শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণের উদ্দেশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে সাত হাজার শ্রমিক এবং তাদের স্বজনদের শ্রমিকের মৃত্যুজনিত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিক ও শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের ১৪তম বোর্ড সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, শ্রম আইনের আলোকে ২০১৬ সালে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলে এ পর্যন্ত ২৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসের মোট রপ্তানিমূল্যের ০ দশমিক ০৩ শতাংশ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি এ তহবিলে জমা হয়। এ তহবিল থেকে মৃত্যুজনিত কারণে ৪ হাজার ১৮৮ জন শ্রমিকের পরিবারকে ৮৩ কোটি ৪০ লাখ, চিকিৎসাবাবদ ২ হাজার ৭৬ জন শ্রমিককে ৬ কোটি ১৩ লাখ ও শিক্ষা সহায়তা হিসেবে শ্রমিকের ৭৩৬ জন সন্তানকে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সহায়তা প্রত্যাশী শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা আবেদন করলে দ্রুতই যেন সহায়তার টাকাটা পান সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। কোন প্রকার অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’
কেন্দ্রীয় তহবিলের কার্যপরিধি বাড়ানো ও কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কয়েকটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় তহবিলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. সেলিনা বকতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার চক্রবর্তী, বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান কচি, বিকেএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। বোর্ড সভার আলোচ্য বিষয়সমূহ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় তহবিলের সহকারী পরিচালক শামীমা সুলতানা হৃদয়।
পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী করোনাকালীন গঠিত ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির কার্যক্রমের ওপর প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
ক্যাপশন : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় তহবিলের ১৪তম বোর্ড সভা।
শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণের উদ্দেশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে সাত হাজার শ্রমিক এবং তাদের স্বজনদের শ্রমিকের মৃত্যুজনিত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিক ও শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের ১৪তম বোর্ড সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, শ্রম আইনের আলোকে ২০১৬ সালে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলে এ পর্যন্ত ২৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসের মোট রপ্তানিমূল্যের ০ দশমিক ০৩ শতাংশ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি এ তহবিলে জমা হয়। এ তহবিল থেকে মৃত্যুজনিত কারণে ৪ হাজার ১৮৮ জন শ্রমিকের পরিবারকে ৮৩ কোটি ৪০ লাখ, চিকিৎসাবাবদ ২ হাজার ৭৬ জন শ্রমিককে ৬ কোটি ১৩ লাখ ও শিক্ষা সহায়তা হিসেবে শ্রমিকের ৭৩৬ জন সন্তানকে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সহায়তা প্রত্যাশী শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা আবেদন করলে দ্রুতই যেন সহায়তার টাকাটা পান সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। কোন প্রকার অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’
কেন্দ্রীয় তহবিলের কার্যপরিধি বাড়ানো ও কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কয়েকটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় তহবিলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. সেলিনা বকতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার চক্রবর্তী, বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান কচি, বিকেএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। বোর্ড সভার আলোচ্য বিষয়সমূহ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় তহবিলের সহকারী পরিচালক শামীমা সুলতানা হৃদয়।
পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী করোনাকালীন গঠিত ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির কার্যক্রমের ওপর প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
ক্যাপশন : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় তহবিলের ১৪তম বোর্ড সভা।