উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারী ওয়ার্ডে বিভাগে দুই মাথা বিশিষ্ট অস্বাভাবিক এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। তিনদিন হলো শিশুটি বেঁচে থাকলেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিশেষ করে চিকিৎসকরা কোন দায়িত্ব না নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম জানান, গত ২৩ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আফরোজা বেগমকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করার পর দুই মাথা বিশিষ্ঠ কন্যা শিশুর জন্ম দেন। পরিচালক জানান এই শিশুটি সেকেন্দার আফরোজা দম্পতির প্রথম সন্তান। তিনি আরও জানান, শিশুটিকে শিশু সার্জারী বিভাগে এবং মাকে রাখা হয়েছে গাইনী ওয়ার্ডে। পরিচালক জানান এ ধরনের নবজাতক অস্বাভাবিক। শিশুটির অবস্থা খুব একটা ভালো না। এখানে এ ধরনের শিশুর চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। সেকারণে আমরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নবজাতকের পিতা সেকান্দার আলী পেশায় একজন মুদির দোকানি। আর্থিক অস্বচ্ছল হওয়ায় তার পক্ষে চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
নবজাতকের মামা সোহেল জানান, আমরা তিনদিন ধরে হাসপাতালে আছি। কিভাবে শিশুটি বেঁচে থাকবে কিছুই বুঝতে পারছি না। চিকিৎসকরা কি করবেন সেটাও বলেছেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, নবজাতকের সু চিকিৎসার ব্যবস্থা যেন করেন তিনি।
এদিকে নবজাকের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, সাত মাস থাকতেই আলট্রাসনোগ্রাম করে এ ধরনের একটি দুই মাথাওয়ালা শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত হয় চিকিৎসকরা। পরে কুড়িগ্রামে সিজার করার ব্যাপারে চিকিৎসকরা সাহস না পেলে রংপুরে পাঠায়। রংপুরে গত শনিবার রাতে আমার স্ত্রী দুই মাথাওয়ালা কন্যা শিশু জন্ম দেন। এখন আমি চাই সু চিকিৎসা। যেখানেই হোক চিকিৎসা করিয়ে যেন আমার কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। আমি সামান্য মুদি দোকানদার তাই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। আমি সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত
বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারী ওয়ার্ডে বিভাগে দুই মাথা বিশিষ্ট অস্বাভাবিক এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। তিনদিন হলো শিশুটি বেঁচে থাকলেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিশেষ করে চিকিৎসকরা কোন দায়িত্ব না নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম জানান, গত ২৩ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আফরোজা বেগমকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করার পর দুই মাথা বিশিষ্ঠ কন্যা শিশুর জন্ম দেন। পরিচালক জানান এই শিশুটি সেকেন্দার আফরোজা দম্পতির প্রথম সন্তান। তিনি আরও জানান, শিশুটিকে শিশু সার্জারী বিভাগে এবং মাকে রাখা হয়েছে গাইনী ওয়ার্ডে। পরিচালক জানান এ ধরনের নবজাতক অস্বাভাবিক। শিশুটির অবস্থা খুব একটা ভালো না। এখানে এ ধরনের শিশুর চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। সেকারণে আমরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নবজাতকের পিতা সেকান্দার আলী পেশায় একজন মুদির দোকানি। আর্থিক অস্বচ্ছল হওয়ায় তার পক্ষে চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
নবজাতকের মামা সোহেল জানান, আমরা তিনদিন ধরে হাসপাতালে আছি। কিভাবে শিশুটি বেঁচে থাকবে কিছুই বুঝতে পারছি না। চিকিৎসকরা কি করবেন সেটাও বলেছেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, নবজাতকের সু চিকিৎসার ব্যবস্থা যেন করেন তিনি।
এদিকে নবজাকের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, সাত মাস থাকতেই আলট্রাসনোগ্রাম করে এ ধরনের একটি দুই মাথাওয়ালা শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত হয় চিকিৎসকরা। পরে কুড়িগ্রামে সিজার করার ব্যাপারে চিকিৎসকরা সাহস না পেলে রংপুরে পাঠায়। রংপুরে গত শনিবার রাতে আমার স্ত্রী দুই মাথাওয়ালা কন্যা শিশু জন্ম দেন। এখন আমি চাই সু চিকিৎসা। যেখানেই হোক চিকিৎসা করিয়ে যেন আমার কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। আমি সামান্য মুদি দোকানদার তাই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। আমি সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।