২০৫০ সালে প্রতি ৭জন বাংলাদেশির মধ্যে একজন সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উদ্বাস্তুর ঝুঁকিতে আছেন। সেই সময় প্রায় ২ কোটির মত বাংলাদেশি সামুদ্রিক উচ্চতা বাড়ার কারণে স্থানচ্যুত হবেন। এই জনসংখ্যার মধ্যে অর্ধেকই নারী ও শিশু। দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ সমুদ্র তীরে বাস করছে। ২০৫০ সালে সমুদ্রের উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার বাড়লেই বাংলাদেশ হারাবে ১১ শতাংশ জায়গা। সামাজিক অধিকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইক্যান ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় এমনটি বলা হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের কাছে জলবায়ু, জীব বৈচিত্র্য ও নারীর ঝুঁকি শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরতে কক্সবাজারে ‘ঋতুবতী: প্রাণের প্রবাহিনী’ স্লোগানে চলছে দুদিনব্যাপি ‘পরিবর্তনের উৎসব’ নামের একটি সচেতনতামূলক আয়োজন। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া লাইট টু লাইফের আয়োজনে উৎসবের অংশীদার হিসেবে আছে আইক্যান ফাউন্ডেশন, অ্যাকশনএইড, নারীপক্ষ, শী ডিসাইডস্, রাইট হেয়ার রাইট নাউ, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও কক্সবাজার আর্ট ক্লাব।
আইক্যান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী আইরিন খান বলেন, ‘আমাদের অসচেতনতার কারণে বাড়ছে জলবায়ুর উপরে ঝুঁকি। সেই ঝুঁকি বৈশি^ক। ২০৫০ সালে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ জলবায়ুর কারণে উদ্বাস্তু হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে সচেতনতার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে এই উৎসব’।
নারীপক্ষের স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রধান সামিয়া হক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা দীর্ঘমেয়াদের ক্ষতির শিকার হয়। আমাদের স্থানীয় মানুষের সচেতনতা ও কার্যকর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সংকটে কাজ করা প্রয়োজন।’
রাইট হেয়ার রাইট নাউয়ের সমন্বয়ক আইনজীবী সারাবান তহুরা বলেন, ‘পরিবেশ অধিকার সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের তরুণরা ও নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন, আমাদের সচেতনতা বিকাশে গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়াও উৎসবে বক্তব্য রাখেন ভ্রমণকণ্যা-ট্র্যাভেলেটস অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডা. সাকিয়া হক, ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (প্রোমোটিং পিসফুল সোসাইটি) মো. কামরুজ্জামান, লাইট টু লাইফের উপদেষ্টা লাবিব তাজওয়ান এবং কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সভাপতি তানভীর সারওয়ার রানা।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছে এই উৎসব। দু’দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি আর্ট ক্যাম্প, প্যানেল ডিসকাসন, সমুদ্রের তট পরিস্কার, দেয়ালচিত্র আঁকাসহ নানান বিষয়ের মাধ্যমে পরিবেশ ও ভবিষ্যতের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের নানা প্রান্তের বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থী, নানান পেশার পেশাজীবী, চিত্রশিল্পী গবেষক, উন্নয়নকর্মী, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সংস্থা ও ব্যাক্তিরা উৎসবে অংশ নিচ্ছেন।
সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
২০৫০ সালে প্রতি ৭জন বাংলাদেশির মধ্যে একজন সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উদ্বাস্তুর ঝুঁকিতে আছেন। সেই সময় প্রায় ২ কোটির মত বাংলাদেশি সামুদ্রিক উচ্চতা বাড়ার কারণে স্থানচ্যুত হবেন। এই জনসংখ্যার মধ্যে অর্ধেকই নারী ও শিশু। দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ সমুদ্র তীরে বাস করছে। ২০৫০ সালে সমুদ্রের উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার বাড়লেই বাংলাদেশ হারাবে ১১ শতাংশ জায়গা। সামাজিক অধিকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইক্যান ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় এমনটি বলা হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের কাছে জলবায়ু, জীব বৈচিত্র্য ও নারীর ঝুঁকি শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরতে কক্সবাজারে ‘ঋতুবতী: প্রাণের প্রবাহিনী’ স্লোগানে চলছে দুদিনব্যাপি ‘পরিবর্তনের উৎসব’ নামের একটি সচেতনতামূলক আয়োজন। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া লাইট টু লাইফের আয়োজনে উৎসবের অংশীদার হিসেবে আছে আইক্যান ফাউন্ডেশন, অ্যাকশনএইড, নারীপক্ষ, শী ডিসাইডস্, রাইট হেয়ার রাইট নাউ, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও কক্সবাজার আর্ট ক্লাব।
আইক্যান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী আইরিন খান বলেন, ‘আমাদের অসচেতনতার কারণে বাড়ছে জলবায়ুর উপরে ঝুঁকি। সেই ঝুঁকি বৈশি^ক। ২০৫০ সালে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ জলবায়ুর কারণে উদ্বাস্তু হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে সচেতনতার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে এই উৎসব’।
নারীপক্ষের স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রধান সামিয়া হক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা দীর্ঘমেয়াদের ক্ষতির শিকার হয়। আমাদের স্থানীয় মানুষের সচেতনতা ও কার্যকর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সংকটে কাজ করা প্রয়োজন।’
রাইট হেয়ার রাইট নাউয়ের সমন্বয়ক আইনজীবী সারাবান তহুরা বলেন, ‘পরিবেশ অধিকার সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের তরুণরা ও নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন, আমাদের সচেতনতা বিকাশে গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়াও উৎসবে বক্তব্য রাখেন ভ্রমণকণ্যা-ট্র্যাভেলেটস অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডা. সাকিয়া হক, ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (প্রোমোটিং পিসফুল সোসাইটি) মো. কামরুজ্জামান, লাইট টু লাইফের উপদেষ্টা লাবিব তাজওয়ান এবং কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সভাপতি তানভীর সারওয়ার রানা।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছে এই উৎসব। দু’দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি আর্ট ক্যাম্প, প্যানেল ডিসকাসন, সমুদ্রের তট পরিস্কার, দেয়ালচিত্র আঁকাসহ নানান বিষয়ের মাধ্যমে পরিবেশ ও ভবিষ্যতের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের নানা প্রান্তের বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থী, নানান পেশার পেশাজীবী, চিত্রশিল্পী গবেষক, উন্নয়নকর্মী, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সংস্থা ও ব্যাক্তিরা উৎসবে অংশ নিচ্ছেন।