরি করি, তাদের আসা-যাওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।’ চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজ জানান, রাস্তাটির বেহাল অবস্থা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী থেকে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি গ্রামের দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কটি কীর্তনখোলা নদী আর আড়িয়াল খাঁ নদের জোয়ারের সময় প্রায় দুই কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে সেখান দিয়ে নৌকাও চলে। এছাড়া সড়কের এই অংশের পুরোটাই খানাখন্দ।
স্থানীয় লোকজন ইট ও পাথর ফেলে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও সরকারিভাবে নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার। তাদের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেবার পথে দেরি হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘শীঘ্রই সড়কটিতে সংস্কার কাজ শুরু হবে।’ লামছড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীর তীরবর্তী সড়কটি জোয়ার হলেই পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া দুই কিলোমিটার অংশে চলাচলের উপায় নেই বললেই চলে। পুরোটাই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। স্থানীয় লোকজন জানান, সব মৌসুমেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। কেউ অসুস্থ হলে এই সড়ক দিয়ে সময়মতো হাসপাতালে নেয়াও যায় না। আবার সড়ক ভাঙা থাকায় যানবাহন চালকরাও বেশি ভাড়া ছাড়া চলাচল করে না। স্থানীয় বেল্লাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভ্যান অথবা এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে নিতে পথেই মারা যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। জোয়ার আর বৃষ্টির সময় এই সড়কে নৌকা চলে। একজন মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কোলে করে আধাঘণ্টা হেঁটে সড়কের ভাঙা অংশ পার হতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি।’
রাসেল হোসেন নামক আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘জোয়ার হলে এমনিতেই তো যাতায়াতে সমস্যা। এর মধ্যে রাস্তা খানাখন্দে ভরা থাকায় সমস্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যারা শহরে চাকরি করি, তাদের আসা-যাওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।’ চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজ জানান, রাস্তাটির বেহাল অবস্থা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।