সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় । ঈদ ও করোনার মহামারি কারণে সরকার ঘোষিত কারখানার বন্ধের নির্দেশে পর ১ আগষ্ট খুলেছে শিল্প-কারখানার দরজা । শিল্পের চাকার সাথে সাথে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় । তবে শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষন নেই। ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ শ্রমিক কাজে ফিরেছে।
সোমবার দুপুরে সাভারের উল্লাইল, জফুলবাড়িয়া, হেমায়েতপুর, কাঠগড়া, জিরাবো , নিশ্চিতপুর,জামগড়াসহ পোশাক কারখানাগুলো কর্মচঞ্চল পরিবেশ দেখা যায় ।
শ্রমিকরা জানায়, ঈদের জন্য ১৯শে জুলাই পোশাক কারখানা বন্ধ দেওয়া হয় । সেই সাথে করোনার কারণে সরকার ২৩শে জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে । তবে ১ আগষ্ট সরকারের অনুমতিতে মালিক পক্ষ কারখানা খোলার সিন্ধান্ত নেয় । এরপরে ট্রাক, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও রিকশায় নানা ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে আসে জীবন-জীবিকার তাগিদে ।
শান্তা গার্মেন্টসের অপারেটর রায়হান জানান, ‘কারখানা বন্ধ থাকলে চলবো কি ভাবে ?তাই গ্রামের বাড়ি থেকে কারখানায় এসেছি । বাস বন্ধ ছিল । ট্রাকে করেই জামালপুর থেকে ১ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আশুলিয়ায় এসেছি’ -এভাবেই জানাচ্ছিলেন তিনি ।
অন্যদিকে সুইং অপারেটর মিলি জানায়, ‘হঠাৎ কারখানা খোলার খবর দেয় সুপারভাইজার । তারপরে বাস বন্ধ থাকলেও ট্রাকে ও পায়ে হেঁটে এসেছি ।’ তবে ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরলেও কারখানা কর্মচাঞ্চল্যতায় আনন্দের কথা জানান তিনি।
খান সুয়েটারের সুপারভাইজার আহাম্মেদ আলী জানান, এখনো কারখানায় সব শ্রমিকরা উপস্থিত হতে পারেনি । তারা এখনো গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছে । তবে ৭৫% শতাংশ শ্রমিক তাদের কারখানায় যোগ দিয়েছে বলে জানান তিনি ।
তবে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়েমুল হুদা জানান, সরকার নির্দেশিত কঠোর স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন না করলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে । তাই তিনি শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান করেন ।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান,নিয়মিতভাবে সরকারের নিদের্শিত স্বাস্থ্যবিধি পালিত হচ্ছে কি না মনিংটর করা হচ্ছে
সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় । ঈদ ও করোনার মহামারি কারণে সরকার ঘোষিত কারখানার বন্ধের নির্দেশে পর ১ আগষ্ট খুলেছে শিল্প-কারখানার দরজা । শিল্পের চাকার সাথে সাথে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় । তবে শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষন নেই। ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ শ্রমিক কাজে ফিরেছে।
সোমবার দুপুরে সাভারের উল্লাইল, জফুলবাড়িয়া, হেমায়েতপুর, কাঠগড়া, জিরাবো , নিশ্চিতপুর,জামগড়াসহ পোশাক কারখানাগুলো কর্মচঞ্চল পরিবেশ দেখা যায় ।
শ্রমিকরা জানায়, ঈদের জন্য ১৯শে জুলাই পোশাক কারখানা বন্ধ দেওয়া হয় । সেই সাথে করোনার কারণে সরকার ২৩শে জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে । তবে ১ আগষ্ট সরকারের অনুমতিতে মালিক পক্ষ কারখানা খোলার সিন্ধান্ত নেয় । এরপরে ট্রাক, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও রিকশায় নানা ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে আসে জীবন-জীবিকার তাগিদে ।
শান্তা গার্মেন্টসের অপারেটর রায়হান জানান, ‘কারখানা বন্ধ থাকলে চলবো কি ভাবে ?তাই গ্রামের বাড়ি থেকে কারখানায় এসেছি । বাস বন্ধ ছিল । ট্রাকে করেই জামালপুর থেকে ১ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আশুলিয়ায় এসেছি’ -এভাবেই জানাচ্ছিলেন তিনি ।
অন্যদিকে সুইং অপারেটর মিলি জানায়, ‘হঠাৎ কারখানা খোলার খবর দেয় সুপারভাইজার । তারপরে বাস বন্ধ থাকলেও ট্রাকে ও পায়ে হেঁটে এসেছি ।’ তবে ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরলেও কারখানা কর্মচাঞ্চল্যতায় আনন্দের কথা জানান তিনি।
খান সুয়েটারের সুপারভাইজার আহাম্মেদ আলী জানান, এখনো কারখানায় সব শ্রমিকরা উপস্থিত হতে পারেনি । তারা এখনো গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছে । তবে ৭৫% শতাংশ শ্রমিক তাদের কারখানায় যোগ দিয়েছে বলে জানান তিনি ।
তবে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়েমুল হুদা জানান, সরকার নির্দেশিত কঠোর স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন না করলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে । তাই তিনি শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান করেন ।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান,নিয়মিতভাবে সরকারের নিদের্শিত স্বাস্থ্যবিধি পালিত হচ্ছে কি না মনিংটর করা হচ্ছে