পীরগাছায় কর্মসৃজন প্রকল্প
সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে রংপুরের পীরগাছায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় প্রকল্পের কাজ না করে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন সাপেক্ষে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ণের জন্য ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুদু মিয়া কৈকুড়ি বাজার ঈদগাহ মাঠ হতে মধ্যপাড়া মিয়াজি বাড়ি পর্যন্ত ৬৪,৮০০ ঘনফুট মাটি কাটার কথা ছিল। এই প্রকল্পে ৫৪ জন শ্রমিক ৪০ দিনের কাজের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়া শ্রমিক সর্দারের ভাতা ২ হাজার টাকা নির্ধারিত ছিল। একই রাস্তায় ইউড্রেন বাবদ ৮৭ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই রাস্তায় নামমাত্র একটি ইউড্রেন নির্মাণ করা হলেও রাস্তা মেরামতে এক ঘনফুট মাটি কাটা হয়নি।
স্থানীয় ওয়ালিদ তালুকদার, আব্দুস সালাম ও মুন্নু মিয়া বলেন, কৈকুড়ী বাজার ঈদগাহ মাঠ হতে মধ্যপাড়া মিয়াজি বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামত না করে প্রকল্পের চেয়ারম্যান দুদু মেম্বার, তদারকি কর্মকর্তা শাহিনুর আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দপ্রাপ্ত সমুদ্বয় টাকা উত্তোলন সাপেক্ষে ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেছেন।
ওই প্রকল্পের চেয়ারম্যান কৈকুড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য দুদু মিয়া জানান, যে দালালরা আপনাকে বলছে তাকে নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট যান। তাকে জিজ্ঞাসা করেন। আমি কাজ না করলে আমাকে বিল দিল কিভাবে।
তদারকি কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহিনুর আলম বলেন, প্রকল্প পরিদর্শন সাপেক্ষে প্রত্যয়ন দেয়ার কথা থাকলেও এই প্রকল্পটি পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল দায়িত্ব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, গত অর্থবছরে আমার প্রায় ৫ শতাধিক প্রকল্প ছিল। আমার পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রতিটি প্রকল্প দেখে বিল দেয়া সম্ভব নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের দেয়া প্রত্যয়নের উপর নির্ভর করে প্রকল্পের বিল দিতে হয়। তিনি আরও বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা কোন দিনও কোন প্রকল্প পরিদর্শনে যান না। অথচ প্রত্যয়নপত্র দেন। বাধ্য হয়ে আমাদেরকে বিল দিতে হয়।
পীরগাছায় কর্মসৃজন প্রকল্প
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে রংপুরের পীরগাছায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় প্রকল্পের কাজ না করে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন সাপেক্ষে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ণের জন্য ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুদু মিয়া কৈকুড়ি বাজার ঈদগাহ মাঠ হতে মধ্যপাড়া মিয়াজি বাড়ি পর্যন্ত ৬৪,৮০০ ঘনফুট মাটি কাটার কথা ছিল। এই প্রকল্পে ৫৪ জন শ্রমিক ৪০ দিনের কাজের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়া শ্রমিক সর্দারের ভাতা ২ হাজার টাকা নির্ধারিত ছিল। একই রাস্তায় ইউড্রেন বাবদ ৮৭ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই রাস্তায় নামমাত্র একটি ইউড্রেন নির্মাণ করা হলেও রাস্তা মেরামতে এক ঘনফুট মাটি কাটা হয়নি।
স্থানীয় ওয়ালিদ তালুকদার, আব্দুস সালাম ও মুন্নু মিয়া বলেন, কৈকুড়ী বাজার ঈদগাহ মাঠ হতে মধ্যপাড়া মিয়াজি বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামত না করে প্রকল্পের চেয়ারম্যান দুদু মেম্বার, তদারকি কর্মকর্তা শাহিনুর আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দপ্রাপ্ত সমুদ্বয় টাকা উত্তোলন সাপেক্ষে ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেছেন।
ওই প্রকল্পের চেয়ারম্যান কৈকুড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য দুদু মিয়া জানান, যে দালালরা আপনাকে বলছে তাকে নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট যান। তাকে জিজ্ঞাসা করেন। আমি কাজ না করলে আমাকে বিল দিল কিভাবে।
তদারকি কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহিনুর আলম বলেন, প্রকল্প পরিদর্শন সাপেক্ষে প্রত্যয়ন দেয়ার কথা থাকলেও এই প্রকল্পটি পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল দায়িত্ব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, গত অর্থবছরে আমার প্রায় ৫ শতাধিক প্রকল্প ছিল। আমার পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রতিটি প্রকল্প দেখে বিল দেয়া সম্ভব নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের দেয়া প্রত্যয়নের উপর নির্ভর করে প্রকল্পের বিল দিতে হয়। তিনি আরও বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা কোন দিনও কোন প্রকল্প পরিদর্শনে যান না। অথচ প্রত্যয়নপত্র দেন। বাধ্য হয়ে আমাদেরকে বিল দিতে হয়।