১৫ কিমি. রাস্তা ঘুরতে হয় ৫ গ্রামের মানুষকে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে রাধানগর ইউনিয়ন অন্যতম। ওই ইউনিয়নে যেমন শিক্ষার হার বেশি। তেমনিভাবে ফসল উৎপাদনেও রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। বিশেষ করে লিচু ও সবজি চাষে ওই এলাকার চকের ডাঙ্গা এলাকার তুলনাই হয় না। বদরগঞ্জ উপজেলা নদীবেষ্টিত উপজেলা হওয়ায় পৌর শহরসহ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে কোন না কোন নদী। তেমনিভাবে রাধানগর ইউনিয়নকেও দু’ভাগ করে রেখেছে ধোধরাই নদী। ওই নদীর এক পারে রয়েছে যেমন প্রাথমিক স্কুল, হাইস্কুলসহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তেমনি রয়েছে হাটবাজারসহ বদরগঞ্জ শহর যাতায়াতের প্রধান সড়ক। কিন্তু অপর পারে রয়েছে পাঁচটি গ্রামসহ লিচু ও সবজির জন্য বিখ্যাত চকের ডাঙ্গা এলাকা। ওই পাঁচ গ্রামের মানুষসহ বাগান মালিক ও সবজি চাষীরা তাদের ফল ও ফসল নিয়ে ধোধরাই নদীর উপর নির্মিত ধোধরারপাড় ব্রিজ দিয়েই যাতায়াত করতেন। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে ওই ব্রিজটি পানির তোড়ে ভেঙে পড়ে। ফলে স্থানীয় লোকজন নিজেদের উদ্যোগে ভাঙা ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি কোনরকমে যাতায়াত করলেও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ফল ও ফসল আনা নেয়ায়।
সরেজমিন এলাকা পরিদর্শণকালে কথা হয় ওই এলাকায় বসবাসকারী পীরপাল কলেজের প্রভাষক গোলজার হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। কেননা বাঁশের সাকো দিয়ে কোনরকমে মানুষ চলাচল করলেও ভারি কিছু বহন করা সম্ভব হয়না। আজম আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, বালাপাড়া এলাকা ও চকেরডাঙ্গা এলাকা লিচু ও সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। দু’বছর ধরে চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফল ও সবজি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারণ মাত্র ৫০ গজের ওই ব্রিজটি না থাকায় চাষীদের কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তারাগঞ্জ অথবা বদরগঞ্জ শহরে গিয়ে ফল ও সবজি বিক্রি করতে হয়।
ধোধরারপাড়ার আফজাল হোসেন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা আসেন আর সান্ত¡না দেন ব্রিজ হবে, হচ্ছে। আর সাংবাদিকরা কখনো ফটো তোলেন কখনোবা ভিডিও করেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে প্রকৌশলী বাদশাহ আলমগীর বলেন, সড়কটি এলজিইডি’র হলেও ব্রিজ করার কথা ত্রাণ অধিদপ্তরের। তাই সেখানে যোগাযোগ করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। পরে ত্রাণ অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যের অগ্রাধিকার তালিকায় ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে আশানুরূপ কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট বলেছেন, ভাঙা ব্রিজটি পরিদর্শণ করা হয়েছে এবং লোকজনের যায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণে কিছু অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত ব্রিজটি নির্মিত হবে।রংপুর-২(বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে ব্রিজটি নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। তবে খুব দ্রুত যাতে ব্রিজটি নির্মিত হয় সেজন্য ত্রাণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
১৫ কিমি. রাস্তা ঘুরতে হয় ৫ গ্রামের মানুষকে
শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে রাধানগর ইউনিয়ন অন্যতম। ওই ইউনিয়নে যেমন শিক্ষার হার বেশি। তেমনিভাবে ফসল উৎপাদনেও রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। বিশেষ করে লিচু ও সবজি চাষে ওই এলাকার চকের ডাঙ্গা এলাকার তুলনাই হয় না। বদরগঞ্জ উপজেলা নদীবেষ্টিত উপজেলা হওয়ায় পৌর শহরসহ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে কোন না কোন নদী। তেমনিভাবে রাধানগর ইউনিয়নকেও দু’ভাগ করে রেখেছে ধোধরাই নদী। ওই নদীর এক পারে রয়েছে যেমন প্রাথমিক স্কুল, হাইস্কুলসহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তেমনি রয়েছে হাটবাজারসহ বদরগঞ্জ শহর যাতায়াতের প্রধান সড়ক। কিন্তু অপর পারে রয়েছে পাঁচটি গ্রামসহ লিচু ও সবজির জন্য বিখ্যাত চকের ডাঙ্গা এলাকা। ওই পাঁচ গ্রামের মানুষসহ বাগান মালিক ও সবজি চাষীরা তাদের ফল ও ফসল নিয়ে ধোধরাই নদীর উপর নির্মিত ধোধরারপাড় ব্রিজ দিয়েই যাতায়াত করতেন। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে ওই ব্রিজটি পানির তোড়ে ভেঙে পড়ে। ফলে স্থানীয় লোকজন নিজেদের উদ্যোগে ভাঙা ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি কোনরকমে যাতায়াত করলেও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ফল ও ফসল আনা নেয়ায়।
সরেজমিন এলাকা পরিদর্শণকালে কথা হয় ওই এলাকায় বসবাসকারী পীরপাল কলেজের প্রভাষক গোলজার হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। কেননা বাঁশের সাকো দিয়ে কোনরকমে মানুষ চলাচল করলেও ভারি কিছু বহন করা সম্ভব হয়না। আজম আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, বালাপাড়া এলাকা ও চকেরডাঙ্গা এলাকা লিচু ও সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। দু’বছর ধরে চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফল ও সবজি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারণ মাত্র ৫০ গজের ওই ব্রিজটি না থাকায় চাষীদের কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তারাগঞ্জ অথবা বদরগঞ্জ শহরে গিয়ে ফল ও সবজি বিক্রি করতে হয়।
ধোধরারপাড়ার আফজাল হোসেন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা আসেন আর সান্ত¡না দেন ব্রিজ হবে, হচ্ছে। আর সাংবাদিকরা কখনো ফটো তোলেন কখনোবা ভিডিও করেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে প্রকৌশলী বাদশাহ আলমগীর বলেন, সড়কটি এলজিইডি’র হলেও ব্রিজ করার কথা ত্রাণ অধিদপ্তরের। তাই সেখানে যোগাযোগ করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। পরে ত্রাণ অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যের অগ্রাধিকার তালিকায় ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে আশানুরূপ কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট বলেছেন, ভাঙা ব্রিজটি পরিদর্শণ করা হয়েছে এবং লোকজনের যায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণে কিছু অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত ব্রিজটি নির্মিত হবে।রংপুর-২(বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে ব্রিজটি নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। তবে খুব দ্রুত যাতে ব্রিজটি নির্মিত হয় সেজন্য ত্রাণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।