জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
সারাদেশের মানুষ ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিদায় নেয়ার সময় আশ্বিনের শেষ দিনে গরমে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। সাধারণত এ সময়টাতে এমন আবহাওয়া বা এত ভ্যাপসা গরম হওয়ার কথা নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এটিও একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে আবহাওয়ার এই বৈরিতা থাকবে না, শীঘ্রই কেটে যাবে বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
বৃষ্টি বেড়ে গরম কিছুটা কমতে পারে। বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশের চলমান ভ্যাপসা গরমও কিছুটা দূর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন।
আরিফ হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টিটা একটু বাড়বে, আর বাড়লে তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে। বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। রাতের তাপমাত্রাও ২ ডিগ্রির মতো বেশি আছে।’
তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণ জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘অক্টোবর মাসে কোনও কোনও বছর তাপমাত্রা বেশি থাকে। কারণ, অক্টোবরে এসে বৃষ্টিপাতটা অনেকটাই কমে যায়। সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে বৃষ্টিপাত অর্ধেকের চেয়েও কম হয়। এবার দেশ থেকে যখন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিচ্ছে, ঠিক ওই সময়েই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্পসমৃদ্ধ বাতাস স্থলভাগের দিকে আসে। যে কারণে এখন ভাদ্র মাসের মতো ভ্যাপসা গরম লাগছে। এ অবস্থায় বৃষ্টি যতক্ষণ না হয়, ততক্ষণ গরম কমে না।’
‘মূলত বৃষ্টি না হওয়ার কারণেই এবার এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে শুরু হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি বিদায় নেয়। কোন কোন বছর এটা একটু দেরিতে হয়। এবার দেরি হচ্ছে, এবার মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি বিদায় নিতে ২২/২৩ অক্টোবর পর্যন্ত লেগে যাবে।’
অক্টোবরের ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখের দিকে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে জানিয়ে আরিফ হোসেন বলেন, ‘লঘুচাপটি এখন উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছে। এটির প্রভাবেই বাংলাদেশে বৃষ্টি বাড়বে।’
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ভোলা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরায়, ৫৪ মিলিমিটার।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
সারাদেশের মানুষ ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিদায় নেয়ার সময় আশ্বিনের শেষ দিনে গরমে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। সাধারণত এ সময়টাতে এমন আবহাওয়া বা এত ভ্যাপসা গরম হওয়ার কথা নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এটিও একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে আবহাওয়ার এই বৈরিতা থাকবে না, শীঘ্রই কেটে যাবে বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
বৃষ্টি বেড়ে গরম কিছুটা কমতে পারে। বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশের চলমান ভ্যাপসা গরমও কিছুটা দূর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন।
আরিফ হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টিটা একটু বাড়বে, আর বাড়লে তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে। বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। রাতের তাপমাত্রাও ২ ডিগ্রির মতো বেশি আছে।’
তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণ জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘অক্টোবর মাসে কোনও কোনও বছর তাপমাত্রা বেশি থাকে। কারণ, অক্টোবরে এসে বৃষ্টিপাতটা অনেকটাই কমে যায়। সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে বৃষ্টিপাত অর্ধেকের চেয়েও কম হয়। এবার দেশ থেকে যখন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিচ্ছে, ঠিক ওই সময়েই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্পসমৃদ্ধ বাতাস স্থলভাগের দিকে আসে। যে কারণে এখন ভাদ্র মাসের মতো ভ্যাপসা গরম লাগছে। এ অবস্থায় বৃষ্টি যতক্ষণ না হয়, ততক্ষণ গরম কমে না।’
‘মূলত বৃষ্টি না হওয়ার কারণেই এবার এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে শুরু হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি বিদায় নেয়। কোন কোন বছর এটা একটু দেরিতে হয়। এবার দেরি হচ্ছে, এবার মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি বিদায় নিতে ২২/২৩ অক্টোবর পর্যন্ত লেগে যাবে।’
অক্টোবরের ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখের দিকে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে জানিয়ে আরিফ হোসেন বলেন, ‘লঘুচাপটি এখন উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছে। এটির প্রভাবেই বাংলাদেশে বৃষ্টি বাড়বে।’
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ভোলা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরায়, ৫৪ মিলিমিটার।