৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ক্যাসিনোকান্ডের অন্যতম হোতা সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে আগামী ৩১ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী। অন্যদিকে সেলিম প্রধানকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিতে শুনানি করেন তার আইনজীবী শাহিনুর রহমান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দায়ের হওয়া এই মামলায় চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু ৫৭ কোটি ৭৯ হাজার ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার বিদেশে (থাইল্যান্ড ও ইউএসএ) মানিলন্ডারিং-এর অভিযোগ চার্জশিটে এই আসামির বিরুদ্ধে করা হয়েছে।
এই মামলায় ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সেলিম প্রধানের। এর আগে সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েকদফা রিমান্ডে নেয়া হয়।
সেলিম প্রধানের সঙ্গে আর্থিক খাতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তার জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারসে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ছাপা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ও অফিসের নথিপত্রও ছাপানো হয়। তার এই প্রতিষ্ঠান রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপির একটি। ২০১৮ সালে ঋণটি পুনঃ তফসিল করা হয়। সেলিমের কাছে ব্যাংকের পাওনা প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ক্যাসিনোকান্ডের অন্যতম হোতা সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে আগামী ৩১ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী। অন্যদিকে সেলিম প্রধানকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিতে শুনানি করেন তার আইনজীবী শাহিনুর রহমান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দায়ের হওয়া এই মামলায় চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু ৫৭ কোটি ৭৯ হাজার ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার বিদেশে (থাইল্যান্ড ও ইউএসএ) মানিলন্ডারিং-এর অভিযোগ চার্জশিটে এই আসামির বিরুদ্ধে করা হয়েছে।
এই মামলায় ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সেলিম প্রধানের। এর আগে সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েকদফা রিমান্ডে নেয়া হয়।
সেলিম প্রধানের সঙ্গে আর্থিক খাতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তার জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারসে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ছাপা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ও অফিসের নথিপত্রও ছাপানো হয়। তার এই প্রতিষ্ঠান রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপির একটি। ২০১৮ সালে ঋণটি পুনঃ তফসিল করা হয়। সেলিমের কাছে ব্যাংকের পাওনা প্রায় ১০০ কোটি টাকা।