alt

সারাদেশ

কুমড়ো বড়ির আয়ে সচ্ছল অনেক সংসার

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

মহাদেবপুর (নওগাঁ) : বড়ি বানানোর আগে ফেটানো হচ্ছে কুমড়ো আর মাসকলাই (ওপরে বামে), চাটাইয়ে শুকানো হচ্ছে বড়ি -সংবাদ

সারাদেশে সুস্বাদু কুমড়ো বড়ির ভরা মৌসুম এখন। মূলত চাপাইনবাবগঞ্জ আর নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী পোরশা ও সাপাহার অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রোটিনযুক্ত মাসকলাইয়ের রুটি বছরজুড়ে চলছে খাওয়ার প্রচলন। মাসকলাই দিয়েই তৈরি হয় আরেক সুস্বাদু খাবার কুমড়ো বড়ি। তবে শীত এলেই এর কদর বেশি। নওগাঁর গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে এখন তৈরি হচ্ছে কুমড়ো বড়ি। কেউ নিজের পরিবারের জন্য, আবার কেউ বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করে হাটে বাজারে বিক্রি করছেন। কুমড়ো বড়িতেই চলছে কারও কারও সংসার।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়ন সদরের মাতাজীহাটে গিয়ে দেখা যায় পাকা রাস্তার পাশেই চলছে কুমড়ো বড়ি তৈরির যাবতীয় কাজ। কেউ কুমড়ো আর মাসকলাইয়ের আটা মিশিয়ে ফেটিয়ে নিচ্ছেন, কেউ চাটাইয়ে বড়ি দিচ্ছেন, কেউ কাঁচা বড়ি শুকাতে দিচ্ছেন, আবার কেউ শুকানো বড়ি বাজারে নেয়ার কাজ করছেন। কাজের তদারকি করছিলেন এক গৃহবধূ। নাম জানালেন মাধবী রাণী মহন্ত (৫০)। তার স্বামী প্রফুল্ল চন্দ্র মহন্ত রাস্তার আরেক পাশে কুমড়ো আর মাসকলাইয়ের আটা ফেটানোর কাজ করছিলেন।

মাধবী জানালেন, কুমড়ো বড়ি তৈরি করা খুবই সহজ। বাজার থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে মাসকলাই আরও ৩০-৪০ টাকায় কুমড়ো কিনে আনেন। কলাই পানিতে ভিজিয়ে রাখেন আর কুমড়ো কেটে কাটাচামচ দিয়ে কুড়ে নেন। কুমড়ো কুচির ভর্তা তৈরি করে পানি ঝরানোর জন্য পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে চালের বাতায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। ভিজে নরম হওয়া মাসকলাই সনাতন পদ্ধতির জাঁতায় পিষে আটা বানানো হয়। জাঁতায় পিষা আটায় আঠা হয় বেশি। এখন অবশ্য অনেকে আটাকোটা মেশিনেই মাসকলাই পিষে নেন। মেশিনের আটায় বানানো বড়ির স্বাদ কম হয়। একটা বড় কুমড়ার সঙ্গে ৫ কেজি মাসকলাইয়ের আটা, কালোজিরা আর বিভিন্ন মশলা মিশিয়ে পানি দিয়ে ভালভাবে ফেটিয়ে নিতে হয়। যত বেশি ফেটানো যায় তত ভাল বড়ি হয়।

রাস্তার অপর পাশে ফেটানো মিকচার বাঁশের চাটাইয়ের ওপর ছোট ছোট করে বিছিয়ে বড়ি বানাচ্ছিলেন সুজালা রাণী মহন্ত (৪০)। তিনি জানালেন ৫ কেজি মাসকলাইয়ের আটার বড়ি শুকিয়ে সাড়ে ৩ কেজি হয়। প্রতিকেজি বড়ি বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। রাস্তার আরেক পাশে আতুড়া গ্রাম। সেখানে অসংখ্য চাটাইয়ে দেয়া বড়ি উঁচু মাচানে রেখে রোদে শুকাচ্ছিলেন সুদর্শন চন্দ্র মহন্তের স্ত্রী শংকরী রাণী মহন্ত (৫০)। তিনি জানালেন কেউ কেউ একটি কুমড়োর সঙ্গে ১০ কেজি মাসকলাইয়ের আটা মেশান। স্থানীয়রা জানান, কেউ কেউ ৩০ টাকা কেজির গমের আটাও মেশান। কিন্তু এই মহল্লার বড়ি তৈরির কারিগররা তা অস্বীকার করেন।

পাকা রাস্তার পূর্বপাশে শুকানো বড়ি বাজারে বিক্রির জন্য বাছাই করছিলেন সুজালার স্বামী চঞ্চল কুমার মহন্ত। তিনি জানালেন, এসব বড়ি নিজ এলাকা ছাড়াও উপজেলার পীরগঞ্জ হাট, পত্নীতলা উপজেলার গগণপুর হাট, ধামইরহাট উপজেলার ফতেপুর হাট প্রভৃতি স্থানে বিক্রি করেন। শীতের শুরুতেই শুরু হয় তাদের এ ব্যবসায়। আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ আর পৌষ এই ৪ মাস জমজমাট বিক্রি হয় কুমড়ো বড়ি। প্রতিদিন তারা আধামণ থেকে ৬ ধারা (৩০ কেজি) পর্যন্ত বড়ি তৈরি করেন। তাদের সঙ্গে বড়ি তৈরির কাজ করেন অমল ও তার স্ত্রী নমিতা, অন্তর ও তার স্ত্রী সমাপ্তি, কাজল ও তার স্ত্রী সাথী। মেয়েরা বড়ি তৈরি করেন আর পুরুষেরা বিক্রি করেন।

শংকরী রাণী জানালেন, তার ছেলে সুজন বিভিন্ন হাটে নিয়ে গিয়ে বড়ি বিক্রি করে। বড়ি বিক্রি করে যে লাভ হয় তা দিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ আর এক নাতনির সংসার চলে যায়। বড়ির মৌসুম পার হলে তারা কৃষি কাজ করেন।

এই বড়ি পল্লীতেই দেখা হলো রাইগাঁ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের সঙ্গে। পাশেই বাড়ি তার। তিনি জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে এই পল্লীর বাসিন্দারা কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজ করে আসছেন। কিন্তু একাজে তাদের সহযোগিতা করেননি কেউ। এই কম্পিউটারের যুগেও তাদের রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ধূলা ময়লার মধ্যে এ খাবার তৈরির কাজ করতে হয়। শুকাতে হয় খোলা জায়গাতেই। এলাকার প্রায় ঘরে ঘরে এই খাবার তৈরি হলেও পরিকল্পিত মানসম্মত পরিবেশে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ো বড়ি তৈরির কোন কারখানা গড়ে ওঠেনি।

ছবি

নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবতজ্জীবন

আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’র কারণ খুঁজছে পুলিশ

ছবি

বাগেরহাটে যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে, নিহত ১

ছবি

৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট

ছবি

ফরিদপুরে দুই ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

নন্দীগ্রামে মসজিদের মিটিংয়ে হুমকি, নামাজ শেষে হামলা

ছবি

কক্সবাজারের তিন উপজেলায় কে কোন প্রতীক পেলেন

ছবি

গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে হাতী মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মোরেলগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতেস্কার নামাজ আদায়

ছবি

তীব্র গরম ও তাপদাহে অতিষ্ঠ মধুপুরবাসী বাড়ছে নানা রোগ

ছবি

মধুপুরে জৈব কৃষি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ছবি

নন্দীগ্রামে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ

ছবি

কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জন কারাগারে

ছবি

এবার কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

ছবি

খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগে তীব্র গরম, কিছুটা স্বস্তি সিলেটে

ছবি

অপহ্নত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

ছবি

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় পিতাকে কুপিয়ে জখম, মা আহত

ছবি

জামালপুরে সরকারী খাস জমিতে পুকুর খনন করে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি

নারায়ণগঞ্জে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে তরুণ আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’

ছবি

কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে আরও ৩ নারী গ্রেপ্তার

ছবি

নাফনদীতে ২ বাংলাদেশি জেলেকে গুলি : মায়ানমারের বিজিপির কাছে প্রতিবাদ জানালো বিজিবি

রামুর গর্জনিয়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি ও দায়ের কোপে পিতা-পুত্র নিহত

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে এসির আগুনে পুড়ল ২৫ দোকান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

তীব্র দাবদাহে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়

ছবি

মনোহরদীতে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

ছবি

‘ডাকাতদলের’ আক্রমণে পিতা-পুত্র নিহত

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

টেকনাফে সিএনজি থামিয়ে চিকিৎসকসহ দুই যাত্রীকে অপহরণ

ছবি

গাছে ধাক্কা লেগে উড়ে গেলো বাসের ছাদ, যাত্রী নিহত

তীব্র তাপপ্রবাহে চুনারুঘাটে দিশেহারা মানুষ, হাসপাতালে রোগীর চাপ

ছবি

পদ্মায় গোসলে নেমে স্কুল শিক্ষার্থীসহ ২ জনের মৃত্যু

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ত্রিপুরা সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার

ছবি

নারায়ণগঞ্জে বকেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ, শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ

tab

সারাদেশ

কুমড়ো বড়ির আয়ে সচ্ছল অনেক সংসার

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ)

মহাদেবপুর (নওগাঁ) : বড়ি বানানোর আগে ফেটানো হচ্ছে কুমড়ো আর মাসকলাই (ওপরে বামে), চাটাইয়ে শুকানো হচ্ছে বড়ি -সংবাদ

রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

সারাদেশে সুস্বাদু কুমড়ো বড়ির ভরা মৌসুম এখন। মূলত চাপাইনবাবগঞ্জ আর নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী পোরশা ও সাপাহার অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রোটিনযুক্ত মাসকলাইয়ের রুটি বছরজুড়ে চলছে খাওয়ার প্রচলন। মাসকলাই দিয়েই তৈরি হয় আরেক সুস্বাদু খাবার কুমড়ো বড়ি। তবে শীত এলেই এর কদর বেশি। নওগাঁর গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে এখন তৈরি হচ্ছে কুমড়ো বড়ি। কেউ নিজের পরিবারের জন্য, আবার কেউ বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করে হাটে বাজারে বিক্রি করছেন। কুমড়ো বড়িতেই চলছে কারও কারও সংসার।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়ন সদরের মাতাজীহাটে গিয়ে দেখা যায় পাকা রাস্তার পাশেই চলছে কুমড়ো বড়ি তৈরির যাবতীয় কাজ। কেউ কুমড়ো আর মাসকলাইয়ের আটা মিশিয়ে ফেটিয়ে নিচ্ছেন, কেউ চাটাইয়ে বড়ি দিচ্ছেন, কেউ কাঁচা বড়ি শুকাতে দিচ্ছেন, আবার কেউ শুকানো বড়ি বাজারে নেয়ার কাজ করছেন। কাজের তদারকি করছিলেন এক গৃহবধূ। নাম জানালেন মাধবী রাণী মহন্ত (৫০)। তার স্বামী প্রফুল্ল চন্দ্র মহন্ত রাস্তার আরেক পাশে কুমড়ো আর মাসকলাইয়ের আটা ফেটানোর কাজ করছিলেন।

মাধবী জানালেন, কুমড়ো বড়ি তৈরি করা খুবই সহজ। বাজার থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে মাসকলাই আরও ৩০-৪০ টাকায় কুমড়ো কিনে আনেন। কলাই পানিতে ভিজিয়ে রাখেন আর কুমড়ো কেটে কাটাচামচ দিয়ে কুড়ে নেন। কুমড়ো কুচির ভর্তা তৈরি করে পানি ঝরানোর জন্য পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে চালের বাতায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। ভিজে নরম হওয়া মাসকলাই সনাতন পদ্ধতির জাঁতায় পিষে আটা বানানো হয়। জাঁতায় পিষা আটায় আঠা হয় বেশি। এখন অবশ্য অনেকে আটাকোটা মেশিনেই মাসকলাই পিষে নেন। মেশিনের আটায় বানানো বড়ির স্বাদ কম হয়। একটা বড় কুমড়ার সঙ্গে ৫ কেজি মাসকলাইয়ের আটা, কালোজিরা আর বিভিন্ন মশলা মিশিয়ে পানি দিয়ে ভালভাবে ফেটিয়ে নিতে হয়। যত বেশি ফেটানো যায় তত ভাল বড়ি হয়।

রাস্তার অপর পাশে ফেটানো মিকচার বাঁশের চাটাইয়ের ওপর ছোট ছোট করে বিছিয়ে বড়ি বানাচ্ছিলেন সুজালা রাণী মহন্ত (৪০)। তিনি জানালেন ৫ কেজি মাসকলাইয়ের আটার বড়ি শুকিয়ে সাড়ে ৩ কেজি হয়। প্রতিকেজি বড়ি বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। রাস্তার আরেক পাশে আতুড়া গ্রাম। সেখানে অসংখ্য চাটাইয়ে দেয়া বড়ি উঁচু মাচানে রেখে রোদে শুকাচ্ছিলেন সুদর্শন চন্দ্র মহন্তের স্ত্রী শংকরী রাণী মহন্ত (৫০)। তিনি জানালেন কেউ কেউ একটি কুমড়োর সঙ্গে ১০ কেজি মাসকলাইয়ের আটা মেশান। স্থানীয়রা জানান, কেউ কেউ ৩০ টাকা কেজির গমের আটাও মেশান। কিন্তু এই মহল্লার বড়ি তৈরির কারিগররা তা অস্বীকার করেন।

পাকা রাস্তার পূর্বপাশে শুকানো বড়ি বাজারে বিক্রির জন্য বাছাই করছিলেন সুজালার স্বামী চঞ্চল কুমার মহন্ত। তিনি জানালেন, এসব বড়ি নিজ এলাকা ছাড়াও উপজেলার পীরগঞ্জ হাট, পত্নীতলা উপজেলার গগণপুর হাট, ধামইরহাট উপজেলার ফতেপুর হাট প্রভৃতি স্থানে বিক্রি করেন। শীতের শুরুতেই শুরু হয় তাদের এ ব্যবসায়। আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ আর পৌষ এই ৪ মাস জমজমাট বিক্রি হয় কুমড়ো বড়ি। প্রতিদিন তারা আধামণ থেকে ৬ ধারা (৩০ কেজি) পর্যন্ত বড়ি তৈরি করেন। তাদের সঙ্গে বড়ি তৈরির কাজ করেন অমল ও তার স্ত্রী নমিতা, অন্তর ও তার স্ত্রী সমাপ্তি, কাজল ও তার স্ত্রী সাথী। মেয়েরা বড়ি তৈরি করেন আর পুরুষেরা বিক্রি করেন।

শংকরী রাণী জানালেন, তার ছেলে সুজন বিভিন্ন হাটে নিয়ে গিয়ে বড়ি বিক্রি করে। বড়ি বিক্রি করে যে লাভ হয় তা দিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ আর এক নাতনির সংসার চলে যায়। বড়ির মৌসুম পার হলে তারা কৃষি কাজ করেন।

এই বড়ি পল্লীতেই দেখা হলো রাইগাঁ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের সঙ্গে। পাশেই বাড়ি তার। তিনি জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে এই পল্লীর বাসিন্দারা কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজ করে আসছেন। কিন্তু একাজে তাদের সহযোগিতা করেননি কেউ। এই কম্পিউটারের যুগেও তাদের রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ধূলা ময়লার মধ্যে এ খাবার তৈরির কাজ করতে হয়। শুকাতে হয় খোলা জায়গাতেই। এলাকার প্রায় ঘরে ঘরে এই খাবার তৈরি হলেও পরিকল্পিত মানসম্মত পরিবেশে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ো বড়ি তৈরির কোন কারখানা গড়ে ওঠেনি।

back to top