দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। সিআইডির করা অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৮ মামলায় আসামিদের অর্থ পাচারের পরিমাণ উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করে পুলিশ সদর দপ্তর। হাইকোর্টে পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের উপর আগামী ২১ অক্টোবর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট ও এনামুল হক আরমান দেশ থেকে ২৩২ কোটি টাকারও বেশি পাচার করেছেন। যুবলীগ নেতা খালেদ, সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদসহ অন্যরা কে কত টাকা পাচার করেছে তাও তুলে ধরা হয়েছে।
হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অর্থপাচারের ওপর দেয়া প্রতিবেদনে নাম রয়েছে খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, রাজিব হোসেন রানা, জামাল ভাটারা, শরিফুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, নাজমুল হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এর আগে বিদেশে কারা অর্থপাচার করছে তাদের বিষয়ে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা পুলিশের আইজির মাধ্যমে আমাদের হাতে এসেছে। এফিডেভিটও করেছি। শুনানির দিন (২১ অক্টোবরের পর) এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করব।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, সিআইডি থেকে গত জুলাই মাসে প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সেটি হাইকোর্টে দাখিল করেছে। বিভিন্ন সময়ে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৮টি মামলার বিপরীতে এ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয় যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া পাচার করেছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৯ টাকা। ফরিদপুরের বোয়ালমারির রাজিব হোসেন রানা এবং নেত্রোকোনার জামাল ভাটারা পাচার করেছেন ৮১ লাখ টাকা। এ দুজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই মামলা রয়েছে। কুমিল্লার দাউদ কান্দির শরিফুল ইসলাম এবং আওলাদ হোসেন পাচার করেছেন ৮৩ লাখ টাকা। এ দুজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই মামলা হয়েছে। যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসলাম চৌধুরী সম্রাট এবং এনামুল হক আরমান পাচার করেছেন ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫১ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলা হয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, সিআইডির কাছে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৮ মামলায় আসামিদের অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলার বিপরীতে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ওই ৮ মামলায় ক্যাসিনো কান্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমান, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়ারও নাম রয়েছে। এছাড়া পলাতক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম রয়েছে। তদন্তকালে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিসহ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, খালেদ মাহমুদ ভূইয়াদের বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে। যে ৮টি অর্থ পাচার মামলার প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সেখানে আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে কে কত টাকা পাচার করেছে তার একটি প্রতিবেদন সিআইডি পুলিশ সদর দপ্তরে দাখিল করে। সিআইডির দেয়া প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তর হাইকোর্টে পাঠায়। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এ প্রতিবেদন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাই- এসব দেশে অর্থপাচার করা হয়েছে। এ টাকার অঙ্ক অনেক বেশি। টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। টাকা উদ্ধার হবে আশা করি। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম খান ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচারকরা অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম খান ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। রিটে অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। সিআইডির করা অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৮ মামলায় আসামিদের অর্থ পাচারের পরিমাণ উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করে পুলিশ সদর দপ্তর। হাইকোর্টে পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের উপর আগামী ২১ অক্টোবর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট ও এনামুল হক আরমান দেশ থেকে ২৩২ কোটি টাকারও বেশি পাচার করেছেন। যুবলীগ নেতা খালেদ, সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদসহ অন্যরা কে কত টাকা পাচার করেছে তাও তুলে ধরা হয়েছে।
হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অর্থপাচারের ওপর দেয়া প্রতিবেদনে নাম রয়েছে খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, রাজিব হোসেন রানা, জামাল ভাটারা, শরিফুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, নাজমুল হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এর আগে বিদেশে কারা অর্থপাচার করছে তাদের বিষয়ে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা পুলিশের আইজির মাধ্যমে আমাদের হাতে এসেছে। এফিডেভিটও করেছি। শুনানির দিন (২১ অক্টোবরের পর) এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করব।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, সিআইডি থেকে গত জুলাই মাসে প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সেটি হাইকোর্টে দাখিল করেছে। বিভিন্ন সময়ে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৮টি মামলার বিপরীতে এ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয় যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া পাচার করেছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৯ টাকা। ফরিদপুরের বোয়ালমারির রাজিব হোসেন রানা এবং নেত্রোকোনার জামাল ভাটারা পাচার করেছেন ৮১ লাখ টাকা। এ দুজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই মামলা রয়েছে। কুমিল্লার দাউদ কান্দির শরিফুল ইসলাম এবং আওলাদ হোসেন পাচার করেছেন ৮৩ লাখ টাকা। এ দুজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই মামলা হয়েছে। যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসলাম চৌধুরী সম্রাট এবং এনামুল হক আরমান পাচার করেছেন ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫১ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলা হয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, সিআইডির কাছে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৮ মামলায় আসামিদের অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলার বিপরীতে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ওই ৮ মামলায় ক্যাসিনো কান্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমান, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়ারও নাম রয়েছে। এছাড়া পলাতক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম রয়েছে। তদন্তকালে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিসহ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, খালেদ মাহমুদ ভূইয়াদের বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে। যে ৮টি অর্থ পাচার মামলার প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সেখানে আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে কে কত টাকা পাচার করেছে তার একটি প্রতিবেদন সিআইডি পুলিশ সদর দপ্তরে দাখিল করে। সিআইডির দেয়া প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তর হাইকোর্টে পাঠায়। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এ প্রতিবেদন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাই- এসব দেশে অর্থপাচার করা হয়েছে। এ টাকার অঙ্ক অনেক বেশি। টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। টাকা উদ্ধার হবে আশা করি। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম খান ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচারকরা অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম খান ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। রিটে অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।