alt

সারাদেশ

যারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তারা জনগণের শত্রু: প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা মূলত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। তারা দেশের জনগণের শত্রু।

নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া এয়ারপোর্টের ম্যারিয়ট হোটেলে আওয়ামী লীগের ইউএস চ্যাপ্টার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারা দেশের জনগণের শত্রু।’

তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত কিছু লোক (সরকারের) সমালোচনা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ব্যস্ত। এমন সময়ে তারা এসব করছে, যখন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে।

কেউই যাতে দেশে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

রাজনীতি ভোগের জন্য নয় বরং এটি আত্মত্যাগের জন্য। জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া কখনো জনগণের কল্যাণের কথা ভাবেননি বরং তারা ক্ষমতাকে ভোগ এবং দ্রুত অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে।

কিছু মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হল তারা কিভাবে এই কথাগুলো বলার সুযোগ পায়?’

তিনি আরও বলেন, তারা তাঁর সরকারের তৈরি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনার সুযোগ পাচ্ছে।

‘যদি তাদের কোন আদর্শ থাকে, তারা কখনোই তা করতে পারে না। যারা সরকারের সমালোচনা করছে তারা মূলত বিএনপি-জামায়াত চক্রের কেনা গোলাম।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল এবং হাইকোর্ট তাদের সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাতের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তার ছেলে (তারেক রহমান) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই দুর্নীতিতে তাদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে (সজীব আহমেদ ওয়াজেদ) অপহরণ ও হত্যার জন্য বিএনপি টাকা দিয়েছিল।

‘কিন্তু, এখন তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ বলছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী ।

তিনি আরও বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে ভোট দিয়েছে এবং বিএনপিকে বর্জন করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি বিশ্বাস থাকলে বিএনপিকে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান প্রথম হ্যাঁ/না ভোট দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থায় কারচুপি শুরু করেছিলেন, যখন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে তাকেও ছাড়িয়ে যান, ওই নির্বাচনে অন্য কোন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি এবং জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাননি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র্রেও দুর্নীতির সাথে খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, তার দুই ছেলে তারিক জিয়া ও কোকো দেশ থেকে অর্থ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। সরকার তাদের পাচার করা অর্থের একটি অংশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে সেখানে বিলাসী জীবন যাপন করাই তাদের চরিত্র।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালের দীর্ঘ সময় পর আবার ক্ষমতায় এলে, দেশের জনগণ প্রথম বুঝতে পারে যে- সরকার জনগণের সেবক এবং জনকল্যাণে কাজ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখনই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে থাকে।’

তিনি আরো বলেন, তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিমলাইনার বিমানে করে দুটি কারণে নিউইয়র্কে এসেছি। প্রথম কারণ হচ্ছে- অন্য এয়ারলাইন্সের পরিবর্তে দেশী একটি এয়ারলাইন্সকে অর্থ প্রদান এবং এভাবে আমাদের নিজের হাতেই এ ধরনের অর্থ থেকে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি একটি বিমান উড্ডয়ন না করে বিমানবন্দরেই থেকে যায়, তাহলেও প্রতিদিন একটি বিরাট অংকের টাকা খরচ হয়। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো স্থগিত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তাঁর সরকার ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে পুনরায় বিমান পরিচালনা শুরু করতে একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কোন কোন মানুষকে এ কথাও বলতে শুনেছেন যে- তারা বিমানে করে নিউইয়র্কে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ভর্তি বস্তা ও ট্রাঙ্ক নিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগকারীদের কাছে জানতে চান যে এই ট্রাঙ্ক ও বস্তাগুলো যায় কোথায়।

তিনি সকলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চান যে- খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে ১৫০টি স্যুটকেসে অর্থ ভর্তি করে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এবং সৌদি আরবের লকার ভাড়া করে ওই অর্থ রেখেছেন। তার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরকে কয়েক লাখ ডলারসহ যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারপোর্টে আটক করা হয় এবং পরে বাংলাদেশী দূতাবাসের মধ্যস্থতায় তাকে মুক্ত করা হয়। -বাসস

ছবি

‘আনন্দে’ শুরুর পর সড়কের ঈদযাত্রা কেন ‘বিষাদে’

ছবি

ঘটনা চাপা দিতে ১৫০ বস্তা সিমেন্ট সরিয়ে ফেলার অভিযোগ

মীরসরাইয়ে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ঘরের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে

ছবি

মাধবপুরে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

ছবি

টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল ১২টি খাদ্য গুদাম

ছবি

জলকেলি উৎসবে মুখরিত কক্সবাজরের রাখাইন পল্লী

শেরপুরে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ উদ্বোধন

কেশবপুরে সকাল-সন্ধ্যা বাজারের দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি উচ্ছেদ আতঙ্কে অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

ছবি

ভালুকায় বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

ছবি

ভালুকায় বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে সরকারি রাস্তার ১২০টি গাছ কর্তনের অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে

পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করেন পুত্রবধূ

ছবি

মির্জাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ছবি

নড়াইলের শ্রীনগর গ্রামে ভ্যানচালককে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা

ছবি

প্রেমিকার ওপর অভিমান প্রেমিকের আত্মহত্যা

ছবি

শ্যামনগর পদ্মপুকুরের প্রধান সড়কের একাংশ যেন বালুর স্তুপে পরিণত

আমার চেয়ে খারাপ লোক এ জেলায় নাই : তাহেরপুত্র বিপ্লব

ছবি

কক্সবাজারে রিসোর্টে পযটক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ছবি

ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা

ছবি

সুনামগঞ্জে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি

টোলপ্লাজায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১৪

ছবি

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বেশিরভাগ অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ

কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকের সঙ্গে এএসপির মারামারি

ছবি

গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ গোপালগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

শার্শায় সাংবাদিকের উপর হামলা

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সালথায় স্বামীর উপর অভিমান করে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

শিবগঞ্জে পরিবারের উপর অভিমান করে কিশোরের আত্মহত্যা

ছবি

ভালুকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতা নিহত

ছবি

নরসিংদীতে বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ২

ছবি

হাওরে বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় দেড় হাজার একর বোরো জমি বিনষ্টের পথে, কৃষকের আহাজারি

ছবি

রংপুরে বাসের টিকেট বিক্রিতে নৈরাজ্য, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ছবি

দর্শনার্থীতে মুখরিত ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক

ছবি

গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার

ছবি

রায়পুরায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০

tab

সারাদেশ

যারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তারা জনগণের শত্রু: প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা মূলত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। তারা দেশের জনগণের শত্রু।

নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া এয়ারপোর্টের ম্যারিয়ট হোটেলে আওয়ামী লীগের ইউএস চ্যাপ্টার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারা দেশের জনগণের শত্রু।’

তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত কিছু লোক (সরকারের) সমালোচনা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ব্যস্ত। এমন সময়ে তারা এসব করছে, যখন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে।

কেউই যাতে দেশে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

রাজনীতি ভোগের জন্য নয় বরং এটি আত্মত্যাগের জন্য। জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া কখনো জনগণের কল্যাণের কথা ভাবেননি বরং তারা ক্ষমতাকে ভোগ এবং দ্রুত অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে।

কিছু মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হল তারা কিভাবে এই কথাগুলো বলার সুযোগ পায়?’

তিনি আরও বলেন, তারা তাঁর সরকারের তৈরি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনার সুযোগ পাচ্ছে।

‘যদি তাদের কোন আদর্শ থাকে, তারা কখনোই তা করতে পারে না। যারা সরকারের সমালোচনা করছে তারা মূলত বিএনপি-জামায়াত চক্রের কেনা গোলাম।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল এবং হাইকোর্ট তাদের সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাতের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তার ছেলে (তারেক রহমান) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই দুর্নীতিতে তাদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে (সজীব আহমেদ ওয়াজেদ) অপহরণ ও হত্যার জন্য বিএনপি টাকা দিয়েছিল।

‘কিন্তু, এখন তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ বলছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী ।

তিনি আরও বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে ভোট দিয়েছে এবং বিএনপিকে বর্জন করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি বিশ্বাস থাকলে বিএনপিকে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান প্রথম হ্যাঁ/না ভোট দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থায় কারচুপি শুরু করেছিলেন, যখন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে তাকেও ছাড়িয়ে যান, ওই নির্বাচনে অন্য কোন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি এবং জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাননি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র্রেও দুর্নীতির সাথে খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, তার দুই ছেলে তারিক জিয়া ও কোকো দেশ থেকে অর্থ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। সরকার তাদের পাচার করা অর্থের একটি অংশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে সেখানে বিলাসী জীবন যাপন করাই তাদের চরিত্র।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালের দীর্ঘ সময় পর আবার ক্ষমতায় এলে, দেশের জনগণ প্রথম বুঝতে পারে যে- সরকার জনগণের সেবক এবং জনকল্যাণে কাজ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখনই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে থাকে।’

তিনি আরো বলেন, তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিমলাইনার বিমানে করে দুটি কারণে নিউইয়র্কে এসেছি। প্রথম কারণ হচ্ছে- অন্য এয়ারলাইন্সের পরিবর্তে দেশী একটি এয়ারলাইন্সকে অর্থ প্রদান এবং এভাবে আমাদের নিজের হাতেই এ ধরনের অর্থ থেকে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি একটি বিমান উড্ডয়ন না করে বিমানবন্দরেই থেকে যায়, তাহলেও প্রতিদিন একটি বিরাট অংকের টাকা খরচ হয়। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো স্থগিত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তাঁর সরকার ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে পুনরায় বিমান পরিচালনা শুরু করতে একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কোন কোন মানুষকে এ কথাও বলতে শুনেছেন যে- তারা বিমানে করে নিউইয়র্কে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ভর্তি বস্তা ও ট্রাঙ্ক নিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগকারীদের কাছে জানতে চান যে এই ট্রাঙ্ক ও বস্তাগুলো যায় কোথায়।

তিনি সকলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চান যে- খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে ১৫০টি স্যুটকেসে অর্থ ভর্তি করে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এবং সৌদি আরবের লকার ভাড়া করে ওই অর্থ রেখেছেন। তার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরকে কয়েক লাখ ডলারসহ যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারপোর্টে আটক করা হয় এবং পরে বাংলাদেশী দূতাবাসের মধ্যস্থতায় তাকে মুক্ত করা হয়। -বাসস

back to top