সরকার এবারপ্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দর নির্ধারণ করেছে গত বছরের তুলনায় ৫ টাকা বেশি। ঢাকায় লবন দেওয়া প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আর ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।
কিশোরগঞ্জের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছরই ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ক্ষতির মুখে ফেলেন। পচনশীল এসব চামড়া লবন দিয়েও মাসের পর মাস ফেলে রাখা যায় না। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অনেক সময় লস দিয়ে তাদের চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হন।
তবে এবার সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের লস হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরগঞ্জের চামড়া ব্যবসায়ী রফিক মিয়া, সেলিম মিয়া ও শুক্কুর মিয়া।
কিশোরগঞ্জে কোরবানির পশুর চামড়া মূলত তিন ধাপে কেনাবেচা হয়। কোরবানির দিন স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া কিনে আনেন। সেগুলি তারা বিক্রি করেন স্থানীয় পেশাদার ব্যবসায়ীদের কাছে। পেশাদার ব্যবসায়ীরা এসব চামড়ায় লবন মেখে স্তুপ করে রেখে দেন। সেগুলি তারা বৃহস্পতিবার সপ্তাহিক চামড়ার হাটের দিন তুলে দেন রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার ট্যানারি মালিকদের হাতে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এবার কোরবানির দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে একেকটি চামড়া ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা দরে কিনেছেন।
শহরের মোরগ মহালে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ ক’জন পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ী শত শত চামড়ায় লবন মাখিয়ে স্তুপ করে পলিথিনে ঢেকে রেখে দিয়েছেন। সেখানে শহরতলির পূর্ব কাতিয়ারচর এলাকার পেশাদার ব্যবসায়ী রফিক মিয়া, বগাদিয়া এলাকার শুক্কুর মিয়া এবং সদর উপজেলার বৌলাই এলাকার সেলিম মিয়ার সঙ্গে আলাপকালে জানান, তারা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিটি চামড়া গড়ে ৬শ’ টাকা দরে কিনেছেন। সেলিম মিয়া এবার কিনেছেন ৪ হাজার পিস চামড়া। রফিক মিয়া কিনেছেন ৩ হাজার পিস। আর শুক্কুর মিয়া কিনেছেন ৮শ’ পিস।
সরকারের দরে চামড়া বিক্রি করতে পারলে একেকটি চামড়া তারা এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করছেন। কিশোরগঞ্জে ১৫ থেকে ২০ জন পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ী আছেন বলে তারা জানিয়েছেন। এরা সারা বছরই চামড়া কেনাবেচা করে থাকেন। এছাড়া কোরবানির চামড়ার হাটে জেলার অন্যান্য উপজেলা, এমনকি পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, খালিয়াজুড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, নরসিংদীর রায়পুর, মনোহরদী, গাজীপুরের কাপাশিয়া, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে আসেন। ফলে কয়েক কোটি টাকার কেনাবেচা হয় কিশোরগঞ্জ শহরের চামড়ার হাটে। তবে এবার পশু কোরবানী কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রোববার, ২৫ জুলাই ২০২১
সরকার এবারপ্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দর নির্ধারণ করেছে গত বছরের তুলনায় ৫ টাকা বেশি। ঢাকায় লবন দেওয়া প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আর ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।
কিশোরগঞ্জের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছরই ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ক্ষতির মুখে ফেলেন। পচনশীল এসব চামড়া লবন দিয়েও মাসের পর মাস ফেলে রাখা যায় না। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অনেক সময় লস দিয়ে তাদের চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হন।
তবে এবার সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের লস হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরগঞ্জের চামড়া ব্যবসায়ী রফিক মিয়া, সেলিম মিয়া ও শুক্কুর মিয়া।
কিশোরগঞ্জে কোরবানির পশুর চামড়া মূলত তিন ধাপে কেনাবেচা হয়। কোরবানির দিন স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া কিনে আনেন। সেগুলি তারা বিক্রি করেন স্থানীয় পেশাদার ব্যবসায়ীদের কাছে। পেশাদার ব্যবসায়ীরা এসব চামড়ায় লবন মেখে স্তুপ করে রেখে দেন। সেগুলি তারা বৃহস্পতিবার সপ্তাহিক চামড়ার হাটের দিন তুলে দেন রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার ট্যানারি মালিকদের হাতে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এবার কোরবানির দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে একেকটি চামড়া ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা দরে কিনেছেন।
শহরের মোরগ মহালে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ ক’জন পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ী শত শত চামড়ায় লবন মাখিয়ে স্তুপ করে পলিথিনে ঢেকে রেখে দিয়েছেন। সেখানে শহরতলির পূর্ব কাতিয়ারচর এলাকার পেশাদার ব্যবসায়ী রফিক মিয়া, বগাদিয়া এলাকার শুক্কুর মিয়া এবং সদর উপজেলার বৌলাই এলাকার সেলিম মিয়ার সঙ্গে আলাপকালে জানান, তারা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিটি চামড়া গড়ে ৬শ’ টাকা দরে কিনেছেন। সেলিম মিয়া এবার কিনেছেন ৪ হাজার পিস চামড়া। রফিক মিয়া কিনেছেন ৩ হাজার পিস। আর শুক্কুর মিয়া কিনেছেন ৮শ’ পিস।
সরকারের দরে চামড়া বিক্রি করতে পারলে একেকটি চামড়া তারা এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করছেন। কিশোরগঞ্জে ১৫ থেকে ২০ জন পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ী আছেন বলে তারা জানিয়েছেন। এরা সারা বছরই চামড়া কেনাবেচা করে থাকেন। এছাড়া কোরবানির চামড়ার হাটে জেলার অন্যান্য উপজেলা, এমনকি পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, খালিয়াজুড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, নরসিংদীর রায়পুর, মনোহরদী, গাজীপুরের কাপাশিয়া, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে আসেন। ফলে কয়েক কোটি টাকার কেনাবেচা হয় কিশোরগঞ্জ শহরের চামড়ার হাটে। তবে এবার পশু কোরবানী কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।