আইসিডিডিআর,বির জীবন রক্ষাকারী
তুরস্ক টার্কোভ্যাক নামে কোভিড-১৯ টিকা তৈরিতে কাজ করছে
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান আইসিডিডিআর,বির জীবন রক্ষাকারী গবেষনাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আজ সোমবার তিনি প্রথমবারের মত রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আইসিডিডিআর,বি পরিদর্শন কালে এ সব কথা বলেন। এছাড়াও সম্প্রতি করোনা সংক্রান্ত গবেষনা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে অত্যান্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ও তুরস্ক দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারী গিজেম আইডিন আরডেমকে আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডঃ তাহমিদ আহমেদ স্বাগতম জানান। ডাঃ আহমেদ তাঁদের উদ্দেশ্যে আইসিডিডিআর,বির সম্পর্কে একটি সমাগ্রিক চিত্র উপস্থাপন করেন। আর কি ভাবে ওই প্রতিষ্ঠানে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য গবেষনা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। দক্ষিণ বিশ্বে এটি সেণ্টাল অব এক্রিলেন্সে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কি ভাবে সাধারণ ও বাস্তবমুখী গবেষনাকে কাজে লাগিয়ে এবং জ্ঞানকে জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমে পরিণত করে বিশ্বের নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশগুলো যেসব জটিল সমস্যার সম্মুখীন তা কি ভাবে সমাধান করে থাকেন তা ব্যাখ্যা করেন।
রাষ্ট্রদূত আইসিডিডিআর,বি-র মিউকোজাল ইমিউনোলজি অ্যান্ড ভ্যাক্সিনোলজি ল্যাবরেটরি ঘুরে দেখেন। আইসিডিডিআর,বি-র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসী কাদরী ল্যাবের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদর্শন করেন, যা করোনা সংক্রান্ত গবেষণাসহ টিকা গবেষণায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
রাষ্ট্রদূত কেবল আইসিডিডিআর,বি-র গবেষণা কর্মকান্ডের বিশাল পরিধি দেখেই মুগ্ধ হননি, বরং তিনি বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বের বিপন্ন মানুষের সেবায় কত সহজে গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প খরচের সমাধানে আইসিডিডিআর,বি ভূমিকা রাখে তা দেখেও অভিভূত হন।
তিনি আরও গবেষণা, অর্থায়ন ও সহযোগিতামূলক কাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর মন্তব্যে তিনি ড. তাহমিদ আহমেদ এবং আইসিডিডিআর,বি-র বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আর আমরা এই সুপ্রতিষ্ঠিত ও প্রশংসনীয় প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পর্কে সরাসরি তথ্য জানতে পারলাম, যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করে চলেছে। আপনারা যা করেন তা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।”
করোনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “তুরস্ক বর্তমানে টার্কোভ্যাক নামে করোনা এর একটি টিকা তৈরিতে কাজ করছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে আমরা এটিকে অন্যান্য দেশের জন্য সহজপ্রাপ্য করতে চাই এবং কিভাবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় তার উপায় অনুসন্ধান করছি।”
ড. আহমেদ প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে রাষ্ট্রদূতের আগ্রহের প্রশংসা করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে জনস্বাস্থ্য গবেষণায় নিয়োজিত তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে আইসিডিডিআর,বি-কে সহায়তা করার অনুরোধ জানান। তথ্য সূত্র আইসিডিডিআর,বি মিডিয়া শাখা।
আইসিডিডিআর,বির জীবন রক্ষাকারী
তুরস্ক টার্কোভ্যাক নামে কোভিড-১৯ টিকা তৈরিতে কাজ করছে
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান আইসিডিডিআর,বির জীবন রক্ষাকারী গবেষনাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আজ সোমবার তিনি প্রথমবারের মত রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আইসিডিডিআর,বি পরিদর্শন কালে এ সব কথা বলেন। এছাড়াও সম্প্রতি করোনা সংক্রান্ত গবেষনা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে অত্যান্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ও তুরস্ক দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারী গিজেম আইডিন আরডেমকে আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডঃ তাহমিদ আহমেদ স্বাগতম জানান। ডাঃ আহমেদ তাঁদের উদ্দেশ্যে আইসিডিডিআর,বির সম্পর্কে একটি সমাগ্রিক চিত্র উপস্থাপন করেন। আর কি ভাবে ওই প্রতিষ্ঠানে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য গবেষনা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। দক্ষিণ বিশ্বে এটি সেণ্টাল অব এক্রিলেন্সে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কি ভাবে সাধারণ ও বাস্তবমুখী গবেষনাকে কাজে লাগিয়ে এবং জ্ঞানকে জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমে পরিণত করে বিশ্বের নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশগুলো যেসব জটিল সমস্যার সম্মুখীন তা কি ভাবে সমাধান করে থাকেন তা ব্যাখ্যা করেন।
রাষ্ট্রদূত আইসিডিডিআর,বি-র মিউকোজাল ইমিউনোলজি অ্যান্ড ভ্যাক্সিনোলজি ল্যাবরেটরি ঘুরে দেখেন। আইসিডিডিআর,বি-র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসী কাদরী ল্যাবের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদর্শন করেন, যা করোনা সংক্রান্ত গবেষণাসহ টিকা গবেষণায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
রাষ্ট্রদূত কেবল আইসিডিডিআর,বি-র গবেষণা কর্মকান্ডের বিশাল পরিধি দেখেই মুগ্ধ হননি, বরং তিনি বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বের বিপন্ন মানুষের সেবায় কত সহজে গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প খরচের সমাধানে আইসিডিডিআর,বি ভূমিকা রাখে তা দেখেও অভিভূত হন।
তিনি আরও গবেষণা, অর্থায়ন ও সহযোগিতামূলক কাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর মন্তব্যে তিনি ড. তাহমিদ আহমেদ এবং আইসিডিডিআর,বি-র বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আর আমরা এই সুপ্রতিষ্ঠিত ও প্রশংসনীয় প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পর্কে সরাসরি তথ্য জানতে পারলাম, যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করে চলেছে। আপনারা যা করেন তা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।”
করোনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “তুরস্ক বর্তমানে টার্কোভ্যাক নামে করোনা এর একটি টিকা তৈরিতে কাজ করছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে আমরা এটিকে অন্যান্য দেশের জন্য সহজপ্রাপ্য করতে চাই এবং কিভাবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় তার উপায় অনুসন্ধান করছি।”
ড. আহমেদ প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে রাষ্ট্রদূতের আগ্রহের প্রশংসা করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে জনস্বাস্থ্য গবেষণায় নিয়োজিত তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে আইসিডিডিআর,বি-কে সহায়তা করার অনুরোধ জানান। তথ্য সূত্র আইসিডিডিআর,বি মিডিয়া শাখা।