তথ্য গোপন করে ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকির অভিযোগে ‘সুমিজ হট কেক’-এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নীরিক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর সম্প্রতি এ মামলা করেছে।
ভ্যাট নীরিক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন এবং মিথ্য ঘোষণা দিয়ে কেক প্রস্তুত করেছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়। এ অভিযোগে সুমিজ হট কেকের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মামলা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তারা হাতে তৈরি কেক বানায়।’
কিন্তু ভ্যাট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে দেখতে পান, সুমিজ হট কেক স্বয়ংক্রিয় মেশিন ব্যবহার করে কেক প্রস্তত করে। গোয়েন্দারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ব্যবসা করে আসছে।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেশিনে তৈরি কেকের ওপর ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ। আর হাতে তৈরি কেক বানালে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। সুমিজ কর্তৃপক্ষ মাসিক ভ্যাট রিটার্নে উল্লেখ করেছে, তারা হাতে বানানো কেক উৎপাদন ও সরবরাহ করে।
ভ্যাট গোয়েন্দা অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, ‘সুমিজ হট কেক ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত প্রকৃত বিক্রিয়ের তথ্য গোপন করে সরকারের নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে ভ্যাট দিয়েছে। হিসাব করে দেখা যায়, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ব্যবসা করায় আলোচ্য সময়ে ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন ভ্যাট নীরিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার ও ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল সুমিজ হট কেকের কারখানা এবং প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট চালানসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জব্দ করে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করে। সুমিজের কারখানা তুরাগের, প্লট-২০, রোড-১, লেন-৪ এ। আর প্রধান কার্যালয় রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। ভ্যাট কর্মকর্তারা বলেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ২৬টি বিক্রয়কেন্দ্র।
শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
তথ্য গোপন করে ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকির অভিযোগে ‘সুমিজ হট কেক’-এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নীরিক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর সম্প্রতি এ মামলা করেছে।
ভ্যাট নীরিক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন এবং মিথ্য ঘোষণা দিয়ে কেক প্রস্তুত করেছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়। এ অভিযোগে সুমিজ হট কেকের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মামলা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তারা হাতে তৈরি কেক বানায়।’
কিন্তু ভ্যাট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে দেখতে পান, সুমিজ হট কেক স্বয়ংক্রিয় মেশিন ব্যবহার করে কেক প্রস্তত করে। গোয়েন্দারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ব্যবসা করে আসছে।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেশিনে তৈরি কেকের ওপর ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ। আর হাতে তৈরি কেক বানালে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। সুমিজ কর্তৃপক্ষ মাসিক ভ্যাট রিটার্নে উল্লেখ করেছে, তারা হাতে বানানো কেক উৎপাদন ও সরবরাহ করে।
ভ্যাট গোয়েন্দা অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, ‘সুমিজ হট কেক ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত প্রকৃত বিক্রিয়ের তথ্য গোপন করে সরকারের নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে ভ্যাট দিয়েছে। হিসাব করে দেখা যায়, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ব্যবসা করায় আলোচ্য সময়ে ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন ভ্যাট নীরিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার ও ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল সুমিজ হট কেকের কারখানা এবং প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট চালানসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জব্দ করে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করে। সুমিজের কারখানা তুরাগের, প্লট-২০, রোড-১, লেন-৪ এ। আর প্রধান কার্যালয় রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। ভ্যাট কর্মকর্তারা বলেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ২৬টি বিক্রয়কেন্দ্র।