ভারি বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের শত শত বিঘা জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতে জমিতে পানি জমে থাকায় হেলে পড়া ধানের শীষ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সরেজমিনে গিয়ে শনিবার (২৩ অক্টোবর) ও রবিবার (২৪ অক্টোবর) উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে আমন ধানক্ষেত হেলে পড়ার চিত্র। মাটিতে নুয়ে পড়া ধান গাছগুলো গোছা বেঁধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন এলাকার কৃষকরা। বদলগাছী ইউনিয়নের জিধিরপুর মাঠের কৃষক হোসেন আলী (৩৫) জানান, বুধবার (২০ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দিনেও রাতে ভারী বৃষ্টির সাথে হাল্কা বাতাসের কারণে অনেক কৃষকের আমন ধান মাটিতে হেলে পড়ে গেছে। হেলে পড়া ধানের অধিকাংশ শীষ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ধানের জমিতে পানি জমে আছে। আর কয়দিন বাদে ধান পাঁকতে শুরু করত। এ অবস্থায় খেতে ধান হেলে পড়ায় আমাদের বিরাট ক্ষতি হলো। সদর ইউনিয়নের কাদিবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আর মাত্র ২০-২৫ দিন পরই খেতের ধান পাঁকতে শুরু করবে। কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে উপজেলার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। এই ধান এখন কি হবে, কিভাবে এই ক্ষতিপূরণ হবে আমারা কৃষকরা ভেবে পাচ্ছি না। উপজেলা কষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ২শত হেক্টর জমি। আর অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ৫শত হেক্টর জমি। হঠাৎ বুধবার ও বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে এতে করে লক্ষ্যমাত্রা কমার আশঙ্কা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারি বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসের কারণে আমন ধান মাটিতে হেলে পরেছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ কৃষকদের হেলে পড়া ধান গাছগুলো ছোট করে আঁটি বেঁধে তুলে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কম হবে।
মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
ভারি বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের শত শত বিঘা জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতে জমিতে পানি জমে থাকায় হেলে পড়া ধানের শীষ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সরেজমিনে গিয়ে শনিবার (২৩ অক্টোবর) ও রবিবার (২৪ অক্টোবর) উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে আমন ধানক্ষেত হেলে পড়ার চিত্র। মাটিতে নুয়ে পড়া ধান গাছগুলো গোছা বেঁধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন এলাকার কৃষকরা। বদলগাছী ইউনিয়নের জিধিরপুর মাঠের কৃষক হোসেন আলী (৩৫) জানান, বুধবার (২০ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দিনেও রাতে ভারী বৃষ্টির সাথে হাল্কা বাতাসের কারণে অনেক কৃষকের আমন ধান মাটিতে হেলে পড়ে গেছে। হেলে পড়া ধানের অধিকাংশ শীষ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ধানের জমিতে পানি জমে আছে। আর কয়দিন বাদে ধান পাঁকতে শুরু করত। এ অবস্থায় খেতে ধান হেলে পড়ায় আমাদের বিরাট ক্ষতি হলো। সদর ইউনিয়নের কাদিবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আর মাত্র ২০-২৫ দিন পরই খেতের ধান পাঁকতে শুরু করবে। কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে উপজেলার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। এই ধান এখন কি হবে, কিভাবে এই ক্ষতিপূরণ হবে আমারা কৃষকরা ভেবে পাচ্ছি না। উপজেলা কষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ২শত হেক্টর জমি। আর অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ৫শত হেক্টর জমি। হঠাৎ বুধবার ও বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে এতে করে লক্ষ্যমাত্রা কমার আশঙ্কা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারি বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসের কারণে আমন ধান মাটিতে হেলে পরেছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ কৃষকদের হেলে পড়া ধান গাছগুলো ছোট করে আঁটি বেঁধে তুলে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কম হবে।