অস্থিতিশীল বৈশ্বিক জ্বালানি খাত
ভর্তুকি অথবা দাম বাড়াতে হবে : পিডিবি চেয়ারম্যান
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূলবৃদ্ধির কারণে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কারণ, বিদ্যুতের একটা বড় অংশ উৎপাদন করা হয় আমদানিকৃত জ্বালানি দিয়ে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় আরও বাড়বে।
বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করতে বিল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে ‘লোকসানে’ থাকা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে গ্রাহক সন্তুষ্টি বিবেচনায় সরকার চাইলে এ খাতে ভর্তুকিও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
দেশের ৯৯.৫০ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুতের আওতায়। চাহিদার যোগান দিতে দৈনিক গড়ে সাড়ে তের হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে পিডিবিকে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি পায়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস নির্ভরতা কমাতে সরকার ডিজেল, ফার্নেস তেল ও কয়লাসহ মিশ্র জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে। এক সময় গ্যাস ছাড়া অন্যসব জ্বালানি ছিল আমদানি নির্ভর। এখন গ্যাস সংকট বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করা হচ্ছে। তবে গ্যাসের ঘাটতি পুরোপুরি মেটানো যাচ্ছে না।
সরকারের তথ্যানুযায়ী, ক্যাপটিভ ও অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ক্যাপটিভ এবং ৪০৪ মেগাওয়াট অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাদ দিলে সক্ষমতা দাঁড়ায় ২২ হাজার ৩১ মেগাওয়াট। রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা কারণে বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৯৩৪ মেগাওয়াট।
এরমধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক ৫৩ শতাংশ, ফার্নেস তেলভিত্তিক ২৬ শতাংশ, ডিজেলভিত্তিক ৬ শতাংশ, কয়লাভিত্তিক ৮ শতাংশ, হাইড্রো ১ শতাংশ, অন-গ্রিড সৌর ১ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ আমদানি হয় ৫ শতাংশ।
প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে চলে এমন এমন ৬৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। ফার্নেস তেলভিত্তিক ৬০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬ হাজার ১ মেগাওয়াট এবং ডিজেলভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ হাজার ২৯০ মেগাওয়াট।
গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে শুধু গ্যাস, কয়লা, সোলার আর আমদানির মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করা যেত। তবে গ্যাস সংকটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসে থাকছে। ফলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে গরমে গ্রাহক চাহিদার যোগান দিতে ‘উৎপাদন খরচ বেশি’ এমন তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও পুরোদমে চালাতে হচ্ছে।
বর্তমানে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে গড়ে ২ টাকা। এছাড়া, ফার্নেস তেলে পড়ে ১০ থেকে ১২ টাকা, ডিজেলে ১৮ থেকে ২০ টাকা, কয়লা দিয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা, সোলার ৮ থেকে ৯ টাকা এবং আমদানিতে গড়ে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে ৫ থেকে ৬ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র বলছে, গত কয়েকদিন যাবৎ ‘পিক আওয়ারে’ ৫ হাজার ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এসেছে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। মোট সক্ষমতার ৮০ শতাংশ উৎপাদন ধরলে প্রায় সবগুলো তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পিক আওয়ারে টানা চালু রাখতে হচ্ছে।’
পিডিবির হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ প্রায় ৬ টাকা। এরমধ্যে জ্বালানি (গ্যাস, তেল, কয়লা, সৌর, হাইড্রো) খরচ গড়ে ৪ টাকা এবং ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ২ টাকা ধরা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গড় খরচ প্রতি ইউনিট প্রায় ১০ টাকায় উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘জ্বালানির দাম বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। তাই বলে বিদ্যুতের ব্যবহার কিন্তু কমবে না। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশ যারা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে।’
এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম কম দাবি করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণকে কম দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্তে পিডিবি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ প্রায় ৮০ পয়সা লোকসানে বিক্রি করছে। সেই ঘাটতি পূরণ হয় সরকারের দেয়া ভর্তুকির মধ্যমে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উৎপাদন খরচ এবং আয়ের মধ্যে ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পাবে। এখন সরকার যদি ভর্তুকির পরিমাণ কমাতে চায়, তাহলে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হতে পারে। এছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পিডিবি প্রস্তাব দিতে পারে। গ্রাহক সন্তুষ্টি বিবেচনায় সরকার চাইলে ভর্তুকি বাড়াতে পারে, আবার দাম বাড়ানোর দিকেও যেতে পারে। এটা সরকারের বিষয়।
তবে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আপাতত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দিকে সরকার যাবে না বলে মনে করেন অপর এক কর্মকর্তা।
অস্থিতিশীল বৈশ্বিক জ্বালানি খাত
ভর্তুকি অথবা দাম বাড়াতে হবে : পিডিবি চেয়ারম্যান
শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূলবৃদ্ধির কারণে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কারণ, বিদ্যুতের একটা বড় অংশ উৎপাদন করা হয় আমদানিকৃত জ্বালানি দিয়ে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় আরও বাড়বে।
বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করতে বিল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে ‘লোকসানে’ থাকা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে গ্রাহক সন্তুষ্টি বিবেচনায় সরকার চাইলে এ খাতে ভর্তুকিও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
দেশের ৯৯.৫০ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুতের আওতায়। চাহিদার যোগান দিতে দৈনিক গড়ে সাড়ে তের হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে পিডিবিকে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি পায়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস নির্ভরতা কমাতে সরকার ডিজেল, ফার্নেস তেল ও কয়লাসহ মিশ্র জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে। এক সময় গ্যাস ছাড়া অন্যসব জ্বালানি ছিল আমদানি নির্ভর। এখন গ্যাস সংকট বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করা হচ্ছে। তবে গ্যাসের ঘাটতি পুরোপুরি মেটানো যাচ্ছে না।
সরকারের তথ্যানুযায়ী, ক্যাপটিভ ও অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ক্যাপটিভ এবং ৪০৪ মেগাওয়াট অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাদ দিলে সক্ষমতা দাঁড়ায় ২২ হাজার ৩১ মেগাওয়াট। রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা কারণে বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৯৩৪ মেগাওয়াট।
এরমধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক ৫৩ শতাংশ, ফার্নেস তেলভিত্তিক ২৬ শতাংশ, ডিজেলভিত্তিক ৬ শতাংশ, কয়লাভিত্তিক ৮ শতাংশ, হাইড্রো ১ শতাংশ, অন-গ্রিড সৌর ১ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ আমদানি হয় ৫ শতাংশ।
প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে চলে এমন এমন ৬৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। ফার্নেস তেলভিত্তিক ৬০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬ হাজার ১ মেগাওয়াট এবং ডিজেলভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ হাজার ২৯০ মেগাওয়াট।
গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে শুধু গ্যাস, কয়লা, সোলার আর আমদানির মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করা যেত। তবে গ্যাস সংকটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসে থাকছে। ফলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে গরমে গ্রাহক চাহিদার যোগান দিতে ‘উৎপাদন খরচ বেশি’ এমন তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও পুরোদমে চালাতে হচ্ছে।
বর্তমানে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে গড়ে ২ টাকা। এছাড়া, ফার্নেস তেলে পড়ে ১০ থেকে ১২ টাকা, ডিজেলে ১৮ থেকে ২০ টাকা, কয়লা দিয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা, সোলার ৮ থেকে ৯ টাকা এবং আমদানিতে গড়ে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে ৫ থেকে ৬ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র বলছে, গত কয়েকদিন যাবৎ ‘পিক আওয়ারে’ ৫ হাজার ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এসেছে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। মোট সক্ষমতার ৮০ শতাংশ উৎপাদন ধরলে প্রায় সবগুলো তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পিক আওয়ারে টানা চালু রাখতে হচ্ছে।’
পিডিবির হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ প্রায় ৬ টাকা। এরমধ্যে জ্বালানি (গ্যাস, তেল, কয়লা, সৌর, হাইড্রো) খরচ গড়ে ৪ টাকা এবং ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ২ টাকা ধরা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গড় খরচ প্রতি ইউনিট প্রায় ১০ টাকায় উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘জ্বালানির দাম বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। তাই বলে বিদ্যুতের ব্যবহার কিন্তু কমবে না। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশ যারা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে।’
এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম কম দাবি করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণকে কম দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্তে পিডিবি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ প্রায় ৮০ পয়সা লোকসানে বিক্রি করছে। সেই ঘাটতি পূরণ হয় সরকারের দেয়া ভর্তুকির মধ্যমে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উৎপাদন খরচ এবং আয়ের মধ্যে ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পাবে। এখন সরকার যদি ভর্তুকির পরিমাণ কমাতে চায়, তাহলে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হতে পারে। এছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পিডিবি প্রস্তাব দিতে পারে। গ্রাহক সন্তুষ্টি বিবেচনায় সরকার চাইলে ভর্তুকি বাড়াতে পারে, আবার দাম বাড়ানোর দিকেও যেতে পারে। এটা সরকারের বিষয়।
তবে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আপাতত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দিকে সরকার যাবে না বলে মনে করেন অপর এক কর্মকর্তা।