চট্টগ্রাম নগরের এম এ মান্নান উড়ালসড়কের র্যাম্পের পিলারে ‘নির্মাণত্রুটির’ কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মনে করেন, নকশাগত ত্রুটি বা নির্মাণত্রুটির কারণে এই ফাটল দেখা দিতে পারে।
আজ (২৬ অক্টোবর) মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মেয়র রেজাউল। এ সময় তাঁর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল নগরের কালুরঘাট সড়কমুখী র্যাম্পের পিলারে এই ফাটল দেখা দেয়। ফাটল দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্ঘটনা এড়াতে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে উড়ালসড়কের এই অংশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো প্রকৌশলী নই। ফাটলের সুনির্দিষ্ট কারণ আমি বলতে পারব না। সাধারণভাবে যেটা বলতে চাই, নিশ্চয়ই নির্মাণে ত্রুটি আছে। যার ফলে এ ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানে প্রকৌশল দৃষ্টিকোণ থেকে কী হয়েছে না হয়েছে, এটা আমার চেয়ে আমাদের প্রকৌশলীরা ভালো বলতে পারবেন। তাঁরা কারিগরি বিষয়ে ভালো বোঝেন।’
বর্তমান অবস্থায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ইতিমধ্যে উড়ালসড়কের সংশ্লিষ্ট অংশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। উড়ালসড়ক ও র্যাম্প নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তাই এ ব্যাপারে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে আজ সিডিএকে চিঠি দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ার ঘটনা আমাকে অবাক করেছে। তিনি বলেন, এতে যেকোনো সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কারণ, এই উড়ালসড়কে আগেও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। গার্ডার পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।
তিনি জানান, ফাটল কী কারণে দেখা দিয়েছে, তা তদন্ত করে বের করা হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সিডিএ ব্যবস্থা নেবে। যেসব ঠিকাদার কাজ করেছেন, তাঁদের কোনো নির্মাণত্রুটি আছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা চাইলে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।
২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর পর স্থানীয়দের দাবির মুখে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আরাকান সড়কমুখী ওই র্যাম্প নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ৩২৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ দশমিক ৭ মিটার চওড়া র্যাম্পটি নির্মাণ শেষে পরের বছর তা চালু করা হয়।
এর আগে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলাকালে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর গার্ডার ধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছরের ২৯ জুন একই ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে পড়ে এক রিকশাচালক আহত হয়েছিলেন।
আজ মেয়রের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুটি কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে। একটি নকশাগত ত্রুটি, অন্যটি নির্মাণত্রুটি। তবে ঠিক কী কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে ওভারলোডের গাড়ি চলাচলের কারণে এটা হতে পারে।
নির্মাণকাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, র্যাম্প মূল নকশায় ছিল না। পরে যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য নকশায় ত্রুটি থাকতে পারে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি সিডিএ নির্মাণ করেছে। সমস্যার সমাধানে তারাই ব্যবস্থা নেবে। কী পরিমাণ লোড নিতে পারবে, সেটা তারাই হিসাব করে এটি নির্মাণ করেছে। গাড়ি চলাচল না থাকায় ফাটল বড় হওয়ার আশঙ্কা নেই। আর নিচে চলাচল করা গাড়ির কম্পনের কারণে ফাটল বড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে র্যাম্প নির্মাণে কোনো ধরনের নকশা বা কাজের ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেছেন সিডিএর প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তা মেরামত করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উড়ালসড়কের র্যাম্পে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় নিচের সড়কে গাড়ির জট বেড়েছে। এ ছাড়া ফাটল দেখতে অনেক উৎসুক লোক সেখানে ভিড় করছেন।
মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রাম নগরের এম এ মান্নান উড়ালসড়কের র্যাম্পের পিলারে ‘নির্মাণত্রুটির’ কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মনে করেন, নকশাগত ত্রুটি বা নির্মাণত্রুটির কারণে এই ফাটল দেখা দিতে পারে।
আজ (২৬ অক্টোবর) মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মেয়র রেজাউল। এ সময় তাঁর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল নগরের কালুরঘাট সড়কমুখী র্যাম্পের পিলারে এই ফাটল দেখা দেয়। ফাটল দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্ঘটনা এড়াতে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে উড়ালসড়কের এই অংশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো প্রকৌশলী নই। ফাটলের সুনির্দিষ্ট কারণ আমি বলতে পারব না। সাধারণভাবে যেটা বলতে চাই, নিশ্চয়ই নির্মাণে ত্রুটি আছে। যার ফলে এ ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানে প্রকৌশল দৃষ্টিকোণ থেকে কী হয়েছে না হয়েছে, এটা আমার চেয়ে আমাদের প্রকৌশলীরা ভালো বলতে পারবেন। তাঁরা কারিগরি বিষয়ে ভালো বোঝেন।’
বর্তমান অবস্থায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ইতিমধ্যে উড়ালসড়কের সংশ্লিষ্ট অংশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। উড়ালসড়ক ও র্যাম্প নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তাই এ ব্যাপারে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে আজ সিডিএকে চিঠি দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ার ঘটনা আমাকে অবাক করেছে। তিনি বলেন, এতে যেকোনো সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কারণ, এই উড়ালসড়কে আগেও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। গার্ডার পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।
তিনি জানান, ফাটল কী কারণে দেখা দিয়েছে, তা তদন্ত করে বের করা হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সিডিএ ব্যবস্থা নেবে। যেসব ঠিকাদার কাজ করেছেন, তাঁদের কোনো নির্মাণত্রুটি আছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা চাইলে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।
২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর পর স্থানীয়দের দাবির মুখে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আরাকান সড়কমুখী ওই র্যাম্প নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ৩২৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ দশমিক ৭ মিটার চওড়া র্যাম্পটি নির্মাণ শেষে পরের বছর তা চালু করা হয়।
এর আগে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলাকালে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর গার্ডার ধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছরের ২৯ জুন একই ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে পড়ে এক রিকশাচালক আহত হয়েছিলেন।
আজ মেয়রের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুটি কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে। একটি নকশাগত ত্রুটি, অন্যটি নির্মাণত্রুটি। তবে ঠিক কী কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে ওভারলোডের গাড়ি চলাচলের কারণে এটা হতে পারে।
নির্মাণকাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, র্যাম্প মূল নকশায় ছিল না। পরে যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য নকশায় ত্রুটি থাকতে পারে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি সিডিএ নির্মাণ করেছে। সমস্যার সমাধানে তারাই ব্যবস্থা নেবে। কী পরিমাণ লোড নিতে পারবে, সেটা তারাই হিসাব করে এটি নির্মাণ করেছে। গাড়ি চলাচল না থাকায় ফাটল বড় হওয়ার আশঙ্কা নেই। আর নিচে চলাচল করা গাড়ির কম্পনের কারণে ফাটল বড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে র্যাম্প নির্মাণে কোনো ধরনের নকশা বা কাজের ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেছেন সিডিএর প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তা মেরামত করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উড়ালসড়কের র্যাম্পে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় নিচের সড়কে গাড়ির জট বেড়েছে। এ ছাড়া ফাটল দেখতে অনেক উৎসুক লোক সেখানে ভিড় করছেন।