২৩ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহন
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক রংপুর বিজয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে জাতীয় পতাকা বিকৃত করে প্রদর্শন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে পতাকার অবমাননা মামলায় আজ মঙ্গলবার রংপুরের মেট্রোপলিটান আমলী আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট আল মেহবুবের আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
সেই সাথে আসামী পক্ষের আইনজিীর সকল আসামীওেক মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজিবী রফিক হাসনাইন আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আসামী পক্ষের মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান। সেই সাথে আগামী ২৩ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে আদালতে জাতীয় পতাকা মামলার ১৮ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা সহ ১৯ জন আসামী আদালতে হাজির হন।
আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানীকালে বাদী পক্ষের আইনজিবী খন্দকার রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট আদালতে বলেন ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা এবং সেই স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাকে আসামীরা শুধু বিকৃত করেনি বরং জাতীয় পতাকাকে পদদলিত করে মহান স্বাধীনতার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে।
আসামীরা এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকার বদলে চাঁদ তারা পতাকা তোলা হবে। তারা জাতীয় পাতাকা বিকৃত করে মহান বিজয় দিবসের দিন স্বাধীনতা স্মারকে প্রদর্শন করেছে শুধু তাই নয় বিকৃত জাতীয় পতাকাকে ফেস বুকে প্রচার করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আসামীদের কোন ভাবেই অনুকম্পা দেখানোর কোন সুযোগ নেই।
তিনি পতাকা অবমাননা আইন অনুযায়ী আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার আবেদন জানান।
এ সময় আসামী পক্ষের আইনজিবী জহুরুল ইসলাম এ্যাডভোকেট আসামীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার আবেদন জানিয়ে বলেন আসামীরা ইচ্ছেকৃতভাবে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেনি।
দুই পক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী পক্ষের আবেদন খারিজ করে সকল আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার আদেশ দেন। জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলার আসামীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক আর এম হাফিজুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণ, মার্কেটিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাসুদ উল হাসান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রাম প্রসাদ বর্মণ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক রহমতউল্লাহ, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কাইয়ুম শারাফাত, ইতিহাস ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবু সায়েদ। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সদরুল ইসলাম সরকার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সরকার, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ জামান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক চার্লস ডারউন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুর আলম সিদ্দিক, এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) শুভঙ্কর ।
এ সময় মামলার বাদী গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক , বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিক্ষক মশিউর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২৩ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহন
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক রংপুর বিজয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে জাতীয় পতাকা বিকৃত করে প্রদর্শন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে পতাকার অবমাননা মামলায় আজ মঙ্গলবার রংপুরের মেট্রোপলিটান আমলী আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট আল মেহবুবের আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
সেই সাথে আসামী পক্ষের আইনজিীর সকল আসামীওেক মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজিবী রফিক হাসনাইন আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আসামী পক্ষের মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান। সেই সাথে আগামী ২৩ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে আদালতে জাতীয় পতাকা মামলার ১৮ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা সহ ১৯ জন আসামী আদালতে হাজির হন।
আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানীকালে বাদী পক্ষের আইনজিবী খন্দকার রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট আদালতে বলেন ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা এবং সেই স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাকে আসামীরা শুধু বিকৃত করেনি বরং জাতীয় পতাকাকে পদদলিত করে মহান স্বাধীনতার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে।
আসামীরা এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকার বদলে চাঁদ তারা পতাকা তোলা হবে। তারা জাতীয় পাতাকা বিকৃত করে মহান বিজয় দিবসের দিন স্বাধীনতা স্মারকে প্রদর্শন করেছে শুধু তাই নয় বিকৃত জাতীয় পতাকাকে ফেস বুকে প্রচার করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আসামীদের কোন ভাবেই অনুকম্পা দেখানোর কোন সুযোগ নেই।
তিনি পতাকা অবমাননা আইন অনুযায়ী আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার আবেদন জানান।
এ সময় আসামী পক্ষের আইনজিবী জহুরুল ইসলাম এ্যাডভোকেট আসামীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার আবেদন জানিয়ে বলেন আসামীরা ইচ্ছেকৃতভাবে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেনি।
দুই পক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী পক্ষের আবেদন খারিজ করে সকল আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার আদেশ দেন। জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলার আসামীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক আর এম হাফিজুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণ, মার্কেটিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাসুদ উল হাসান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রাম প্রসাদ বর্মণ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক রহমতউল্লাহ, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কাইয়ুম শারাফাত, ইতিহাস ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবু সায়েদ। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সদরুল ইসলাম সরকার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সরকার, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ জামান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক চার্লস ডারউন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুর আলম সিদ্দিক, এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) শুভঙ্কর ।
এ সময় মামলার বাদী গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক , বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিক্ষক মশিউর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।