নারায়ণদঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউপিতে হোসেনপুর এসপি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটকক্ষে এক যুবককে ব্যালটে সিল মারতে দেখা গেছে৷ ভোটকক্ষে দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে এই কথা বলার পরও তাতে বাধা দেননি তিনি৷ ওই যুবকের গলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝোলানো দেখা গেছে৷
রোববার (২৮ নভেম্বর) বেলা তিনটায় এই ঘটনা দেখা যায়৷ সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়৷
হোসেনপুর এসপি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একরামপুর ও গজারিয়াপাড়া নামে দুই গ্রামের ২৫৭৪ জন ভোটার রয়েছে৷ কেন্দ্রের ছয়টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে৷ বেলা তিনটার দিকে ২ নম্বর নারী ভোটকক্ষে দেখা যায়, প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারছেন এক যুবক৷ তার গলায় ঝোলানো ছিল চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাছির উদ্দিনের ছবি ও নৌকা প্রতীক সম্বলিত প্ল্যাকার্ড৷ ওই যুবককে দেখা যায়, তিনটি ব্যালট পেপার তার হাতে৷ তিনি প্রতিটি ব্যালটে সিল মারছেন প্রকাশ্যেই৷ স্পষ্টভাবেই চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে সিল মারতেও দেখা যায়৷ প্রকাশ্যে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনেই তা ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার রাখেন ওই যুবক৷ ব্যালট বাক্সে পেপার রাখার সময় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে দেখিয়েই রাখেন৷
জানতে চাইলে ব্যালটে সিল মারা ওই যুবক তার সাথে থাকা এক বৃদ্ধাকে দেখিয়ে বলেন, বৃদ্ধা ওই যুবকের আত্মীয়৷ বয়স বেশি হওয়াতে তিনি ভোট দিতে পারেন না৷ তাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ওই যুবক৷ এ সময় যুবকের নাম জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে বৃদ্ধাকে নিয়ে চলে যান৷৷
এদিকে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক নারী তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই বৃদ্ধা সম্পর্কে তার চাচী৷ বৃদ্ধার নাম আমিনা (৮০)৷ ওই যুবক জোর করে ব্যালটে সিল মারছে৷ আমি বারবার না করছি৷ এই কথা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকেও বলেন ওই নারী৷ তবে ওই অফিসার তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি৷
সাংবাদিক পরিচয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কথা বলতে রাজি হননি৷ তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন৷ নাম জানতে চাইলেও কথা বলেননি তিনি৷
জানতে চাইলে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একজনের সিল আরেকজন মারতে পারেন না৷ এমনটা হওয়ার কথা না৷ তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতেছি৷ ভিড়ের কারণে অনেক কিছু কুলিয়ে উঠতে পারতেছি না৷’
এদিকে কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য বলেন, এই কেন্দ্রে দুপুরের দিকে একবার বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছিল এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এক মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা৷ তবে তাদের তৎপরতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
নারায়ণদঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউপিতে হোসেনপুর এসপি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটকক্ষে এক যুবককে ব্যালটে সিল মারতে দেখা গেছে৷ ভোটকক্ষে দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে এই কথা বলার পরও তাতে বাধা দেননি তিনি৷ ওই যুবকের গলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝোলানো দেখা গেছে৷
রোববার (২৮ নভেম্বর) বেলা তিনটায় এই ঘটনা দেখা যায়৷ সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়৷
হোসেনপুর এসপি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একরামপুর ও গজারিয়াপাড়া নামে দুই গ্রামের ২৫৭৪ জন ভোটার রয়েছে৷ কেন্দ্রের ছয়টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে৷ বেলা তিনটার দিকে ২ নম্বর নারী ভোটকক্ষে দেখা যায়, প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারছেন এক যুবক৷ তার গলায় ঝোলানো ছিল চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাছির উদ্দিনের ছবি ও নৌকা প্রতীক সম্বলিত প্ল্যাকার্ড৷ ওই যুবককে দেখা যায়, তিনটি ব্যালট পেপার তার হাতে৷ তিনি প্রতিটি ব্যালটে সিল মারছেন প্রকাশ্যেই৷ স্পষ্টভাবেই চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে সিল মারতেও দেখা যায়৷ প্রকাশ্যে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনেই তা ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার রাখেন ওই যুবক৷ ব্যালট বাক্সে পেপার রাখার সময় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে দেখিয়েই রাখেন৷
জানতে চাইলে ব্যালটে সিল মারা ওই যুবক তার সাথে থাকা এক বৃদ্ধাকে দেখিয়ে বলেন, বৃদ্ধা ওই যুবকের আত্মীয়৷ বয়স বেশি হওয়াতে তিনি ভোট দিতে পারেন না৷ তাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ওই যুবক৷ এ সময় যুবকের নাম জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে বৃদ্ধাকে নিয়ে চলে যান৷৷
এদিকে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক নারী তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই বৃদ্ধা সম্পর্কে তার চাচী৷ বৃদ্ধার নাম আমিনা (৮০)৷ ওই যুবক জোর করে ব্যালটে সিল মারছে৷ আমি বারবার না করছি৷ এই কথা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকেও বলেন ওই নারী৷ তবে ওই অফিসার তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি৷
সাংবাদিক পরিচয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কথা বলতে রাজি হননি৷ তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন৷ নাম জানতে চাইলেও কথা বলেননি তিনি৷
জানতে চাইলে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একজনের সিল আরেকজন মারতে পারেন না৷ এমনটা হওয়ার কথা না৷ তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতেছি৷ ভিড়ের কারণে অনেক কিছু কুলিয়ে উঠতে পারতেছি না৷’
এদিকে কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য বলেন, এই কেন্দ্রে দুপুরের দিকে একবার বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছিল এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এক মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা৷ তবে তাদের তৎপরতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷