করোনায় বন্ধ থাকায় বেলাব উপজেলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। অভাব-অনটন, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বজনরা তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হন বলে জানান অভিভাবকেরা। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বারৈচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চন্ডিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়েই শুধু শতাধিক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে হয়। সরকারি ঘোষণার পর বিদ্যালয় খুললেও এসব প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের উপস্থিতি বেশি হলেও ছাত্রী উপস্থিতি কম। শিক্ষকদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, প্রথম অবস্থায় ধরে নিয়েছিলাম স্বাভাবিক কারণে এরা অনুপস্থিত থাকে। অভিভাবকদের ফোন দিলে তাদের মেয়েরা বিভিন্ন অসুস্থাতার কথা বলে। সন্দেহ হলে বিভিন্ন বিশ্বস্ত সুত্রে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এরা প্রায় সকলেই বাল্যবিয়ের শিকার। এসব বাল্যবিয়ে পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে বিভিন্ন এলাকার কাজী দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন তারা। অনেকে আবার রেজিস্ট্রি ছাড়াই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তারা। বারৈচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছাত্রীর মধ্যে প্রায় ৫০ এর অধিক জনের বিয়ে হয়ে গেছে। এছাড়া ৩০ জনের বেশি ছাত্রী পরিবারের সাথে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত রয়েছে । এমনই তথ্য দিয়েছেন চন্ডিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ। এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অভিভাবক জানান, আমরা খুবই দরিদ্র। কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। এ কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। এছাড়াও মেয়েটি বড় হয়ে যাচ্ছে। এলাকার পরিবেশ তেমন ভালোনা। বখাটেদের উৎপাত খুব বেশি। এসব কারণে এদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছি। এ প্রসঙ্গে চন্ডিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শহিদুল্লাহ শহিদের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, গোপনে ঘটছে এসব বিয়ের ঘটনা। আমি জানতে পারলে আইনের পরিপন্থী এ কাজটি হতে দিতাম না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘরোয়া পরিবেশে চুপিসারে হয়ে যাচ্ছে কাজগুলো। এগুলো আসলেই দুঃখজনক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলাব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান বলেন, বিষয়গুলো দুঃখজনক। আমাদের কড়া হুশিয়ারী সত্বেও গোপনে অভিভাবকরা এদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে আর এদের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে।
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
করোনায় বন্ধ থাকায় বেলাব উপজেলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। অভাব-অনটন, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বজনরা তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হন বলে জানান অভিভাবকেরা। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বারৈচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চন্ডিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়েই শুধু শতাধিক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে হয়। সরকারি ঘোষণার পর বিদ্যালয় খুললেও এসব প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের উপস্থিতি বেশি হলেও ছাত্রী উপস্থিতি কম। শিক্ষকদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, প্রথম অবস্থায় ধরে নিয়েছিলাম স্বাভাবিক কারণে এরা অনুপস্থিত থাকে। অভিভাবকদের ফোন দিলে তাদের মেয়েরা বিভিন্ন অসুস্থাতার কথা বলে। সন্দেহ হলে বিভিন্ন বিশ্বস্ত সুত্রে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এরা প্রায় সকলেই বাল্যবিয়ের শিকার। এসব বাল্যবিয়ে পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে বিভিন্ন এলাকার কাজী দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন তারা। অনেকে আবার রেজিস্ট্রি ছাড়াই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তারা। বারৈচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছাত্রীর মধ্যে প্রায় ৫০ এর অধিক জনের বিয়ে হয়ে গেছে। এছাড়া ৩০ জনের বেশি ছাত্রী পরিবারের সাথে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত রয়েছে । এমনই তথ্য দিয়েছেন চন্ডিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ। এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অভিভাবক জানান, আমরা খুবই দরিদ্র। কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। এ কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। এছাড়াও মেয়েটি বড় হয়ে যাচ্ছে। এলাকার পরিবেশ তেমন ভালোনা। বখাটেদের উৎপাত খুব বেশি। এসব কারণে এদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছি। এ প্রসঙ্গে চন্ডিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শহিদুল্লাহ শহিদের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, গোপনে ঘটছে এসব বিয়ের ঘটনা। আমি জানতে পারলে আইনের পরিপন্থী এ কাজটি হতে দিতাম না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘরোয়া পরিবেশে চুপিসারে হয়ে যাচ্ছে কাজগুলো। এগুলো আসলেই দুঃখজনক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলাব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান বলেন, বিষয়গুলো দুঃখজনক। আমাদের কড়া হুশিয়ারী সত্বেও গোপনে অভিভাবকরা এদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে আর এদের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে।