দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন সংস্কৃতি কর্মীরা। শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সাংস্কৃতিক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তারা। এ সময় তারা সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা শিল্পী রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আওলাদ হোসেন, জেলা উদীচির সভাপতি জাহিদুল হক টিপু, জেলা গণসংহতি অন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন প্রমুখ। সংগঠনের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ।
বক্তারা সমাবেশে বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। ঘটনার পর রাজনৈতিক দলগুলো একে-অপরের উপর দায় চাপানো ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি করতে পারে না। বিচার না হওয়ার কারণে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এবারও ঘটনার সাথে সাথেই এটি জামাত-শিবিরের কান্ড বলে সরকার লোক দিয়ে প্রচার শুরু হয়ে গেল। বিরোধী দলের লোকজনের উপর দায় চাপিয়ে সরকার আসল অপরাধীদের রক্ষা করতে চাচ্ছে। তারা মূল ঘটনা উদঘাটন করতে চাচ্ছে না। এসব সহিংসতার ঘটনার দায় সরকারও এড়াতে পারে না।
কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের বিভিন্ন পূজামন্ডপ, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মন্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় পুলিশ ইকবাল হোসেন নামে এক চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে জানান সংস্কৃতিকর্মীরা। সমাবেশে তারা বলেন, আবার কোনো জজ মিয়া নাটক রচিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সন্দেহ জাগে কারণ, বিগত ১০ বছরে যতগুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে তার কোনো বিচার হয় নাই। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত শুরু করে কিন্তু বিচার করে না।
বক্তব্য শেষে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন সংস্কৃতি কর্মীরা। শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সাংস্কৃতিক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তারা। এ সময় তারা সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা শিল্পী রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আওলাদ হোসেন, জেলা উদীচির সভাপতি জাহিদুল হক টিপু, জেলা গণসংহতি অন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন প্রমুখ। সংগঠনের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ।
বক্তারা সমাবেশে বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। ঘটনার পর রাজনৈতিক দলগুলো একে-অপরের উপর দায় চাপানো ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি করতে পারে না। বিচার না হওয়ার কারণে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এবারও ঘটনার সাথে সাথেই এটি জামাত-শিবিরের কান্ড বলে সরকার লোক দিয়ে প্রচার শুরু হয়ে গেল। বিরোধী দলের লোকজনের উপর দায় চাপিয়ে সরকার আসল অপরাধীদের রক্ষা করতে চাচ্ছে। তারা মূল ঘটনা উদঘাটন করতে চাচ্ছে না। এসব সহিংসতার ঘটনার দায় সরকারও এড়াতে পারে না।
কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের বিভিন্ন পূজামন্ডপ, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মন্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় পুলিশ ইকবাল হোসেন নামে এক চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে জানান সংস্কৃতিকর্মীরা। সমাবেশে তারা বলেন, আবার কোনো জজ মিয়া নাটক রচিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সন্দেহ জাগে কারণ, বিগত ১০ বছরে যতগুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে তার কোনো বিচার হয় নাই। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত শুরু করে কিন্তু বিচার করে না।
বক্তব্য শেষে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে।