মুন্সিগঞ্জে টাকা দিতে অস্বীকার করায় ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে নিজ পিতাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখমের অভিযোগ উঠেছে পুত্রের বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের মানিকপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত রফিকুল ইসলামকে (৫৫) মুমুর্ষ অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেছে।
আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মানিকপুর এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে কিছুদিন যাবত ২লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলো তার প্রথম স্ত্রীর ঘরের বড় ছেলে ইমন। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলো রফিকুল। রোববার সন্ধ্যায় ইমন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগ কর্মী নূর জামান বাধন সহ ১০-১২জন সন্ত্রাসী ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময়ও রফিকুল টাকা দিতে পারবেনা বলে জানালে ভাড়াটে সন্ত্রাসী শহর ছাত্রলীগের কর্মী নুর জামান বাধন ধাড়ালো রামদা দিয়ে রফিকুল ইসলামের বাম হাতে কোপ দেয়। এতে বাহু থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রফিকুলের কবজি। গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করে।
মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এন এস আলম প্রধান জানান, আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। হাতের বাহু থেকে কবজি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সামান্য অংশ যুক্ত আছে। অবস্থা বিবেচনায় আহতকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর জানান, বাধন ছাত্রলীগের কেউ না, কোন পদেও নেই। নেতাদের ছবি দিয়েই পোস্টার করলেই ছাত্রলীগ হওয়া যায় না। সে যে কর্মকাণ্ড করেছে তার দায়ভার ছাত্রলীগ নিবেনা। আমরা এর সঠিক বিচার চাই এবং সে প্রকৃত অপরাধী হলে তার বিচার করা হোক।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সোহেল রানা জানান, বাধন মানিকপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করেছে। এর আগেও তাকে থানায় অভিযোগ করে ধরে দেওয়া হয়েছিল। থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধনের নামে আগেও থানায় সাধারণ ডাইরি করা আছে।
সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
মুন্সিগঞ্জে টাকা দিতে অস্বীকার করায় ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে নিজ পিতাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখমের অভিযোগ উঠেছে পুত্রের বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের মানিকপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত রফিকুল ইসলামকে (৫৫) মুমুর্ষ অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেছে।
আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মানিকপুর এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে কিছুদিন যাবত ২লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলো তার প্রথম স্ত্রীর ঘরের বড় ছেলে ইমন। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলো রফিকুল। রোববার সন্ধ্যায় ইমন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগ কর্মী নূর জামান বাধন সহ ১০-১২জন সন্ত্রাসী ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময়ও রফিকুল টাকা দিতে পারবেনা বলে জানালে ভাড়াটে সন্ত্রাসী শহর ছাত্রলীগের কর্মী নুর জামান বাধন ধাড়ালো রামদা দিয়ে রফিকুল ইসলামের বাম হাতে কোপ দেয়। এতে বাহু থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রফিকুলের কবজি। গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করে।
মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এন এস আলম প্রধান জানান, আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। হাতের বাহু থেকে কবজি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সামান্য অংশ যুক্ত আছে। অবস্থা বিবেচনায় আহতকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর জানান, বাধন ছাত্রলীগের কেউ না, কোন পদেও নেই। নেতাদের ছবি দিয়েই পোস্টার করলেই ছাত্রলীগ হওয়া যায় না। সে যে কর্মকাণ্ড করেছে তার দায়ভার ছাত্রলীগ নিবেনা। আমরা এর সঠিক বিচার চাই এবং সে প্রকৃত অপরাধী হলে তার বিচার করা হোক।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সোহেল রানা জানান, বাধন মানিকপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করেছে। এর আগেও তাকে থানায় অভিযোগ করে ধরে দেওয়া হয়েছিল। থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধনের নামে আগেও থানায় সাধারণ ডাইরি করা আছে।